পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্য । :e শুক্রনীতি নামক গ্রন্থে দেখা যায় যে, গিরিজাত ধাতু সকল তিন শ্রেণীভুক্ত । ধাতু, সঙ্কর ধাতু ও উপধাতু। যাঙ্গ অমিশ্র, তাহ ধাতু। যাহা দুই বা ততোধিক ধাতুর সংযোগে জন্মে, তাহ সঙ্কর ধাতু এবং যাহা অতি স্থলভ, ঘনতা বর্জিত ও সামান্ত, তাহ উপধাতু । “সুবৰ্ণং রজতং তাম্রং রঙ্গং সীসঞ্চ রঙ্গকম্। লোহঞ্চ ধাতবঃ সপ্ত হ্যেষামন্তেতু সঙ্করাঃ ॥” শুক্রনীতি । সোণ, রূপা, তাম, রাঙ, সাঁসে দস্তা, ও লৌহ,–এই সাতটা মূল ধাতু , এতদ্ভিন্ন আর সমস্তই সঙ্কর অর্থাৎ মিশ্র ধাতু। “রঙ্গতাম্রভবং কাংস্তং পিত্তলং তাম্ররঙ্গজম্।” শুক্রনীতি । রাঙ ও তামা মিশ্রিত করিয়া কাংস্ত এবং তাম ও রাঙ বা দস্ত মিশ্রিত হইলে পিত্তল জন্মে। এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর সংযোগে ভিন্ন ভিন্ন ধাতু উৎপন্ন করা যায়। কাংস্তে রাঙের ভাগ অধিক দিতে হইবে । ইহা বুঝাইবার নিমিত্ত রঙ্গ ও তাম্র শব্দের সন্নিপাত করা হইয়াছে । “সপ্তোপধাতব; স্বর্ণমাক্ষিকং তারমাক্ষিকম্। তুলুং কাংস্তঞ্চ রীতিশ্চ সিন্দূরঞ্চ শিলাজতু ॥” স্বর্ণমাক্ষিক, রৌপ্যমাক্ষিক, এই দুই দ্রব্য প্রস্তরের গাত্রে জন্মে । তুতে, কাসা, পিত্তল, সিন্দুর ও শিলাজ তু,–এই সাত প্রকার বস্তু উপধাতু, তদ্ভিন্ন সমস্তই ধাতু বলিয়া গণ্য । এই সকল ধাতু, উপধাতু, ও সঙ্কর ধাতু সম্বন্ধে অনেক বক্তব্য থাকিলেও আমরা সংক্ষেপের জন্ত অল্প কথাই বলিব । রাসায়নিক গুণ দোষ কি উৎপত্তিপ্রক্রিয় কিছুই বলিব না । কত প্রকার ধাতু আছে এবং তাহাদের কাহার কিরূপ লক্ষণ, এতদ্ভিন্ন অন্ত কোন কথাই বলা হইবে না। স্বর্ণ ধাতুটী সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া কেবল তাহারই বিষয়ে অধিক কথা বলা হইল। তথাপি তাহার উৎপত্তিপ্রক্রিয় ও ভৈষজোপযোগী গুণ বলা হইল না। শুক্রনীতিকার বলেন যে,— “রত্নে স্বাভাবিক দোযাঃ সস্তি ধাতুযু কৃত্রিমাঃ । বতে ধাতুন সম্পরীক্ষা তালং করয়েঞ্চ " 多总补