পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిళి: বুদ্ধদেব । অনন্তর শক্যমুনি রুদ্রকের নিকট উপদেশ গ্রহণ না করিয়া কোন এক নির্জন প্রদেশে গমন পুৰ্ব্বক ধ্যানস্থ হইলেন । পূৰ্ব্বোপঞ্জিত পুণ্যবিশেষের বলে, তপশ্চরণের প্রভাবে, ব্রহ্মচৰ্য্য সহকৃত প্রণিধান সহস্রের ফলে, শত শত প্রকারে সমাধি তাহার জ্ঞানগোচর হইয়াছিল ; এক্ষণে তিনি ধ্যানস্থ হইয়। রুদ্রকের সমাধি বিনা উপদেশে আপন আপনি জ্ঞাত হইতে পারিলেন । এক দিন রুদ্রকের অভিমুখীন হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয় । ঐ দুই সমাধির পরে আর কোন জ্ঞাতব্য আছে কি না ।” গুলিয়া রুদ্রক বলিলেন, “নাই ।” বোধিসত্ত্ব মনে মনে চিন্তা করিলেন, “রুদ্রকের শ্রদ্ধা, বীৰ্য্য, স্মৃতি, সমাধি ও প্রজ্ঞা অতিতুচ্ছ—অতি অকিঞ্চিৎকর । রুদ্রকের জ্ঞেয়-পথে নিৰ্ব্বেদ, বিরাগ, নিরোধ, উপশম, সম্বোধ ও নিৰ্ব্বাণ লাভের সম্ভাবন নাই । অতএব “অলং মমানেন’ ইহাতে আমার প্রয়োজন নাই ।” এইরূপ চিস্ত করিয়া জ্ঞান প্রবার শক্যসিংহ সেই সশিষ্য রুদ্রক রামপুত্রকে পরিভ্যাগ করিয়া স্থানান্তর গমন করিলেন । শাক্যসিংহ রুদ্রকের নিকট অধিক দিন থাকিলেন না, শিষ্যও হইলেন না, অথচ স্বল্পায়াসে রুদ্রকের বিদ্যা অধিগত করিয়া চলিয়া গেলেন,এই ব্যাপার দেখিয়া রুদ্রকের পাঁচ জন প্রধান শিষ্য, পরস্পর বিচার করিল, চিন্তা করিল, “আমরা যাহার জন্ত বহুকাল ত্ৰ ততপঃ করিতেছি, যত্ন করতেছি, অথচ লাভ করিতে পারিতেছি না, গৌতম তাঙ্গ অতি স্বল্পদিনে ও সামান্ত কষ্টে লাভ করিল, অথচ তাহা তাহার রুচিকর—তৃপ্তিকর হইল না । সে ইহা অপেক্ষাও অধিক জ্ঞান অন্বেষণ করে । গৌতমের ধেরূপ ক্ষমতা–তাঁহাতে বোধ হয় গেী স্তম শীঘ্রই লোক্যতীত, সব্বোত্তর পথ দেখিতে পাইবে, সৰ্ব্বোংস্কৃষ্ট উপদেষ্ট হইবে। যদি এখন হইতে গৌতমের শিষ্য হই, তাহ হইলে গৌতম অবশুই আমাদিগকে স্বীয়সাক্ষাৎকৃত ধৰ্ম্ম উপদেশ করিবে।” অনন্তর সেই শিষ্যপঞ্চ ক পরম্পর ঐরূপ পরামর্শ করিয়া অবশেষে রুদ্রকের শিষ্যত ত্যাগ করিয়া গৌতম শাক্যসিংহের শিষ্যত গ্রহণ করিল * ভগবান শাক্যসিংহ এত দিন একাকী ভ্রমণ করিতেন, এক্ষণে তিনি শিষ্যপঞ্চকে পরিবৃত হইলেন । শিষ্যপঞ্চক লাভের পর তাহার রাজগৃহ-বাস ভাল লাগিল না ; সুতরাং তিনি মগধের নানা স্থান ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । ●

  • এই পাঁচ জন শাক্যসিংহের প্রথম শিষ্য-বুদ্ধ হইবার পূর্বের শিষ্য । ই হয়ে নাম পরে ব্যক্ত হইবে ।