পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&#. ভারত-রহস্ত । হয় কি ? না বা পা পিছুদিকে কুঞ্চিত ও দক্ষিণ পা সম্মুখে হস্তদ্বয় পরিমাণ বিস্তারে স্থাপন । এই প্রত্যালীঢ় স্থানটী দূরে শরনিক্ষেপ করিবার বিশেষ উপযোগী। বস্তুতঃ একভাবে অধিক্ষণ থাকিলে শরীর শ্রান্ত হয় বলিয়া ভিন্ন ভিন্ন আকারে স্থিতি করিতে হয় । সেই জন্তই যুদ্ধতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ বিবিধ স্থান ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন । যিনি যত অধিক স্থান অভ্যস্ত করেন—তিনি তত অধিক কাল বিনা শ্রান্তিতে যুদ্ধ করিতে পারেন। বিশাখ— পাদে সুবিস্তরে কার্য্যোঁ সমে হস্তপ্রমাণতঃ । বিশাখস্থানকং জ্ঞেয়ং কূটলক্ষ্যস্য বেধনে।” . দুই পা সময়ত ও হস্তপ্রমাণ অন্তরিত করিয়া দাড়াইলে তাহ বিশাখ নামক স্থান বলিয়া জানিবে। কূট লক্ষ্য বিদ্ধ করিবার সময় এইরূপ স্থানই উৎকৃষ্ট। সমপদ- ‘সমপদে সমেী পাদে নিষ্কম্পে চ সুসংগতে ॥* উত্তমরূপ মিল থাকে অথচ না কঁপে এইরূপ ভাবে দাড়াইলে সমপদ বা সমপাদ নামে খ্যাত হয় । বিষমপদ– “অসমঞ্চ পুরো বামং হস্তমাত্রেণ তং বিদ্যুঃ ॥ বামপদ যদি হস্তমাত্র পরিমিত অন্তরে নিশ্চলন্ধপে বিন্যস্ত রাখা যায় তাহা হইলে তাহ অসম পদ্ধ বা বিষমপদ আtথ্য প্রাপ্ত হয় । দদু রক্রম— “আকুঞ্চিতোর দ্বেী যত্র জানুভ্যাং ধরণীং গতে । দর্দ রক্রমমিত্যাহু: স্থানকং দৃঢ়ভেদনে।” যে অবস্থানে দুই উরু আকুঞ্চিত ও জামুদ্বয় ভূতলে ন্যস্ত করিতে হয়, ধনুৰ্ব্বেদৰিৎ পণ্ডিতগণ তাহাকে দর্দু রক্রম বলিয়া ব্যাখ্যা করেন। দৃঢ়লক্ষ্য ভেদ কালে এইরূপ অবস্থান বিশেষ উপযোগ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। গরুড়ক্রম— “সব্যং জানুগতং ভূমে দক্ষিণঞ্চ মুকুঞ্চিতম্। অগ্রতে যত্র দাতব্যং তং বিদ্যাৎ গরুড়ক্রমম্‌ ৷” বামজানু ভূপাতিত করিয়া, দক্ষিণজামু কুঞ্চিত করতঃ সম্মুখে রাখিলে, তাহাতে যে অবস্থান নিম্পন্ন হইবে তাহাকে গরুড়ক্রম বলিয়া জানিবে।