পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

భ్వీ8 ভারত-রহস্ত । ১ অবিচাল্য অর্থাৎ স্থির ; যেমন পাষাণ প্রভৃতি । ২ স্বল্প ; যেমন গুঞ্জ অর্থাৎ কুঁচ ও সর্ষপ প্রভৃতি। ৩ সুকুমার অর্থাৎ কোমল ; যেমন ডিম্ব ও জলপূর্ণ কলস প্রভৃতি । ৪ গুরু অর্থাৎ বৃহৎ ; যেমন রাক্ষসশরীর হস্তিশরীর প্রভৃতি । প্রথমে স্থির ও স্থূল লক্ষ্য অভ্যাস করিতে হয়। ক্রমে যত অভ্যাস দৃঢ় হইবে, ততই সূক্ষ্ম ও কোমল লক্ষ্যে যাইয় তাহাতে নিপুণ হইবার চেষ্টা করিতে হয় । দূরে একটা ডিম্ব রাখিয় তাহাকে কম্ভূিত করা আরও কঠিন কাৰ্য্য। দূরে একটা জলপূর্ণ ঘট রাথিয় তাহাকে ছিদ্র করা তদপেক্ষাও দুরূহ জানিবে। আগ্নেয় ধনুৰ্ব্বেদেও প্রধান কল্পে চারি প্রকার লক্ষ্যের কথা আছে। যথা— “লক্ষ্যং স যোজয়েন্তত্ত্ব, পত্রিপত্রগতং দৃঢ়ম্। ভ্রান্তং প্রচলিতঞ্চৈব স্থিরং যচ্চ ভবেদিতি ॥” ধনুর্বিদ্যার্থিগণ দূরে চতুরস্র মণ্ডল করিয়া তাহাতে পক্ষচিহ্নিত দৃঢ়, ভ্রান্ত, প্রচলিত ও স্থির, এরূপ বেধ্য স্থাপন করিবেন। এস্থলে ভ্রান্ত শব্দের অর্থ ঘূর্ণমান, আর প্রচলিত শব্দের অর্থ সরল গতিবিশিষ্ট । বৃদ্ধ শাঙ্গ ধর শিবোত্ত ধনুৰ্ব্বেদের উল্লেখ করিয়া প্রধানকল্পে চারি প্রকার বেধ্যের বা লক্ষ্যের উল্লেখ করিয়াছেন, পরস্তু প্রোক্ত লক্ষ্য হইতে বিভিন্নবিধ, যথা— “লক্ষ্যং চতুবিধং জ্ঞেয়ং স্থিরঞ্চৈব চলন্তথা । চলাচলং দ্বয়চলং বের্ধনীয়ং ক্রমেণ তু ॥" শিক্ষাকালের লক্ষ্য বা বেধ্য চারি প্রকার জানিবে। স্থির, সচল, চলাচল ও দ্বয়চল । এই চারিপ্রকার লক্ষ্য যথাক্রমে আয়ত্ত করিতে হয়। প্রথমে স্থির লক্ষ্য, স্থির লক্ষ্য আয়ত্ত হইলে পশ্চাৎ চল লক্ষ্য, তাহাতে সুপ্রসিদ্ধ হইলে চলাচল লক্ষ্য এবং সৰ্ব্বশেষে স্বয়চল লক্ষ্য শিক্ষা করিবে । “আত্মানং সুস্থিরং কৃত্ব লক্ষ্যঞ্চৈব স্থিরং বুধ । বেধায় ত্রিপ্রকারস্তু স্থিরবেধ: স উচ্যতে।” সম্মুখে কোন এক স্থির অর্থাৎ নিশ্চল বস্তু স্থাপন করিবে, আপনিও স্থির অর্থাৎ নিশ্চল হইয়া দাড়াইবে । অনন্তর ক্রমে তাহ তিন প্রকারে বিদ্ধ করিবে । (তিন প্রকার কি কি ? তাহা পশ্চাৎ বলিব । ) যখন সেই অচল তাদৃশ লক্ষ্য অভ্যস্ত হইয়াছে, তখনই জানিবে যে, তুমি স্থিরবেধী হইয়াছ। “চলং যো বেধষদ্বেধ্যং আসুন স্থিরসংহিতঃ। চললক্ষ্যস্তু তৎ প্রোক্তং আচার্ষ্যেণ সুধীমতী ॥” স্থিরবেধিত সিদ্ধ হইলে পশ্চাৎ অদূরে ও ক্রমে দূরে কোন এক সচল লক্ষ্য