পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম। tyసి “বোধিচিত্তবিবরণ" নামক বৌদ্ধগ্রন্থ-প্রণেতা ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি বলেন, বুদ্ধের বহুতর শিষ্যের মধ্যে,— "যোঁত্রাত্তিকে বৈতাষিকে যোগাচারে মাধ্যমিকশ্চেতি চত্বারঃ শিষ্যাঃ ” সোঁত্রাত্তিক, বৈভাষিক, যোগাচার ও মাধ্যমিক, এই চারিজন শিষ্যই তদীয় ধৰ্ম্মের আচাৰ্য্য। উক্ত সোঁত্রাস্তিক প্রভৃতি শব্দগুলি এস্থানে নামমাত্রবোধক, কি তাহার শাস্ত্রপ্রস্থানবোধক, তাহা স্থির করা যায় না। আমাদের যেমন দ্যায়, সাংখ্য, পাতঞ্জল, মীমাংসা প্রভৃতি শব্দ শাস্ত্রপ্রস্থানবোধক, গ্রন্থকর্তাদিগের নাম ভিন্ন ; ঐ সকল শব্দ তৎসদৃশ কি না বলা যায় না। যাহা হউক, উক্ত চারি ব্যক্তি হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের মতভেদ উপস্থিত হইয়tছিল সন্দেহ নাই। নচেৎ বুদ্ধের উপদেশ কখনই বিভিন্ন মতাক্রান্ত নহে। উক্ত বোধিচিত্তবিবরণ-গ্ৰন্থকার ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তিও এইরূপ বলিয়াছেন ; যথা—

  • দেশনা লোকনাথানাং সত্বাশয়বশাল্পগাঃ । ভিদ্যন্তে বহুধা লোকে উপায়ৈবহুভিঃ পুনঃ ॥ গম্ভীরোত্তানভেদেন ক্কচিচ্চোভয়লক্ষণ । ভিরাপি দেশনা ভিন্ন শূন্থতাদ্বয়লক্ষণ ॥”

লোকনাথ অর্থাৎ বুদ্ধদেবের উপদেশ একরূপ হইলেও তদীয় শিষ্যদিগের অবস্থা ও বুদ্ধি একরূপ না হওয়াতেই বুদ্ধশাস্ত্র বিভিন্নাকার প্রাপ্ত হইয়াছে। বুদ্ধমতের মূল প্রস্রবণ এক হইয়াও আচাৰ্য্যগণের ভিন্ন ভিন্ন মত দ্বারা বৌদ্ধধৰ্ম্ম ক্রমে বিকৃত ভাব ধারণ করিয়াছে। এমন কি, শাক্যসিংহের মত কিরূপ ছিল, তাহা সহজে আচাৰ্য্যগণের গ্রন্থ পাঠে জানিতে পারা যায় না । মাধবাচার্য্য সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রন্থে চারিজন প্রধান আচার্য্যের মত সংগ্ৰহ করিয়াছেন মাত্র ৪ তাহাতে বুদ্ধের নিজের মত যাহা, যাহা সারিপুত্র ও আনন্দ উপালী প্রভৃতি গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহার কিছুমাত্র আভাস দেওয়া হয় নাই। কৃষ্ণমিশ্র প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটকে যে বৌদ্ধ মতের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা অতি স্বতি, বিকৃত ভাবাপন্ন। ৰোধ হয় তিমি "প্রজ্ঞাপারমিত” প্রভৃত্তি স্বত্রগ্রন্থ কখনই পাঠ করেন নাই ; কেবল অন্তধৰ্ম্মাবলম্বি-প্রণীত আধুনিক সংগ্ৰহ গ্রন্থ পাঠে, র্তাহার ভ্রম হইয়াছিল। বুদ্ধের নিজের মত অত্ত্বি পবিত্র, এজন্য হিন্দুগণ র্তাহাকে