পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থ এই যে, সেই লৌহময়ী স্থণা—যাহার অভ্যস্তরে ছিদ্র-তন্মধ্যে প্ৰজলিত হুতাশন,—যাহ বহিরাগত হয় তাহাও জলস্ত। এই ঋক মন্ত্রটাও সেই লৌহময়ী জলন্ত স্থণার স্তায় জানিবে। অম্বরগণের মধ্যে যাহারা স্বয়ার দ্বার যুদ্ধ করেএক আঘাতে শত শত্রু বিনাশ করে,-দেবতারাও তেমনি তাহাদিগকে মারিবার জষ্ঠ শতন্ত্রী বঞ্জ প্রয়োগ করিয়া থাকেন । এই ঋক্ মন্ত্র সেই শতন্ত্রীবজের বা সুন্মীর তুল্য। যে যজমান অর্থাৎ যে যজ্ঞকৰ্ত্ত, এই ঋকের দ্বারা সমিদাধান ( অগ্নিতে আহুতিদান ) করেন, তিনিও এই শতন্ত্রী অর্থাৎ শতশত্রুনাশক বঞ্জ বা সুগ্নী উদ্ধত করিয়া শক্রর প্রতি ঋক্ বা মন্ত্ররূপ প্রহরণ প্রহার করিতে সমর্থ হন । এতদ্ভিন্ন অথৰ্ব্ববেদের ( ১ । ১৬ ৩ । ৪ ) এক স্থলে, একটা উদাহরণ আছে, তাহাতে সীসক-দ্বারা শত্রুবিনাশের কথা আছে ৷ যথা “সীসায়াধ্যাহ বরুণঃ সীসায়াগ্নিরুপাবতি । সীসং ম ইন্দ্ৰঃ প্রায়চ্ছৎ তদঙ্গ যাতু চাতনম্। যদি নো গাং হংসি যন্তশ্বং যদি পুরুষম্। তং হত্ব সীসেন বিধ্যমে যথা নোংসেী অবোরহ ॥” এখন বিবেচনা করুন, লৌহনিৰ্ম্মিত স্থণ অর্থাৎ লম্বা খোটা, তাহার মধ্যে সুষির বা রন্ধ, তাহ হইতে প্ৰজলিত পদার্থ বহিরাগত হয়, তাহ আবার এক কালে শত শত্ৰু বিনাশ করে ; আবার সাসকের দ্বারা শত্রু বিনাশ । এরূপ বর্ণনার দ্বারা বন্দুক বা কামান ভিন্ন আর কি উপলব্ধি হইতে পারে ? এই বর্ণনা দেখিয়া যদি সুগ্নী বা নালিকাস্ত্রের আকার কল্পনা করা যায়, তাহা হইলে ছে>ে এইরূপ আকার হয় কি না, দেখুন। ঐক্ষপ আকার দেখিলে বলুক ভিন্ন আর কি মনে হইতে পারে ; অতএব বোধ হয়, এই সুন্না বা নালিকাস্ত্রের ক্রমিক উৎকর্ষেই আধুনিক বন্দুক ও কামান হইয়াছে ; সুতরাং বন্ধুককে বা কামানকে সম্পূর্ণরূপে নবাবিষ্কৃত বলা যায় না। ইহা ষে কত । পুরাতন—তাহ নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। কেননা, অস্বরশুরু মহৰ্ষি শুক্র এই নলিকাস্ত্রের বিষয় বিশেষরূপ বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। তাহ দেখিলে জীৱ কোন ৷ সংশয়ই থাকে না। কোনরূপ কল্পনা করিতেও হয় না। বৈদিক গ্রন্থের ও । ধৰ্ব্বেদের রচনাবলি তত্ত্ব স্পষ্ট নহে বলিয়া অনেক অস্থানের বা কল্পনার নাম át . . . গীত , কিন্তু ošš,