পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ ঐতিহাসিক রহস্য —দ্বিতীয় ভাগ পালিভাষায় উহার নাম “ত্রিপিটকম্‌” ভিলাস্ত,প গ্রন্থকার কনিংহাম সাহেব কছেন, বিনয় ও স্বত্রপিটকে শ্রাবক ও সাধারণ বুদ্ধমণ্ডলীকে সম্বোধন করিয়া উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল, এজন্ত উহ! প্রাকৃত ; এবং অভিধৰ্ম্ম পিটক বোধিসত্বগণকে বলা হইয়াছিল, এজন্ত উছ সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়। কিন্তু আমাদিগের বিবেচনায় সমুদায় পালেয় বা পালিভাষায় লিখিত হইয়াছিল, কেননা বুদ্ধদেব মাগধী ভাষা ভিন্ন অন্ত কোন ভাষায় উপদেশ প্রদান করেন নাই। তিনি ভিক্ষুবৃন্দকে সম্বোধন করিয়া কহিয়াছিলেন, “আমার বাক্য সকল সংস্কৃতে অনুবাদ করিও না, তাহা হইলে বিশেষ অপরাধী হইবে। আমি যেমত প্রাকৃতভাষায় উপদেশ দিতেছি, ঠিকৃ সেইরূপ ভাষা গ্রন্থাদিতে ব্যবহার করিবে।” সুতরাং ইহ নিঃসংশয় স্থির হইতেছে, ত্রিপিটক পালিভাষায় রচিত হইয়াছিল। এবং ইহার টীকাকারও কহেন “বুদ্ধ-বাক্য সকল সকণিরুত্তি অর্থাৎ প্রাকৃতভাষায় রচিত।” মহাবংশের লিখনানুসারে স্বভূতিনামক সিংহলদেশীয় বৌদ্ধাচাৰ্য্য অনুমান করেন, ত্রিপিটক শ্রুতির স্থায় পুৰ্ব্বে সকলের কণ্ঠস্থ ছিল, তৎপরে অনুমান খ্ৰীষ্টজন্মের একশত বৎসরের পুৰ্ব্বে ভট্টগমনীর রাজ্যকালে গ্রন্থবদ্ধ হইয়া লিখিত ও প্রচারিত ছইয়াছিল। ৩০৭ খ্ৰীঃ পূঃ মহারাজ মহেন্দ্র ত্রিপিটক ও তাহার অর্থকথা সিংহলদ্বীপে প্রচার করেন এবং তিনি সাধারণ বৌদ্ধগণের জন্ত তাহার সিংহলীয় অনুবাদ করিয়াছিলেন। সিংহলীয় ভাষার সেই অনুবাদ এক্ষণে সুপ্রাপ্য নহে। আচাৰ্য্য বুদ্ধঘোষ চারি শত খ্ৰীষ্টাবে ইহার পুনরায় পালি অনুবাদ করিয়াছিলেম, তাহী সি•হল ও ব্রহ্মদেশে প্রচলিত আছে। বিনয় পিটকে শাক্যসিংহের জীবনচরিত ও বৌদ্ধ ভিক্ষুবুনোব নিমিত্ত সৰ্ব্বসৎকৰ্ম্মপদ্ধতি লিখিত আছে। সুত্র পিটক বুদ্ধদেবের উপদেশ ও বিবিধ আখ্যানে পরিপূর্ণ, এবং অভিধৰ্ম্ম পিটকে বিজ্ঞানাদিঘটত বৌদ্ধধর্মের নিগুঢ়তত্ব নিরূপিত আছে। ত্রিপিটকের বিভাগ এইরূপ — বিনরপিটকম্। পরাজিক, পাসিক্তি, মহাবগুগো, পরিবারপাঠে । স্বস্তুপিটকম্। দীঘূঘ নিক্কেয়, মঝঝি নিক্কেয়, সামুক্ত, অঙ্গুত্তর নিক্কের, ক্ষুদক নিক্কেয়। শেষোক্ত গ্রন্থখানি নিম্নলিখিত ভাগে বিভক্ত । খুদক পাঠে, ধন্মপদম্ উদানমূ.