পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સ્વર বুদ্ধদেব । আপনার জন্ম হইয়াছে, আমরা তাহারই। এক্ষণে আমার অপরাধ ক্ষমা করুন । আমি ও আমার এই পরজন সমুদয়ই আপনার শাস্ত । এক্ষণে আমার প্রার্থনা, আপনি বোধিপ্রাপ্ত হইলে, আমাকে দর্শন দিবেন এবং অনুগ্রহ করিবেন। হে প্রভো ! হে ধৰ্ম্মগামিন্‌ ! আমার দ্বিতীয় অভিলাষ এই যে, কিছু দিন এই স্থানে ধাকয়। আমাদিগকে মুচরিতার্থ করুন । রাজা বিম্বিসার এইরূপে ভিক্ষুবেশী বুদ্ধদেবের সনদর্শন লাভ করিয়া এবং বক্তব্য শেষ করিয়া পুনরপি দণ্ডবৎ প্রণাম করিলেন, অনস্তর স্বভবনে গমন করিলেন । বৌদ্ধদিগের মহাবস্তু-অবদান নামক পুরাতন গ্রন্থে লিখিত আছে, ভগবান শাক্যসিংহ রাজা বিম্বিসারের প্রার্থনায় দীর্ঘ কাল রাজগৃহে বাস করিয়াছিলেন। বুদ্ধের রাজগৃহ বাস কালে, বৈশালী নগরীতে ঘোরতর মারীভয় হইয়াছিল। জনৈক সন্ন্যাসীর পরামর্শে বশিষ্ঠ বংশীয় জনগণ কর্তৃক তিনি মীভয় বিনাশার্থ বৈশালী নগরে নীত হইয়াছিলেন এবং বিম্বিসার ও তাণ্ডার অনুগমন করিয়াছিলেন । বৃত্তান্তটি শুনিতে ভাল লাগে, এজন্য তাহা ও এস্থলে উদ্ধত করা গেল। এই গল্পের দ্বার তৎকালিক লোকের বিশ্বাসের বিষয় জানা যায় । হিমগিরির ক্রোড়পৰ্ব্বতে কুণ্ডলা নাম্নী এক যুক্ষিণী বাস করিত । তষ্ঠার এক সহস্ৰ পুত্র হইয়াছিল। যুক্ষিণী মৃত হইলে তাঙ্গর পুত্রেরা বৈশালীতে আসিয়া অলক্ষ্যে তদধিবাসিগণের তেজো চরণ করিতে লাগিল । তাহাতে তদেশের লোক ংক্রামক পীড়ায় আক্রান্ত হইয়। মরিতে লাগিল। যখন তাহার দেখিল, অমামুষ ব্যাধি উৎপন্ন হইতেছে, ঔষধে তাকার শাস্তি হইতেছে না, তখন তাহার দেবারাধনায় প্রবৃত্ত হইল । যখন তাহাতেও মরক নিবৃত্ত হইল না, তখন তাহারা কগুপ-পূরণ নামক জনৈক ঋষিকে আহবান করিল। কাশুপ পুরণ বৈশালীতে আসিলেন ; কিন্তু মরকনিবৃত্তি হইল না । পরে পরিব্রাজক গোপালার পুত্রকে আনা হইল, তিনি ও মরক নিবারণ করিতে সক্ষম হইলেন না । অনন্তর মরকনিবারণার্থ কাত্যায়নগোত্রীয় কুমুদ মুনিকে আনা হইল, তিনিও বিফলপ্রযত্ন হইলেন। ইহার পরে কেশকম্বল নামক জনৈক সন্ন্যাসী আগমন করিলেন, তিনি ও কোন প্রতিকার করিতে পারিনে না । এইরূপে নি গ্রন্থি প্রভৃতি অনেক মুনি ঋধির সমাগম হইল ; অথচ মরকনিবৃত্তি হইল না । পরে এক দিন দৈববাণী হইল, এ সকল লোকের দ্বারা মরকনিবৃত্ত্বি হইবে না । ভগবান বুদ্ধ বিশ্বিসারের প্রার্থনায়