পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] কথাই বলিয়া গিয়াছেন —"নিপাসি যজ্ঞবিধেরহহ শ্রতিজাতং সদয়ন্ধদয় দর্শিতপশুঘাতম্।” ইহার অর্থ এই যে, যে সকল শ্রুতিতে পশুঘাতঘটিত যজ্ঞের বিধান, তুমি দয়ার্ক্স হইয়। সেই সকল শ্রুতির নিন্দ করিয়াছ। জয়দেব নিশ্চিত বুঝিয়াছিলেন যে, বুদ্ধদেব সমুদয় বেদের নিন্দ করেন নাই—কেবল যজ্ঞবিধির দোষোদেঘাষণ করিয়াছিলেন । এই স্থলে আমরা আবার বলি, তিনি যজ্ঞবিধির নিন্দ করেন নাই । লোকের যে তদ্বিষয়িণী প্রবল প্রবৃত্তি বা গাঢ় অনুরাগ ছিল, তিনি তদর্শনে অত্যস্ত ক্ষুব্ধ হইয়াছিলেন। তিনি প্রকৃত বেদবিদ্বেষ্ট হইলে ব্রাহ্মণের। তাছাকে কখনই নারায়ণের অবতার বলিয়। মাগু করিতেন না । আমরা সাহস করিয়া বলিতে পারি, যে সকল যজ্ঞে হিংসাদি দোষ নাই— যাহা জ্ঞান প্রাপ্তির উপায়-অধ্যাত্মিক বা উপাসনায়ুক যজ্ঞ –সে সকল যজ্ঞ করিতে তাহার নিষেধ ছিল না। কেননা তিনি নিজেই তাদৃশ যজ্ঞ করিয়া ছিলেন, ইহা বৌদ্ধদিগের ললিতবিস্তর প্রভৃতি গ্রন্থে লিখিত আছে। যথা— “আত্ম পরহিত প্রতিপন্নীহুমুত্তর প্রতিপত্তি শুরঃ * * * সর্ববস্তু নিরপেক্ষ পরিত্যাগ; দানে সম্বিভােগ রতঃ সতত পংণিত্যাগশুরঃ ষষ্টযজ্ঞঃ ।” বুদ্ধদেব স্বয়ং কোন গ্রন্থ লিখেন নাই । তিনি শিষ্যদিগকে প্রশ্নানুরূপ উপদেশ প্রদান করিতেন, শিষ্যেরা তদৰ্থ ধারণ ও বহু বিস্তার করত: প্রকাশ করিতেন । ইহা ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি নামক জনৈক বৌদ্ধাচার্য্যের নিকটেও শুনা যায়। “তদ্বিনেয়াঃ প্রচক্রিরে”—তাহার বিনেসুগণ অর্থাৎ শিষ্যগণ গ্রন্থ প্রস্তুত করিয়া ছিলেন । বৌদ্ধগণ বলিয় থাকেন, এতাদৃশ ধৰ্ম্ম পৃথিবীতে আর কথন প্রকাশিত হয় নাই । সেই জন্তু ইহার অন্ত নাম নবধৰ্ম্ম । এই নবধৰ্ম্মানুরাগিগণ বুদ্ধকে “জর-মরণ-বিঘাতী ভিষশ্বর” বলিয়া জ্ঞান করেন। র্তাহাদিগের মতে মনুষ্য জন্ম কেবল কষ্টময়, জন্মিলেই জর ব্যাধি মরণের অধীন হইতে হয়, তন্নিবারণার্থ সতত নিৰ্ব্বাণ কামনায় রত থাক। অবশু কৰ্ত্তব্য । বৌদ্ধ মাত্রেরই পূৰ্ব্বজন্মে পর জন্মে বিশ্বাস আছে। জীব নিজ নিজ কৰ্ম্মের দ্বারা পুনঃ পুনঃ বিবিধ যোনি পরিভ্রমণ করে । কথিত আছে, স্বয়ং শাক্যসিংহ হস্তী ও মৃগ প্রভৃতি পশু যোনি ভোগ করিয়। অবশেষে মানুষ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। বুদ্ধদেৰ যত দিন জীবিত ছিলেন ততদিন তাহার মত তত অধিক প্রকাশ প্রাপ্ত হয় নাই। তাহার মৃত্যুর পর তদীয় শিষ্য প্রশিষ্যগণ কর্তৃক বৌদ্ধধৰ্ম্ম