পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ । ২৬৭ জাবিভূর্ত হইলে অনিৰ্ব্বচনীয় আমোদ উপস্থিত হয় বলিয়া কথঞ্চিৎ নিরূপণ করিতে ইচ্ছা হয় । অনুসন্ধেয় বিষয় বহুপ্রকার হইলেও প্রধানতঃ ৪ট বিভাগ স্থির করা গেল । ভাষা (১), পার্থিব অবস্থা (২), জীব-প্রকৃতি (৩), তাহাদের ব্যবহারপদ্ধতি (৪) । ইহাব স্পষ্টতার জন্য চারিট কালেরও উল্লেখ হউক। বৈদিক কাল (১), আর্যকাল (২), আচাৰ্য্যকাল (৩), পরাভূত কাল (৪)। যে কালে সংহিতা ও ব্রাহ্মণ সকল প্রচারিত হয়, তাহাই বৈদিককালের লক্ষ্য। আর্ঘকালের লক্ষ্য মধ্যকাল ( অর্থাৎ যে সময় স্মৃতি ও নানাবিধ পুরাণ প্রকটিত হয়। ) এই আর্যকাল ও পরাভূত কাল এতদুভয়ের অন্তরাল কালকে আচাৰ্য্যকাল বলিয়া জানিতে হইবে। পরাভূতকাল, বর্তমানকাল ৫০০ বৎসর পর্য্যন্ত গ্রহণ করা গেল। এই চারিট কালের সহিত উপযুক্তি চারিটা বিষয়ের প্রত্যেকের সম্বন্ধ থাকিবে। প্রথমে বৈদিক কালের ভাষাসম্বন্ধে লেখা যাইতেছে। ভারতবর্ষের প্রধান ভাষা সংস্কৃত । তদ্ভিন্ন অন্য ভাষাও দেখা যাইতেছে। এইরূপ আদিমকালেও ছিল কি না--অনুসন্ধান করিলে, ছিল বলিয়াই প্রতীতি হয়। সংস্কৃতের অবস্থা কথঞ্চিৎ বুঝা যাইতে পারে বটে, কিন্তু অন্ত ভাষা কিরূপ আকারে ছিল, তাহা বুঝা যায় না। বৈদিক গ্রন্থ সকল পর্যালোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীতি হয়, সংস্কৃত ভিন্ন ভাষাস্তরেরও প্রচার ছিল, এবং তাহা এক্ষণকার দ্যায় শ্রেণীবিশেষে বিভিন্ন আকাবে ছিল । দেবতারা কিংবা আর্যের DBBB SBBB S BBBBS BBBB BBBB BBBB SBBBSS SBBS *গোপোৎলী" ইত্যাদি বলিত। তাহাবা শত্রুদিগকে “ছে অরয়ঃ !” বলিয়া সম্বোধন করিতেন, অস্থবের “হেলয’ বলিয়া তাহাদিগকে প্রত্যুত্তর দিত। যাহাব আদিমকালেব অসুব, তাহাবাই মধ্যকালের স্লেচ্ছ । কেন না, মহর্ষি জৈমিনি “চোদি তন্তু প্রতীতেন অবিরোধাৎ প্রমাণেন।” ইত্যাদি স্বত্র দ্বাবা স্লেচ্ছ শাঙ্কেতিক পদার্থকেও যজ্ঞকাৰ্য্যে গ্রহণ করিতে উপদেশ দিয়া পুৰ্ব্বোক্ত আস্থরিক বাক্যকে স্লেচ্ছবাক্য বলিয়া উদাহৰণ দিয়াছেন। “পিক” “নেম” “সতP “তামরস” প্রভৃতি অনেকগুলি শব্দ এক্ষণে সংস্থত ভাষামধ্যে নিবিষ্ট হইয়াছে, বস্তুতঃ ঐ সকল শব্দ সংস্কৃতই নহে। ঐ সকল শব্দ তত্ত্বৎ অর্থে পূৰ্ব্বকালের অশ্ববের বা স্নেচ্ছেরই ব্যবহার করিত। তাহার কোকিলকে “পিক,” নামকে