পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి(t\ు ঐতিহাসিক-রহস্য —দ্বিতীয় ভাগ । নিৰ্ম্মাণ করেন নাই, চিরকালই আছে। তবে কল্পান্তকালে যে ব্যক্তি প্রথম শরীরী হন—তিনি অর্থাৎ হিরণ্যগৰ্ভ বা ব্ৰহ্মা প্রকাশ করেন মাত্র । স্বপ্তব্যক্তি প্রতিবুদ্ধ হইলে যেমন পুনৰ্ব্বার তাহার পূর্বাভ্যস্ত পদার্থের জ্ঞান স্বতঃই উৎপন্ন হয়, সেইরূপ বেদও তাহার জ্ঞানে স্বতঃই উদিত হইয়াছিল ; এবং পুরুষের যেমন শ্বাসপ্রশ্বাস উৎপাদন করিতে বুদ্ধি বা যত্ন অপেক্ষা করে মা, সেইরূপ বেদ উচ্চারণ করিতেও তাহার বুদ্ধি বা যত্ন অপেক্ষিত হয় নাই। বেদান্তও এইরূপ বলেন। গৌতম বলেন, বেদ জন্য বটে, কিন্তু তাহার প্রমাণ অগ্রাহ নহে । কেননা ভ্রমপ্রমাদাদিরছিত আপ্তপুরুষ ইহার বক্ত। “ মন্ত্রায়ুৰ্ব্বদপ্রামাণ্যবচ্চ তৎপ্রামাণ্যমূ” এই স্বত্র দ্বারা বেদের প্রামাণ্যপরিগ্রহের দৃষ্টান্ত দেখান। “মন্ত্রকে ও আয়ুৰ্ব্বেদকে” গৌতম যদিও স্পষ্টাভিধানে ঈশ্বরপ্রণীত বলেন নাই; কিন্তু গতিকে তাহার ঈশ্বরপ্রণীত বলা হইতেছে। র্তাহার মতে তাদৃশ আগুপুরুষ ঈশ্বর ব্যতীত আর কেহই নাই। মন্ত্র প্রভৃতি ঋষিদিগেরও এই মত। আস্তিক আৰ্য গ্রন্থকারদিগের মতে অপৌরুষেয় বাক্যের নাম বেদ, কেহই তাহা মনুষ্যপ্রণীত বলিয়া স্বীকার করেন না । এ সকল শাস্ত্রীয় তর্ক ত্যাগ করিয়া যুক্তি অবলম্বন করিলে দৃষ্ট হইবে, বৈদিক ঋষিগণই উহার প্রণেতা। র্তাহারাই আপনাদের অভীষ্টসাধনের জন্য দেবতাদিগের নিকট ছন্দোযুক্ত স্তোত্র লইয়া গমন করিয়াছিলেন। যথা— “অৰ্থং পশুস্ত ঋষয়ে দেবতাশস্থনোভিবভ্যধাবন ।” ৰৈদিক স্তোত্রনিচয় এক সময়ে রচিত নহে, তাহ সময়ে সময়ে ঋষিগণ কর্তৃক এক এক অংশে রচিত হইয়াছিল । বর্তমান বেদ যাহা আমরা ব্যবহার করিতেছি, ব্যাসের পূৰ্ব্বে ইহা এরূপ ছিল না। পরাশরননান কৃষ্ণদ্বৈপায়ন কুরুপাগুবদিগের যুদ্ধের পূৰ্ব্বে সমুদায় বেদ স্বপ্রণালীবদ্ধ করিয়া প্রচার করেন, এজন্য র্তাহার নাম বেদব্যাস হইয়াছে। তিনি চারিজন শিষ্যকে চারিবেঙ্গ উপদেশ দিয়াছিলেন ; যথা—বহচ-নামক ঋগ্বেদ সংহিতা পৈলকে, নিগদাখ্য ধজুৰ্ব্বেদ সংহিতা বৈশম্পায়নকে, ছন্দোগ-নামক সামবেদ সংহিত জৈমিনিকে, এবং আঙ্গিরসী-নামক অথৰ্ব্ব-সংহিতা সুমন্তকে শিক্ষা দিয়াছিলেন। শ্ৰীমদ্ভাগবত ১২শ স্কন্ধ ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে লিখিত আছে-“পৈল স্বীয় সংহিতা দুই ভাগ করিয়া ইন্দ্রপ্রমতিকে ও বাস্কলকে কহিলেন, এবং বাস্কল তাহা