পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালিভাষা ও তৎসমালোচন । “পালি” অতি প্রাচীন ভাষা। সংস্কৃত ইহার জননী। তথাপি পালিব্যাকরণকর্তী কচ্চায়ন • কছেন “এই ভাষা সকল ভাষার মূল ” এই কল্পের আরম্ভে ব্রাহ্মণ ও অন্তবর্ণের ইহা মাতৃভাষা ছিল, এবং বুদ্ধদেব স্বয়ং এই ভাষায় কথোপকথন করিয়াছিলেন। ইহাকে মাগধী ভাষাও বলে । যথা ;– “স মাগধী মূলভাষা নরেয় আদি কল্পিক । ব্রাহ্মণ সস্থউল্লাপ সম বুদ্ধ চাপি ভাষরে ॥” পুনশ্চ “পতি-সম্বিধ-অ্যু” নামক পালিগ্রন্থে লিখিত আছে "এই ভাষা দেবলোকে, নরলোকে, নরকে, প্রেতলোকে, এবং পশুজাতির মধ্যে সৰ্ব্বস্থলেই প্রচলিত। কিরাত, অন্ধক, যোণক, জামিল প্রভৃতি ভাষা পরিবর্তনশীল ; কিন্তু মাগধী আৰ্য্য ও ব্রাহ্মণগণের ভাষা, এজন্য অপরিবর্তনীয়, চিরকাল সমানরূপে ব্যবহৃত। বুদ্ধদেব স্বয়ং মাগধী ভাষা সুগম ভাবিয়া পিটকনিচয় এই ভাষায় সৰ্ব্বসাধারণের বোধসৌকর্য্যার্থে ব্যক্ত করিয়াছিলেন।” লিথিবীর ও কথোপকথনের (গৃহধৰ্ম্মের ) ভাষা স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রকার, এবং এই বিধ ভাষা চিরকালই প্রসিদ্ধ। “ন গ্নেচ্ছিত বৈ নাপভ্রংশিত ৰৈ” এই শ্রতিবাক্য, আর "য এব শব্দ লোকে ত এব বেদে,” “লোকবেদয়েীঃ সাধারণ্যাৎ ইত্যাদি আচাৰ্য্যবাক্য, এবং “যদ্যয়ন্ত্রীয়ং বাচং বন্ধেৎ” এই বেদবাক্য, এবং “যাতযামঞ্চ যদ্ভবেৎ” ইত্যাদি স্মৃতিবাক্য দ্বারা স্পষ্ট প্রতীত হয় যে, অতি প্রাচীনকালেও দ্বিবিধ ভাষা প্রচলিত ছিল। বৃহদ্ধৰ্ম্মপুরাণে লিখিত আছে,— “ততে ভাষাশ্চ সহজে পঞ্চাশং ষটু চ সংখ্যয় । * তজজ্ঞানায় চ বালানাং তত্তদ্ব্যাকরণানি চ।”

  • ֆլԾյիՀ