পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের সঙ্গীত শাস্ত্র । 33్చరి কর উদেগু নয়। ইয়ুরোপীয় সঙ্গীতের সুস্বরামুক্তমত এবং স্বরেকতা প্রশংসনীয়, তথাপি জামাদিগের মূছন, ক্কম্ভনাৰুিক্ত সঙ্গীতের সহিত তাহার তুলনা ছয় না। ইয়ুরোপীয়গণ Harmony অর্থাৎ স্বরৈকতার উৎকর্ষ সাধন করিবার জঙ্গ বিশেষ চেষ্টত, তাহাদিগের সঙ্গীতে ইহা ভিন্ন আর কিছুই মধুর মছে। আমদিগের উদার, মুম্বার, তার, সপ্তকের স্তায় ইয়ুরোপীয়গণের Bass, Tonor, S*ano তিন সপ্তক এবং আমাদিগের সং, খ, গ, ম, পা, ধ, নি, স্থায় তাহদিগেরও ডে, রি, মি, ফ, সল, লা, সি, সপ্তম্বর মাছে। কিন্তু স্বরসাধনপ্রণালী আমাদিগের সর্বতোভাবে উৎকৃষ্ট। আমরা “ইতালীয় অপেরায়” বিবিধযন্ত্র সহযোগে মধুরকণ্ঠ সিগনোর বোসেসিও এবং রিবলভীর সঙ্গীত, তথা প্রোফেসর হেলর এবং জনসনের পিয়ানোবাদন শুনিয়াছি, তাহী শ্রবণ করিয়া প্রথমতঃ পুলকিতও হইয়াছিলাম, কিন্তু সে কিয়ৎকালের জন্য মাত্র, অবশেষে তাহাতে অভিনবত্ব কিছুই না থাকায় বরং বিরক্তি বোধ হইয়াছিল। আমাদিগের সঙ্গীত সেরূপ নহে, একটি রাগিণী অনেকক্ষণ শুনা হইলে, তাহার পরেই আবার এক একটি সময়োচিত নূতন নূতন রাগের গান হওয়াতে শ্রোতারক্রমেই হৰ্ষ বৃদ্ধি হইয়া । থাকে। এ কথায় যদি কেহ বলেন, আমাদিগেরও অধিকাংশ রাগ রাগিণী প্রায়, একপ্রকার-কানাড়ার পরে বাগিশ্ৰী, মুলতানের পরে ভীমপলাশ, সোহিনীর পর পরজ, ভৈরবের পর রামকেলী ইত্যাদি প্রায় একপ্রকার বোধ হয় ; এমন কি কোন কোন ব্যক্তির নিকট বিভিন্নই বোধ হয় না। যাহারা সঙ্গীত শাস্ত্রে অজ্ঞ, র্তাহার এ কথা বলিতে পারেন বটে, কিন্তু র্যাহারা হিন্দুঃসঙ্গীত কিছু খুঝেন, র্তাহারাও উল্লিখিত রাগিণীনিচয়ের পরস্পর প্রভেদ বুঝিতে পারেন। আমাদিগের সঙ্গীতবিদ্যা বড় কঠিন। ন বুঝিয় নিন্দ করিলে তাহার কথা গ্রাহ করিব । এই সঙ্গীতে সপ্তমুর, তিন গ্রাম, একবিংশতি মূছন, দ্বাবিংশতি শ্রুতি ; তাহাতে নানাবিধ রাগ রাগিণী সহ, তাললয় স্বরসংষোগে গান করিলে, মনোমধ্যে অপুৰ্ব্ব রসের সঞ্চার হয়। আৰ্যজাতীয় সঙ্গীতবিদ্যা ক্রমে বঙ্গদেশে গ্ৰহীন হইয়া আসিতেছিল ৰেথিয় সম্বর মাত্রেই দুঃখিত ছিলেন। এক্ষণে কৃতবিদ্যগণ পুনরায় সঙ্গীতের আলেী চনার প্রবৃত্ত হওয়াতে আমরা যার পর নটু আনদিত হইতেছি। ইহান্ন জালোলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতেছে, প্রকাপ্ত সংবাদপত্রে সঙ্গীত সম্বন্ধে তর্ক বিতর্ক চলি