পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেবের দন্ত । ఫిyసి লইয়া প্রস্থান করিবার জন্ত প্রদান করিলেন । তিনি তাহার স্ত্রী হেমমালার সঙ্গে গোপনে দস্তখণ্ড লইয়া তাম্রলিপ্ত (তমলুক ) হইতে সিংহলে গমন করিয়াছিলেন। দস্তকুমাবের নিকট হইতে সিংহলাধিপতি মেঘবাহন সাদরে ঐ দন্ত লইয়া “দেবানমূ পিয়” তিস্থল নিৰ্ম্মিত ধৰ্ম্মমন্দিরে রাখিয়াছিলেন । এই পৰ্য্যন্ত দাতবংশ ৫ম অধ্যায়-মধ্যে বুদ্ধদন্তের অনেক অলৌকিক বিবরণ বর্ণিত আছে। এক্ষণে এই দন্ত সম্বন্ধীয় অন্যান্য বিবরণ আমরা কতিপয় প্রামাণিক গ্রন্থ হইতে সঙ্কলন করিয়া লিপিবদ্ধ করিতেছি। চৈনিক পরিব্রাজক ফাহিয়ান একদা সিংহলদ্বীপে মহাসমারোহ সহকারে বুদ্ধদন্ত প্রতিষ্ঠার বার্ষিক উৎসব দর্শন করিয়াছিলেন । ১২৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে এই দন্ত কান্দীর মালিগবা মন্দিরে রক্ষিত হয়। বৌদ্ধভাষায় স্বপণ্ডিত মৃত টারনার সাহেব কহেন, ১৩০৩ হইতে ဇီဗxs খ্ৰীষ্টাব্দ-মধ্যে প্রথম ভুবনেকবাহুর রাজ্যকালে পাণ্ডুদেশাধিপতি কুলশেখরের সেনাপতি অরিচক্রবর্তী সিংহল জয় করিয়া এই দস্তখণ্ড পাণ্ডুনগরে আনয়ন করেন। তৎপরে উহ পুনরায় তৃতীয় পরাক্রম নৃপতি পাণ্ডুনগরাধিপকে পরাজয় করতঃ সিংহলের মন্দিরে পূৰ্ব্বের স্তায় স্থাপন করেন । রেবিরো নামক ইতিবৃত্তলেখক কহেন যে, উহ ১৫৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে পোর্ট গিজ যুদ্ধের সময় কনষ্টেনটাইন ডিব্রাগাঞ্জা চুৰ্ণ করিয়া ফেলিয়াছিলেন । সিংহলবাসী বৌদ্ধগণ এই কথায় বিশ্বাস করে না । তাহার, বুদ্ধদন্ত ধ্বংস হইবার নহে, ইহা মনে মনে স্থিরসিদ্ধান্ত কবিয়া রাখিয়াছে। সিংহলীয় আধুনিক ইতিবৃত্তে লিখিত আছে যে, ঐ দন্ত পোর্ট গিজ যুদ্ধের সময় সফুগিামের মন্দিরে লুক্কারিতভাবে রাখা হইয়াছিল। এজন্য তাহ কনেষ্টেনটাইন ডিব্রাগাঞ্জা বিনষ্ট করিতে পারেন নাই। সিংহলবাসী বৌদ্ধগণ যাহাই বলুন না কেন, ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, এক্ষণে কান্দীর মন্দিরে যে বুদ্ধদন্ত আছে, কখনই তাহ মনুষ্যের দন্ত নহে। উহা কুম্ভীরের দন্ত, এবং সিংহলবাসী স্বপণ্ডিত মুতুকুমার স্বামীও তাঁহাতে একমত হইয়াছেন। বর্ষে বর্ষে মহাসমারোহের সহিত এই দন্ত সিংহলবাসিগণের সম্মুখে প্রদর্শিত হইয়া থাকে। এই উৎসবের নাম “দালাদ পিন্ধয়া ।”