পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধমত ও তৎসমালোচন । දී එ6 ইতিবৃত্তক, স্বত্তনিপাত, বিমানবাখ, খেরগাথ, পেটবাখ, থেরগাথা, জাতকৰ্ম্ম, নিদেশে, পতিসমভিদ মাগগ, অপাদানমূ, বুদ্ধবংশ, সারিয়পিটকম্। অভিধন্সপিটকম্। ধৰ্ম্মসঙ্গনি, বিভাঙ্গম, কথাবাখ, পুগুগল, পানত্তি, ধাতুকথা, যমকম্‌, পাঠনম্। নিৰ্ব্বাণকামনাই বৌদ্ধ জীবনের মুখ্য উদ্দেশু। এই নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্তিব জন্তই তাহার শারীরিক নানাবিধ কষ্ট স্বীকার করিয়া থাকে এবং শাক্যসিংহও পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণের কষ্ট হইতে পরিত্রাণ পাইবার জন্ত, বৌদ্ধগণকে একমাত্ৰ নিৰ্ব্বাণ লাভ করিতে বিবিধ উপদেশ দিয়াছেন । পৃথিবীতে জন্মগ্রহণই কষ্টদায়ক। সৎকার্য্যের দ্বারা পুনর্জন্ম না হইয়া নিৰ্ব্বাণ লাভ হয় এবং তাঁহাই বৌদ্ধগণের পরম মুখ। বৌদ্ধশাস্ত্রে লিখিত আছে যে, “জয় ঘচ চরম রোগ সঙ্খার পরম দুখম্। এতম্নতা যথা ভূতম্ নিৰ্ব্বাণম্ পরমম্ মুখম্।।” অর্থাৎ যেমন ক্ষুধা, রোগ অপেক্ষাও কষ্টদায়ক, সেইমত জীবন, দুঃখ অপেক্ষীও ক্লেশদায়ক ; কিন্তু একমাত্ৰ নিৰ্ব্বাণই পরম মুখ । নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্তির নিমিত্ত আহঁতগণকে নিম্নলিখিত গুণবিশিষ্ট হইতে হইবেক ; যথা,—দান, শীল, ক্ষান্তি, বীৰ্য্য, ধান, প্রজ্ঞান, উপায়, বল, প্রণিধি ও জ্ঞান, (ইহাকে পারমিত কহে । ) বৌদ্ধের নাস্তিক, তাহাদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থে ঈশ্বরের নামমাত্রেরও উল্লেখ নাই। বৌদ্ধগ্রন্থমধ্যে আদিবুদ্ধশব্দের উল্লেখ আছে। কেহ কেহ তাহার অর্থ ঈশ্বর অনুমান করেন ; কিন্তু সেটা ভ্রম। উহার অর্থ পূৰ্ব্ব পূর্ব কল্পের দীপঙ্কারাদি বুদ্ধ। বুদ্ধের নীতি অতি পবিত্র, তাহ চিন্তা করিলে হৃদয়ে অলৌকিক ভাবের উদয় হয় তত্ত্ববিৎ কান্ট ও কোমৎ, যে সকল অভিনব তত্ত্ব আবিষ্কাৰ করিয়াছেন, তাহার অধিকাংশ শাক্যসিংহেয় মুখ হইতে সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে বিনির্গত হইয়াছে। বৌদ্ধধৰ্ম্মের জ্যোতি ভারতবর্ষ হইতে বিকীর্ণ হইয়া পৃথিবীর অনেক স্বসভ্য জাতির হৃদয় উজ্জল করিয়াছিল। এক সময় ও মণিপদ্মে স্থং” এই মন্ত্রে পৃথিবী কম্পান্বিত হইয়া উঠিয়াছিল। যে যবনজাতি আমাদিগকে এক্ষণে অসভ্য অৰ্দ্ধশিক্ষিত বলিয়া ঘৃণা করিয়া থাকে, সেই জাতির পিতামহ গ্ৰীকৃগণ আমাদিগের নিকট বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া এই ধৰ্ম্মের উন্নতি