পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনুৰ্ব্বেদ, । ఆ{ (সরলগত যুক্ত, কিম্বা ভ্ৰমিযুক্ত) স্থাপন করিবে। পরন্তু নিজে তাহার সম্মুখে স্থির ভাবে দাড়াইবে । স্থিরভাবে দাড়াইয়া আচার্য্যের উপদেশক্রমে সেই চল লক্ষ্য বিদ্ধ করবে। এই চল লক্ষ্য যখন আয়ত্ত হইবে, তখন তুমি চলবেৰী বলিয়া গণ্য হইবে । ጎ - - “ধন্বী তু চলতে যত্র স্থিরলক্ষ্যে সমস্ততঃ । চলাচলং ভবেত্তত্র অপ্রমেয়মচিস্তিতম্। ধনুধারণ পূৰ্ব্বক কোন এক স্থির লক্ষ্যের চতুৰ্দ্দিকে পাদচারেই হউক আর অশ্বারোহণেই হউক ভ্রমণ করিবে । ভ্রমণ করিতে করিতে সেই স্থির লক্ষ্যটী বিদ্ধ করিবে । এইরূপ লক্ষ্যের নাম “চলাচল’ এবং ইহা অচিন্তনীয় ব্যাপার । চল লক্ষ্য বেধ উত্তম আয়ত্ত না হইলে এই চলাচল লক্ষ্য আয়ত্ত করা যায় না। “উভাবেব চলে যত্র লক্ষ্যঞ্চপি ধনুধরঃ । তদ্বিজ্ঞেয়ং স্বয়চলং শ্রমেণ বহু সাধ্যতে ॥’ যখন দেখিবে যে, চলাচল লক্ষ্য অভ্যস্ত হইয়াছে ; তখন এই স্বয়চল লক্ষ্যে শ্রম করবে। দ্বয়চল লক্ষ্য কি ? তাহ শুন । বেধ্য বস্তুটা প্রবল বেগে ঘুরিতেছে, ধন্বীও প্রবল বেগে ঘুরিতেছেন, এমত অবস্থায় ধী সেই চলমান লক্ষ্য বলদ্বারা বিদ্ধ করিবেন । ইহার নাম দ্বয়চল। এই দ্বয়চল লক্ষ্য বহুপরিশ্রমে ও বহুকাল অভ্যাসের পর আয়ত্ত হয় । * . শ্রমের বা অভ্যাসের অসাধ্য কিছুই নাই । অভ্যাসযোগে না -- গঙ্গ কাৰ্য্যই নাই। ধনুৰ্ব্বেদবিৎ আচাৰ্য্য শাঙ্গ ধর বলিয়াছেন যে,— “শ্রমেণাশ্বলিতং লক্ষ্যং দূরঞ্চ বহুভেদনম্। শ্রমেণাস্থলিতাকৃষ্টি: শীঘ্রসন্ধানমাপ্যতে ॥ শ্রমেণ চিত্রযোধিত্বং প্রাপ্যতে শ্রমতে জয়: । তস্মাৎ গুরুসমক্ষং হি শ্রমঃ কাৰ্য্যে। বিজানত ॥” শ্রম বা অভ্যাস করিলেই লক্ষ্য অশ্বলিত হয়, দূর লক্ষ্য বিদ্ধ করা যায় এবং বহু লক্ষ্যও যুগপৎ বিদ্ধ করা যায়। অভ্যস্ত হইলেই জ্য আকর্ষণ স্থলিত হয় না এবং তাঁহাতে শীঘ্র শীঘ্ৰ বাণ যোজনা ও বাণ পরিত্যগ করা যায়। শ্রম বা অভ্যাস দ্বারাই মনুষ্য চিত্ৰযোধি হয় এবং শ্রমের দ্বারাই মনুষ্য সংগ্রামে জয় লাভ করে। এজন্ত, সকল বিষয়ই উত্তমরূপ জ্ঞাত হইয় গুরুর সমক্ষে শ্রম বা শিক্ষিতব্য । বিষয়ের অভ্যাস করিবে। চিত্রযুদ্ধ" কিরূপ ? তাহ পশ্চাৎ বলা হইবে। পরস্তু তিন প্রকার লক্ষ্যাভ্যাস কি কি ? অগ্রে তাঁহাই ৰলা আবগুক ।