পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭e ঐতিহাসিক-রহস্য —দ্বিতীয় ভাগ। মেদিনী প্রভৃতি কোষগ্রন্থের পূৰ্ব্বে "বৃহত্ত্বৎপলিনী” “উৎপলিনী” তৃতি কোষগ্রন্থ ছিল, ঐ সকল এখন আর পাওয়া যায় না। “ব্রাহ্মণপৰ্ব্বস্ব” প্রভৃতি বেদমন্ত্র-ব্যাখ্যা-গ্রন্থে ঐ সকল প্রাচীন কোম হইতে শব্দপৰ্য্যায় উস্কৃত হইয়াছে। অতএব পাণিন্তাদি মুনিগণ আদিম আচাৰ্য নছেন । বৈদিকগ্রন্থে বলের নাম আটাইশ, সংগ্রামের নাম ছ-চল্লিশ, অপত্যের নাম পনর, বাক্যের নাম সাতাল্প, ধনের নাম আটাইশ, ইত্যাদি দেখা যায়। সে সকল নাম এক্ষণে আর ব্যবহার করিতে প্রায় দেখা যায় না । আদিম কালের কোন বস্তুর নাম দশ ছিল, এক্ষণে তাহার ২০০ নাম দেখা যায়। জুবার কোন বস্তুর পঞ্চাশটা ছিল, এখন পাচটীও নাই। এতদূর বিপৰ্য্যয় ঘটিয়াছে। কতকগুলি শবদ আদিম কাল হইতে সমান চলিয়া আসিতেছে ; যথা—গে, অশ্ব ইত্যাদি। কতকগুলি ম্লেচ্ছ শব্দ সাধারণ্যে চলিত আছে। স্লেচ্ছ শব্দ শুনিলে সাধারণে মনে কবে, পারসী কি ইংরাজী ; বস্তুতঃ তাহা নহে। যুধিষ্ঠিরকে বিছর স্লেচ্ছভাষায় গুপ্ত জতুগৃহের কথা বলিয়াছিলেন ; এই কথায় সাধারণে মনে কবে, বিছর ও যুধিষ্ঠির পারসী জানিতেন ; উহা ভ্রম। ফল স্লেচ্ছভাষাসম্বন্ধে যেরূপ আৰ্য্যশাস্ত্রে উল্লেখ দেখা যায়, তাহাতে এইরূপ অর্থ দাড়ায় যে, ম্লেচ্ছভাষা আর কিছু নহে, কেবল প্রকৃতি প্রত্যস্থাদি বৈয়াকরণিক সম্বন্ধহীন ভাষাই স্লেচ্ছভাষা । ম্লেচ্ছভাষা সম্বন্ধে এইরূপ নির্ণয় আছে – শুদ্ধ ভাষা তিন প্রকারে রূপান্তবিত হইয়া স্লেচ্ছভাষায় পরিণত হইয়াছে । কোন স্থলে বর্ণাধিক্যবশতঃ, কোথাও বর্ণবিপৰ্য্যয়বশতঃ কোথাও বা বর্ণলোপবশতঃ, স্থলবিশেষে বর্ণ-স্ববাদি বিকৃত হইয়া স্লেচ্ছভাষানামে প্রচলিত হইয়া যায়। কাঞ্চ শতপথ ব্রাহ্মণ প্রভৃতি বৈদিকগ্রন্থে উক্তপ্রকার ভাষার ভূরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যায়। আধুনিক নাটকাদিতে যেমন তদ্র ও ইতর লোকের কথাবার্তা বিভিন্ন, তদ্রুপ বৈদিক গ্রন্থেও দেবতাদিগের ও অস্থর মেচ্ছদিগের কথাবার্তা বিভিন্ন। কাঞ্চ শতপথ ব্রাহ্মণে, ইন্দ্র অহরদিগকে জিজ্ঞাসা করি লেন—

  • ইমাং চিত্ৰাখ্যাং মদীয়ামিষ্টকামুপধান্তে ।” তোমীদিগেয় নিমিত্ত আমি এই আমার ইঃক অগ্নিতে নিক্ষেপ করি।