পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ ঐতিহাসিকরছস্ত ।--দ্বিতীয় ভাগ । বৈদিককালের আর্য্যের কৃষিজীবী ছিলেন, তাহার কৃষিকাৰ্য্যেই বিশেষ সুখ অনুভব করিতেন। বেদের মধ্যে গ্রাম ও চতুর্দিকে প্রাচীরবেষ্টিত পুরের উল্লেখ আছে। ব্রাহ্মণগ্রন্থে দৃষ্ট হয়, যজ্ঞবেদী ইষ্টকে নিৰ্ম্মিত হইত, ইহাতে বোধ হয় গৃহাদিও ইষ্টক দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইত। ঋগ্বেদের মন্ত্রভাগেও ইষ্টকনিৰ্ম্মিত পুরীর উল্লেখ থাকা দৃষ্ট হয়। আদিমকালে অসভ্যজাতি অসুরের দৌরাত্মা করিত এবং আর্যগণ তাহাদিগকে দমন করিবার জন্ত সৰ্ব্বদা যুদ্ধ করিতেন, আর কোন কোন সময়ে কোন উপায় না দেখিয়া দেবতাদিগের নিকট তাহাদের দমনের জন্ত প্রার্থনা করিতেন। রাজার দ্বারা গ্রামাদি শাসিত হুইত, ভাব্য প্রভৃতি রাজার উল্লেখ ঋগ্বেদে আছে। সে সময় আর্য্যজাতির ব্রীহি (ধান্ত ), যব, মাষকলাই, তিল, ওষধি ( শস্ত ), বীরুৎ ( লতা), করম্ভ ( ফল )—“ব্রীহিমথে যবমথে মাষমথে তিলং” প্রধান আহারের দ্রব্য ছিল। সময়ে সময়ে তাহার অপুপ অর্থাৎ পিষ্টক এবং যজ্ঞকাৰ্য্য ভিন্নও মেষ, মহিষ, গো প্রভৃতির মাংস ভক্ষণ করিতেন । * সোমরস এবং বিবিধপ্রকার স্বরার সে সময় অত্যন্ত ব্যবহার ছিল এবং জুরাবিক্রেতারও অস্তাব ছিল না। ঋগ্বেদমধ্যে আর্যজাতির নানাপ্রকার ব্যবসায়ের উল্লেখ আছে । অধিকাংশ লোকই ব্যবসাকাৰ্য্য দ্বারা জীবনযাত্র নির্বাহ করিত। আদিমকালে মনুষ্যের আয়ু ১০০ বৎসরের অধিক ছিল না। মন্ত্র বলেন,—সত্যযুগে মনুষ্যের আয়ু ৪০০ বৎসর, ত্রেতায় ৩০০ বৎসর, স্থাপরে ২০০ বৎসর, কলিতে ১০০ বৎসর ; এ সকল কল্পনামাত্র ; কেননা, বেদে দেখা যায়, পুরুষের আয়ু শত বৎসর-“ধত্তে শতাক্ষরা ভবস্তি শতায়ঃ পুরুষঃ ” পুনশ্চ ঋকুমন্ত্রে দেখা যায়, আৰ্য্যগণ প্রার্থনা করিতেন, “জীবেম শরদঃ শতম্” অর্থাৎ আমি যেন শত বৎসর জীবিত থাকি এবং আশীৰ্ব্বাদ করিবার সময়েও বলিতেন “দাতা শতং জীবকু”—জাত শত বর্ষ জীবিত থাকুন। ইত্যাদি। আর্যজাতির আচার ব্যবহারসম্বন্ধে পুনরায় লেখনী ধারণ করিবার ইচ্ছা আছে, এজন্ত এতৎসম্বন্ধে এস্থলে বহুল আলোচনা করিলাম না। • মহাভারতোক্ত চৰ্ম্মণতী নদী ও রস্তিদেবরাজার বৃত্তান্ত পাঠ করিলে গোমাংস ভক্ষণ বিষয়ে সংশয় থাকিবে না ।