পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ ভারত-রহস্ত। পুনঃ শর্করয়া তচ্ছ তাড়য়েচ্ছদহেতবে । পুনর্নিশ্চয়তা নেয়া শব্দস্থানামুসারত: ॥” “ততঃ কিঞ্চিং কৃতং নিত্যং দূরে নিত্যং ৰিধানতঃ ; লক্ষ্যং সমভাসেৎ ঘাতে শবেধনহেতৰে । ততো বাণেন হন্তাৎ তৎ অবধানেন তীক্ষুধী । এতচ্চ ফুক্ষরং কৰ্ম্মাভ্যাসাৎ কস্তাপি সিধ্যতি ॥” যে স্থানে লক্ষ্য স্থাপিত আছে, তাহার দুই হাত দূরে একটী কাংস্ত্যপত্র স্থাপন কর । দ্বিতীয় ব্যক্তি তথায় থাকিয়া সেই কাংস্তপাত্রের গাত্রে শঙ্কর অর্থাৎ কঁকিরের আঘাত করুক। আঘাত করিব মাত্র শব্দ উৎপন্ন হইবেক । যে স্থানে শব্দ উৎপন্ন হইল তুমি কেবল সেই শব্দোৎপত্তির স্থানটীতে মনোনিবেশ করিবে । অতঃপর তুমি সেই স্থাপিত লক্ষ্যকে না দেখিয়া কেবলমাত্র কর্ণেন্দ্রিয়ের সহিত মনের ঐক্য বিধান করত লক্ষ্যকে অর্থাৎ বেধ্য বস্তুকে নিশ্চয় করিবে । দ্বিতীয় ব্যক্তি পুনৰ্ব্বার সেই কাংস্ত পাত্রে শর্করাঘাত করুক। পুনৰ্ব্বার শব্দ হউক । তুমিও স্থাপিত লক্ষ্য না দেখিয়া সেই উত্থিত শব্দের স্থান অনুসারে লক্ষ্য নিশ্চয় কর । ক্রমে যখন দুই হাত অস্তরের লক্ষ্য স্থির ও দৃঢ়াভ্যস্ত হইয়া আসিবে, তখন তাহাকে তদপেক্ষ কিঞ্চিৎ অধিক দূরে স্থাপিত কর । ধনুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রের বিধি অনুসারে এইরূপে নিত্য নিত্য অভ্যাস কর এবং নিত্য নিত্য শব্দকারক ংস্ত পাত্রকে দূরে দূরে স্থাপিত কর । শব্দবেধ শিক্ষার নিমিত্ত নিত্য নিত্য উক্ত প্রকারের ঘাত শিক্ষা কর । ক্রমে সেই শব্দমুমের লক্ষ্যের প্রতি বাণ প্রয়োগ করিতে থাক। তাহা হইলে ক্রমেই তোমার শব্দবেধিত আয়ত্ত হইবে। তখন তুমি অদৃষ্ট লক্ষ্যকে অনায়াসে শব্দের দ্বারা অনুমান করিয়া বিদ্ধ করিতে পরিবে । পরন্তু এই কাৰ্য্যটী সহজে আয়ত্ত হইবার নহে। এই দুঃসাধ্য শিক্ষাটী সকলের ভাগ্যে আয়ত্ত হয় না, কোন কোন ভাগ্যবানের আয়ত্ত হয় । মহাভারতপাঠে জানা যায়, কুরুবালকের মহামতি দ্রোণের নিকট অস্ত্র শিক্ষা করিতেন। তাহার শিষ্যবৃনের মধ্যে অর্জুন সমধিক বুদ্ধিশালী, কৃতাস্ত্র, ক্ষিপ্রকারী ও পরিশ্রমী ছিলেন। তজ্জন্ত গুরু তাহার প্রতি অতীব সন্তুষ্ট ছিলেন বটে ; কিন্তু অশ্বখামাকে তিনি পুল্লতাবিধায় অর্জুন অপেক্ষাও ভাল বাসিতেন । সেই জন্তই তিনি কখন কখন অশ্বথামাকে গোপনে ও কৌশলে কোন অস্ত্র অন্তের অজ্ঞাতে প্রদান করিতেন। ‘অৰ্জুনকে সমধিক প্রতিভাশালী দেখিয় তাহার মনে মনে শঙ্কা হইত যে, অর্জুন স্বচাগ্রে আমার গোপনশিক্ষা জানিতে