পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । 姆》 আমাকে পত্নীত্বে গ্রহণ করেন, তবে যেন বিলম্ব না করেন এবং আমার যেন ইনজনের সঙ্গে বসতি করিতে না হয় । - অনস্তর পুরোহিত রাজার নিকট গমন করিলেন এবং সমুদয় বৃত্তান্ত বিজ্ঞাপিত করিলেন । রাজা তখন মনে মনে বিচার করিলেন, কুমার নিতান্ত দুরাসদ ! কি জানি, পাছে কোন অন্যথা ঘটনা হয় । অতএব এমন কাৰ্য্য করা উচিত—যাহাতে আর অন্যথা হইবার সম্ভাবনা নাই। বহু কন্যা সম্মিলিত হউক, তন্মধ্যে যৎ প্রতি কুমারের চক্ষু নিবিষ্ট কষ্টবে, তাহাকেই আমি বধূত্বে গ্রহণ করিব। এরূপ করিলে অবগুই সকলদিক্ রক্ষিত হইবে । অনন্তর তিনি নগরে ঘণ্টা ঘোষণা করিয়া দিলেন। এইরূপে ঘোষিত হইল, সপ্তম দিবসে কুমার সিদ্ধার্থ কন্যাদিগকে পুরস্কার প্রদান করিবেন, সেই দিবস নগরের সকল কন্যাকেই পুরস্কার গৃহে যাইতে হইবে । সপ্তম দিবস আগত হইলে ভগবান বোধিসত্ত্ব পুরস্কারগৃহে গমনপূৰ্ব্বক ভদ্রাসনোপরি উপবিষ্ট হইলেন । অনস্তর নগরের কুমারিকাগণ একে একে বোধিসত্ত্বকে দেখিতেও পুরস্কার লষ্টতে প্রবেশ করিতে লাগিলেন । পুরস্কারগৃহে যত কন্যা প্রবেশ করিল—কেহই কুমারের তেজ ও শ্রী সহ করিতে পারিল না । সকলেই পুরস্কার লইয়। তন্মুহূর্বেই প্রত্যাবর্তন করিল ; কেহই তাহার সমক্ষে দাড়াইতে পারিল না । অনস্তর দণ্ডপাণি-তনয় গোপী দাসীগণপরিবৃত্ত হইয় পুরস্কার সভায় প্রবেশ পূৰ্ব্বক অতি বিনীতভাবে বোধিসত্ত্বের সম্মুখে গিয়া দাড়াইলেন এবং অনিমেষ নয়নে বোধিসত্ত্বের তেজঃশ্ৰী দেখিতে লাগিলেন । বোধিসত্ত্বও তাহার গুণ ও শ্ৰী অনুভব করিতে লাগিলেন । পুরস্কার্য্য দ্রব্য তখন নিঃশেষিত হইয়া গিয়াছিল, কিছুষ্ট ছিল না, তৎকারণে মনে মনে বিচার করিতেছিলেন ; ইহাকে কি পুরস্কার দেওয়া উচিত। এদিকে গোপী পুরস্কার লাভে বিলম্ব দেখিয়া হাস্ত প্রভা বিস্তার করতঃ কুমারের নিকটগামিনী হইয়া বলিলেন, কুমার ! কি আপরাধ করিয়াছি ? আপনি আমাকে ঘৃণা করিতেছেন কেন ? কুমার বলিলেন, আমি তোমাকে ঘৃণা করিতেছি না। তুমি বিলম্বে আসিয়াছ, তাই মনে মনে বিচার করিতেছি, তোমাকে কি দিয়া পরিতুষ্ট করিব। এই বলিয়া তিনি নিজ বহুমূল্য অঙ্গুরীয় উন্মোচনপূৰ্ব্বক গোপার হস্তে অর্পণ করিলেন।