পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধমত ও তৎসমালোচন RRసి ক্ষান্তি, উৎসাহ, ধ্যান, সমাধি, এই সকল প্রজ্ঞালাভের উপায় । এতৎসাধনজন্ম প্রজ্ঞার পারে অর্থাৎ অনন্তর নির্বাণ। নিৰ্ব্বাণমুক্তি বৌদ্ধদিগের যেমন, ঋষিদিগেরও সেইরূপ । শাক্যসিংহ বুদ্ধধৰ্ম্মকে অভিমুখ করিয়াছিলেন, প্রণিধানের মাহাত্ম্য প্রদর্শন করিয়াছিলেন, প্রাণীর প্রতি মহাকরুণ প্রকাশ করিয়াছিলেন, প্রাণিগণের মুক্তিপথ চিন্তা করিয়াছিলেন, সৰ্ব্বসম্পদকে বিপত্তিপৰ্য্যবসান দৃষ্ট করিয়াছিলেন, সংসারকে অনেক উপত্রব ও ভয়সস্কুল দেখিতেন, কাম এবং কলিপাশ ছেদন করিয়াছিলেন, সংসারবন্ধন হইতে আত্মাকে উদ্ধার করিয়াছিলেন, এবং নিৰ্ব্বাণে চিত্ত প্রেরণ করিয়াছিলেন, এই বিশ্বাস সকল বৌদ্ধদিগের আছে, এবং তাঁহাদের গ্রন্থেও এইরূপ লিখিত আছে। “বুদ্ধধৰ্ম্মাংশ্চাভিমুখীকরোডি স্ম—প্রণিধান বলং চাভিনিহঁরতি স্ম—সত্বেষু চ মহাকরুণাং অবক্রীমতি স্ম—সত্ব প্রমোক্ষং চিন্তয়তি স্ম—সৰ্ব্বসম্পদে বিপতিপৰ্য্যবসান ইতি প্রত্যবেক্ষতে স্ম—অনেকোপ দ্রবভয়বহুলঞ্চ সংসারমুপপরীক্ষতে স্ম— মারকলিপাশাংশ্চ সঞ্ছিনত্তি স্ম— ংসারপ্রবন্ধদাত্মানমুচ্চালয়তি স্ম— নিৰ্ব্বাণে চ চিত্তং সম্প্রে ষয়তি স্ম—” ইত্যাদি ভারতবর্ষীয় আর্য্য দার্শনিকদিগের মধ্যে যেমন জগতের মূলতত্ত্ব কোন মতে পচিশ, কোন মতে ষোল, কোন মতে সাত,—তেমনি পুরাতন বৌদ্ধদিগের মতে জগতের মূলতত্ত্ব দুই, চিত্ত ও ভূত। চিত্ত হইতে পঞ্চস্কন্ধাত্মক চৈত্তপদার্থের, ভূত হইতে ভৌতিক পদার্থের, এই উভয়বিধ পদার্থ দ্বারা বাহ ও অভ্যন্তরঘটিত সমস্ত ব্যবহার নিম্পন্ন হইতেছে । তদযথা— “ভূতং ভৌতিকং চিত্তং চৈত্তঞ্চ ।” ( শঙ্করাচার্যাধুত বুদ্ধবাক্য । ) “খরস্নেহোষ্ণেরণস্বভাবাস্তে পুথিবীধাত্বাদয়শ্চত্বারঃ ।” বুদ্ধদেবের মতে ভূত ৪ট, ইনি মূল পদার্থকে ধাতু শব্দে উল্লেখ করিতেন