পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ । ՀԳՖ অর্থরৈর উত্তর করিল, “উপহি” । এটা “উপধেহি” হইলে শুদ্ধ হইত, কিন্তু বর্ণলোপ হওয়াতে তাহ না হইয় স্লেচ্ছভাষায় পরিণত হইয়াছে। এইরূপ—

  • তেৎস্থর হেলয় হেলয় ইতি বদন্ত পরাবভুবুঃ ” এস্থলে “হেলয়” এই শব্দের স্থানে দেবতার বা আর্য্যের “হে অরয়ঃ* প্রয়োগ করিয়াছেন। এস্থলে বর্ণ বিপৰ্য্যয়ামুসারী স্লেচ্ছভাষা জানিতে হইৰে ।

এইরূপ বৈদিক ভাষার আলোচনা করিলেও বৈদিক কাল নিরূপণ করা সহজ ব্যাপার নহে। বেদের সংহিতা ও ব্রাহ্মণ এক সময়ে রচিত হয় নাই । ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংশ রচিত হইয়াছে। পণ্ডিতবর হৌগ সাহেব অমু মান করেন, বেদের সংহিতা ২৪০০ হইতে ২০০০ খ্ৰীষ্ট জন্মগ্রহণের পূৰ্ব্বে, ও ব্রাহ্মণভাগ ১২০০ খ্ৰীঃ পূঃ রচিত হইয়াছে। গ্রাহ্মণ ও বিপ্র শব্দে পূৰ্ব্বে বৈদিকমন্ত্রের বক্তা বুঝাইত। এক্ষণে স্বত্রধারী ব্রাহ্মণ যেমন এক জাতি হইয়াছে, পূৰ্ব্বে সেরূপ ছিল না। যাহার যঞ্জন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপনাদি ব্যবসায়ে নিযুক্ত থাকিতেন, এবং ধৰ্ম্মের প্রচার করিতেন, তাহারাই ব্রাহ্মণ নামে বাচ্য হইতেন । পরে ক্রমে পুত্রপৌত্ৰাদির একটি ব্যবসা অনুসারে ব্রাহ্মণ এক জাতি ইয়া উঠিয়াছে। ব্রাহ্মণগণের বৈদিককাল হইতেই শিখ রাখা প্রসিদ্ধ ; কিন্তু সে সময় "তরমুজের বেঁটাসম টাকি শোভে শিরে” ছিল না, তাহা শাস্ত্রানুসারে মস্তকের অধিকাংশ স্থান ব্যাপিয়া থাকিত ; এই শাস্ত্রীয় টকির নাম “বেড়ী।” ইহ ভিন্ন ভিন্ন বংশ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ছিল। যথা— “ দক্ষিণকপদ বাশিষ্ঠা আত্ৰেয়াস্ত্রিকপর্দিনঃ। আঙ্গিরস; পঞ্চচুড়া মুণ্ডা ভূগবঃ শিখিনোহন্তে ॥” এইরূপ শিখ রাখা কেবল টুপী বা পাগড়ীর প্রতিনিধি। বৈদকিকালে টুপী বা পাগড়ী বন্ধন করিতে হইত, তাহ না করিলে লোকসমাজে নিন৷ করিত। যথা—মহর্ষি আপস্তম্ব কহিয়াছেন,— “ন সমাবৃত্তা বপেয়ুরষ্ঠত্র বীহারাদিত্যেকে । অথাপি ব্রাহ্মণ এঘ রিক্তে বী পিহিতস্তস্তেব তদেব পিধানং যচ্ছিখ ॥” - অর্থাৎ গৃহস্থ ব্রাহ্মণ মস্তক মুণ্ডন কবিবে না, কেননা গৃহস্থ ব্যক্তির মস্তক আবরণশ্বন্ত হইলে, সে লোকের নিকট তুচ্ছ হয় ; এজন্ত যে ব্যক্তি শিখ রাখে, তাহার শিখাই ঐ আধরণস্থানীয়।