পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালিভাধা ও তৎসমালোচন।। ইষ্ট৭ “নমাখ জন শাক্তন তমশান্তন ভেদিলে৷ ঘক্ষুজালস্তরুচিন জুনিনোদাতয়চিনে । পিঙ্গলাচাৰ্য্য দিহিস্থদানম দিতমপুর স্বদ্ধ মাগধী কানন তন নপাধতি ঘথিচ্ছিতম্ ॥ ততো মগধ ভাষের লতাবল্প বিভেদনন লক্ষ লক্ষণ সন্মুম্বন পশানথ পদাকমম্। ইদম বুত্তোদয়ন নাম লোকীয় চ্ছন্দ মিস্তিত{ অৰ ভিশুমহন দানি তেশম স্থখ বিবুদ্ধিয় ।” অর্থাৎ "মুনীন্দ্রকে নমস্কার, যিনি চক্সের স্তায় কিরণে ধর্শের উজ্জলতা বৃদ্ধি করেন, এবং যিনি মানবজাভিয় মনের তিমির নাশ করেন। পিঙ্গলাচাৰ্য্য প্রভৃতি পূৰ্ব্ব পণ্ডিতগণের রচিত ছন্দোগ্রন্থ দ্বারা বিশুদ্ধ মাগধীভাষা উত্তমরূপ শিক্ষা করা যায় না, এজন্য অতি সুগম মাগধী ভাষায় এই বুত্তোদয় রচনায় প্রবৃত্ত হইলাম। ইহাতে উত্তমরূপ মাত্র ও বর্ণের প্রভেদ দেখাইয় প্রচলিত ছনঃসমূহের রচনার রীতি উদাহরণ সহকারে প্রদর্শিত হইল।” এই গ্রন্থ ছয় অংশে বিভক্ত । গ্রন্থকারের নাম সজঘরক্ষিত । ধাতুমঞ্জুষা —এখানি শিলাবংশ নামক বৌদ্ধ স্থবিরকৃত পালিভাষার ধাতুপাঠ । ইহা কচ্চায়নের ব্যাকরণ-সম্মত গ্রন্থ, এজন্ত ইহার অপর নাম কচ্চায়নধাতু-মঞ্জুষা। গ্রন্থের প্রারম্ভ শ্লোক যথা— “নিরুক্তি নিকর পার পাবাবারস্তগান মুনিন বন্দিত ধাতুমঞ্জুষান্‌ ক্ৰমি পবচনান যশান জগত গম মধম তন তন ব্যাকরণানি চ ॥” ইত্যাদি । “অর্থাৎ শব্দসমুদ্র পার হইয়াছেন, এতাদৃশ বুদ্ধদেবকে বন্দনা করিয়া সঙ্কশ্বের মাৰ্গস্বরূপ এই ধাতুমঞ্জুষ রচনা করিলাম। বৌদ্ধধৰ্ম্ম, বিবিধ ব্যাকরণ উত্তমরূপ আলোচনা করিয়া এই ধাতুপাঠ সঙ্কলন করিলাম।” গ্রন্থকার এইরূপ আপনার পরিচয় দিয়াছেন। তথাহি— “রচিত ধাতুমঞ্জুষা শিলাবংশেন ধীমতা সধৰ্ম্ম পন্ধেরুহ রাজহংস, অসিথ ধামাৎ থিটি শিলাবংশ ঘক্ষণদিলে নাম নিবাসবাসী, যতীখবে সে জমিদান আকাশী—”