পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

loe বুদ্ধদেব। বজ্রপাত, অশনিবৃষ্টি, কুঠার, শক্তি, শর ও শীলাৰৰণ হইলেও আমি স্বাভিলাষ হইতে প্রচু্যত হইব না। মস্তকে বিদ্যুৎ, বজ্র, তপ্তলৌহ ও প্ৰজলিত শৈলশিখর নিপতিত্ব হইলেও পুনৰ্ব্বার গৃহাভিলাষ উৎপাদন করিব না। শুনিয়া ছন্দক অবাক, নিম্পন্দ ও সংজ্ঞাহীন । এই স্থানে বৌদ্ধগণ বলিয়া থাকেন, ভগবান শাক্যসিংহের তাদৃশ দৃঢ়নিশ্চয় দেথিয় বিমানবাহী দেবগণ হর্ষে পুষ্পবৃষ্টি ও আনন্দ নিনাদ করিয়াছিলেন এবং নিম্নলিখিত গাথা গান করিয়াছিলেন । “ন রজ্যতে পুরুষবরস্য মানসং নভে যথা তম রজ ধূমকেতুভি: | ন লিপ্যতে বিষয়সুখেষু নিৰ্ম্মল জলে যথা নবনলিনং সমৃদগতম।” { এই শ্রেষ্ঠ পুরুষের মন কিছুতেই অনুরক্ত নহে । আকাশে তম বা অন্ধ কার, রজঃ বা ধূলি, এবং ধূমকেতু প্রভৃতি কেবল দৃশ্য হয়, অষ্ঠে দেখে মাত্র কিন্তু আকাশে সংসত্ত হয় না। ভগবান শাক্যসিংহের চিত্ত ও তদ্রুপ। যেহেতু ইনি বিষয়মুখে লিপ্ত হন না, পূর্ণনিৰ্ম্মল, সেই হেতু, জলে যেমন নবমলিন উদগত হয়, অথচ তাহা জলে অলিপ্ত, তেমনি আমাদের এই ভগবানেরও চিন্তু বিষয়ে সঞ্চারিত, অথচ তাহাতে অলিপ্ত । রাত্রি এখন অনেক । অৰ্দ্ধরাত্র আগত । আজ ভীষণ অৰ্দ্ধরত্র সময়ে কপিলবস্তু মহানগর মহা প্রস্বপনে অভিভূত । জীবমাত্রেই নিদ্রিত ও অচেতন । কেবল মাত্র ভগবান শাক্যসিংহ ও ছন্দক জাগরিত । ছন্দক অনেক রোদন করিলেন, অনুনয় বিনয় করিলেন, কিছুতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভগবানের মনঃ প্রতিনিবৃত্ত হইল না । ছন্দক একান্তে দণ্ডায়মান থাকিয়া নীরবে রোদন করিতেছেন। ভগবানও পুনঃ পুনঃ “অশ্ব দাও” বলিয়া উত্তেজনা করিতেছেন। সমস্ত নগর স্বপ্ত, মহাপ্রস্বপনে অভিভূত । অৰ্দ্ধরাত্র পরিপূর্ণ হইল, চন্দ্র নিৰ্ম্মল-আকাশে পুষ্যনক্ষত্রের সহিত উদিত হইলেন, শাক্যসিংহ দেখিলেন, পুরনিক্রমের শুভক্ষণ বা শুভ সময় আগত হইয়াছে তাক দেখিয়া ভগবান শাক্যসিংহ রেীরূয়মান ছন্দককে পুনৰ্ব্বার বলিলেন । “ছন্দক । আর কেন দুঃখ দাও ? আর কেন বিলম্ব কর ? শীঘ্র আমার একটি সজ্জিত অশ্ব দাও—বিলম্ব করিও না” শুনিয়া ছন্দক পুনৰ্ব্বার বলিলেন,—