পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈন-ধৰ্ম্ম YW»© যে সকল ধৰ্ম্মনীতি উদ্ধৃত হইল, তাহ সাধারণ ধৰ্ম্ম অর্থাৎ সকল ধৰ্ম্মের সারভাগ, স্বতরাং ইহা যে কেবল জৈনদিগের ধৰ্ম্ম, তাহ কি প্রকারে বলা যাইতে পারে ? তাহাতেই উদয়নাচাৰ্য্য কহেন,— “যত্বসাধারণে মুখমণ্ডলীকরণাদিঃ কেশোল্লুঞ্চনাদিশ্চ নালে সৰ্ব্বৈরমুষ্ঠীয়তে।” অর্থাৎ মুখবন্ধন, পিচ্ছিকাগ্রহণ, কেশোল্লুঞ্চন প্রভূতি কয়েকট জৈনদিগের অসাধারণ ধৰ্ম্ম ; তাছা অন্ত কোন জাতির নাই। কেছ বলেন, অমরসিংহ এবং হেমচন্দ্র ( সংস্কৃত কোষকার ) জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। অমরসিংহ বিক্রমাদিত্যের সভাসদ ছিলেন ; সুতরাং তিনি খৃষ্টীয় ৫•• পঞ্চশত শতাব্দীর ব্যক্তি। যুদ্ধ গয়ার প্রসিদ্ধ জৈন-মন্দির অমরসিংহকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। হেমচন্দ্র শ্বেতাম্বর জৈন । তিনি জৈনগ্রন্থের মতানুসারে মহাবীরের নির্বাণের ১৬৬১ বৎসর পরে বর্তমান ছিলেন । * মহাবীরের পরে মুধৰ্ম্ম, যতীশ্বব, বজ্ৰসেন, চন্দ্র, মনাতুঙ্গ, জয়দেব, শ্ৰীমন, বিজয়, সমুদ্র প্রভৃতি স্থবিরাবলি জৈনধৰ্ম্মের উন্নতির চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু র্তাহাদিগের নানা মতভেদ উপস্থিত হওয়াতে অভীষ্টসিদ্ধি হয় নাই। মহামহোপাধ্যায় উদয়নাচাৰ্য্য ও কুমারিল ভট্ট প্রবল তর্কতরঙ্গে জৈনদিগকে পরাস্ত করিয়াছিলেন। সেই অবধিই জৈনধৰ্ম্ম হীনপ্রভাবিশিষ্ট হইয়াছে। জৈনদিগের আবু, গির্ণার, শত্রুঞ্জয় এবং পাশ্বনাথ পৰ্ব্বত প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান । এই সকল তীর্থের সংস্কৃত ও মাগধী ভাষার গ্রন্থে মাহাত্ম্য বর্ণন আছে, তাহা যতিগণ সাদরে পাঠ করিয়া থাকেন। ইহার মধ্যে শত্রুঞ্জয় মাহাত্ম্য অতি প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থে জৈনাচাৰ্য্য ধনেশ্বর সুরি স্বরাষ্ট্র দেশের শত্রুঞ্জয় নামক গিরির স্তোত্র ( মাহাত্ম্য বর্ণনা ) এবং সিদ্ধপুরুষদিগের চরিত্র বর্ণনা করিয়াছেন। ইহা চতুর্দশ সর্গে বিভক্ত। এই গ্রন্থ স্বরাষ্ট্রাধিপতি শিলাদিত্যের আগ্রহে ধনেশ্বব স্বরি ৪৭৭ শকে প্রস্তুত করেন। তিনি বলভীবাজ শিলাদিত্যের পীর্ষদ এবং তাহার ধৰ্ম্মোপদেষ্ট ছিলেন । {

  • প্রকৃত পক্ষে বিবেচনা করিয়া দেখিলে অমরসিংহকে জৈন না বলিয়া বৌদ্ধ বলাই উচিত । cश्मष्ठाई वथांर्षtछन ; अभब्र ६खन नरश्न, डिनेि cबोक ।

+ “সপ্ত সপ্তভিমদীনামতিক্রম্য চতুঃশতীম্। বিক্রমাদচ্ছিলাদিত্যে ভবিতা ভিক্ষুবৃদ্ধিকৃৎ a