পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোমবাগ { 象臀”。 শুক্রাচাৰ্য্য-প্রোক্ত নালিকাস্ত্রের এতদ্রুপ বর্ণনা দেখিলে সাৰেক বন্দুকের আকার মনে আইসে কি না, তাহ পাঠক মাত্রেই বুঝিতে পরিবেন। পূৰ্ব্বকালের বন্দুক আর অতিপূৰ্ব্বকালের লঘুনালিক এবং এক্ষণকার কামান আর অতিপূৰ্ব্বকালের বৃহন্নালিক সমান। মহর্ষি শুক্রাচাৰ্য ধে তিনটী শ্লোকের দ্বারা বৃহন্নালিকের বর্ণনা করিয়াছেন, তাহ পাঠ করিলে আধুনিক কামান ভিন্ন অন্ত কিছুই মনে হয় না । যথা-- উক্ত নালিকাস্ত্রের ত্বক যত কঠিন হইবে, উহার আয়তন যত বড় হইবে, তাহার গর্ত যত স্থল ( মোট ) হইবে, তাহার গোলা যত বড় হইবে,—সে ততই দূরভেদী হইবে । তাহার মূলদেশে কীলক, এবং কাষ্ঠ বুদ্ধ অর্থাৎ কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত ধরিবার মুট নাই, শকট ও উষ্ট্র প্রভৃতির দ্বারা তাহ বাহিত হয়। ইহা উপযুক্তরূপে স্থাপিত হইলে যুদ্ধে জয়প্রদ হয় । ইহার নাম বৃহন্নালিক । এক্ষণে বিবেচনা করিয়া দেখুন যে, শুক্রাচার্য্যের এই বৃহন্নালিক আর এক্ষণকার কামান সমান কি না । অপিচ, নালাস্ত্রের ধারণ, পরিচালন ও প্রয়োগপদ্ধতি পৰ্য্যালোচনা করিলে উহাকে আধুনিক বন্দুক ও কামান না বলিয়া থাকা যায়। নী | যথা— “নালাস্ত্ৰং শোধয়েদাদে দদ্যাভত্রাগ্নিচুৰ্ণকম্। নিবেশয়েত্ত দণ্ডেন নালমূলে যথাদৃঢ়ম্ ॥ ততঃ সুগোলকং দদ্যাৎ ততঃ কর্ণেইগ্নিচুৰ্ণকম্। যন্ত্রচুর্ণাগ্নিদানেন গোলং লক্ষ্যে নিপাতয়েৎ ॥ লক্ষ্যভেদো যথা বাণে ধনুৰ্জ্যাবিনিযোজিতঃ। ভবেত্তথা তু সন্ধায় —” ইত্যাদি । - প্রথমে নালাস্ত্রের সংশোধন করিবেক। পরে তাহাতে অগ্নিচুৰ্ণ অর্থাৎ বারুদ প্রদান করিবেক। অনন্তর দণ্ডের দ্বারা সেই প্রদত্ত বারুদকে দৃঢ়ৰূপে প্রোধিত । করিবেক। পরে তাহতে গুলিক বা গোলা প্রদান করিবেক। অতঃপর কর্ণ, প্রদেশে অগ্নিচুৰ্ণ স্থাপন করিয়া তাহাতে যন্ত্রপ্রস্তরাগ্নি সংযোগপূর্বক গুল্মধ্যস্থ । গুলিকে লক্ষ্য স্থানে পাতিত করিবেক। ". . . . . উল্লিখিত অগ্নিচুৰ্ণ যে, “বারদ” তদ্বিষয়ে কোন সংশয় নাই। কেন না, কিন্ধাঙ্গ । বলিয়াছেন। সে সকল দেখিলে,মালাস্ত্রকে বলুক এবং অগ্নিচুৰ্ণ * বলিয়া থাকা খায় মা ! ঘঞ্চা", চুৰ্ণকৈ “বারদ" না