পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ । &や為 ཨ་ན། རྒྱས་ বল বুঝায় । “আম” এইটা যে বলের একটী নাম, তাহা আমরা আর শুনিতে পাই না সুতরাং বুঝিতেও পারি না। “ধন্থঞ্চিদা”—“ধন্বন" মরুভূমি, চিৎ" প্রায়শঃ । ইহা বুঝিলেও বুঝা যায় বটে, কিন্তু চিদা এই চিৎ শব্দের পরে আকার থাকাতেই গোলযোগ। ঐ আকারটার সহিত “অবাতাং” শব্দের সম্বন্ধ । আ অবাতাং । অী সমস্তাৎ —এইরূপ অর্থ হইবে, ইত্যাদি। পুৰ্ব্বে ব্যাকরণ ছিল না। যথা— “বৃহস্পতিরিক্রায় দিব্যং বর্ষসহস্রং প্রতিপদোক্তানাং শব্দানাং শব্দপারায়ণং প্রোবাচ নান্তং জগাম ।” এই বেদবাক্য দ্বারা প্রতীতি ছয় যে, পূৰ্ব্বকালে চীনদেশীয় বর্ণমালার স্থায় একটা একটা করিয়া শব্দরাশি শিখিয়া গ্রন্থাধ্যয়ন করিতে হইত। কিছুকাল পরে কিঞ্চিৎ কৌশলসম্পন্ন প্রণালী নিবদ্ধ হইল - অর্থাৎ মাম, আখ্যাত, উপসর্গ, নিপাতন, এই চারি-জাতি শব্দ স্থির হইল । “চত্বারি শৃঙ্গ ত্রয়োহস্ত পাদ দ্ধে শীর্ষে সপ্ত হস্ত সোহস্ত। বিধা বন্ধে বৃষভে} রেীরবীতি মহো দেবে মর্ত্যাং আৰিবেশ।” শব্দসমুদ্রের পার প্রাপ্তির নিমিত্ত কতকগুলি স্বনিময় সংস্থাপিত হইলে উপযুক্ত রূপক বাক্যটা লোকে আনন্দের সহিত পাঠ করিয়াছিল । ৰৈয়াকরণিক বস্তুগুলি উহাতে বৃষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। যথা—নাম, আখ্যাত, উপসর্গ, নিপাত, এই চারি প্রকার পদসমূহ ঐ বৃষের শৃঙ্গ। তিনটী কাল তাহার পদ। স্বপ, ও তিঙ, তাহার মস্তক । সাতটা বিভক্তি তাহার হস্ত । :, কর্ণ ও মূৰ্দ্ধা এই তিন স্থানে ঐ সমুদয় গ্রথিত। এই বৃষ জগতে আবিভূর্ত হইবামাত্র শব্দকার্য রব করিয়া উঠিল। যাহা ইচ্ছা তাহাই প্রকাশ করা যায় বলিয়া উহ নানাপ্রকার নামে খ্যাত হইল। কিছুকাল পরেই ব্যাকরণ জন্মে। ব্যাকরণ বলিলে যে পাণিনি-ব্যাকরণ বুঝিবে তাহা মহে। কেননা, পাণিনি পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব আচার্যাদিগের মত প্রকাশ করিয়াছেন এবং “ব্যাকরণ” এই নামও পাণিনি-ব্যাকরণ অপেক্ষা প্রাচীন গ্রন্থে দৃষ্ট হয়। বর্তমান ব্যাকরণ, বর্তমান নিরুক্রগ্রন্থ, বর্তমান কোষগ্রন্থ, এ সকলের পূৰ্ব্বেও ঐ ঐ জাতীয় গ্রন্থ ছিল। পাণিনি যেমন পূৰ্ব্ব ব্যাকরণের উল্লেখ করিয়াছেন, নিরুক্তকার যাস্ক মুনিও তেমন অন্য নিরুক্তের উল্লেখ করিয়াছেন । ,