পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\o) o a ঐতিহাসিক-রহস্ত -তৃতীয় ভাগ। ইহার মৰ্ম্মার্থ এই যে, চন্দ্রস্বর্য্যাদি গ্ৰহগণের আকাশ বা উৰ্দ্ধগতির সীমা আছে - তাহারাও উৰ্দ্ধগমন করে এবং পুনশ্চ নিবৃত্ত হয়, অর্থাৎ অধঃ আগমন করে ; কিন্তু যাহার একবার আলোকাকাশ প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহারী আর নিম্নে প্রত্যাগত হয় না। আত্মার স্বভাবই সতত উৰ্দ্ধগমন । দেহরূপ পাপভরে আত্মা অধঃপতিত আছেন—ইছার খণ্ডন হইলেই আত্ম স্বীয় স্বভাব ধারণ করিবে । অনন্ত আকাশ—সুতরাং উন্নতিও অনন্ত । ইহার দৃষ্টান্ত এই যে, অলাবু ফলকে মুক্তিকালিপ্ত করিয়া অথবা গুরু বস্তু বাধিয়া সমুদ্রজলে নিক্ষেপ করিলে তাহ যেমন ভাসমান-স্বভাব হইলেও নিয়ে ডুবিয়া যায় —পুনরায় সেই বন্ধন মুক্ত করিয়া দিলে স্বীয় স্বভাব জন্ত অতুলস্পর্শ সমুদ্রের নিম্ন হইতে ক্রমে উদ্ধে উত্থিত হয়—ইহাও ঠিক সেইরূপ । এই মতে দুইটা মাত্র মূলতত্ত্ব। একের নাম জীব, দ্বিতীয় আজীব। তন্মধ্যে বোধস্বরূপ জীব, আর অবোধায়ক অজীব । এই দুই তত্বের বিস্তায় ৰহবিধ ; যথা পদ্মনন্দী বাক্য — “চিদচিদূদ্ধে পরে তত্ত্বে বিবেকস্তদ্বিবেচনম্।” কোন কোন সম্প্রদায়ের মতে ঐ জীবাজীষ পদার্থের ভেদ এইরূপ— জীব দ্বিবিধ–সংসারী জীব এবং মুক্ত জীব। অজীব বহুবিধ যথা—আমনস্ক, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, পুদগল (শরীর ), অস্তিকায় ( তত্ত্ব) প্রভৃতি। জৈনেরা বৃক্ষলতাদিকেও জীবন্ত পদার্থ মধ্যে গণ্য করে ; কিন্তু তাহার আমনস্ক জীব অর্থাৎ তাহাদেব মন নাই এই মাত্র বলেন। এই সম্প্রদায়ের মতে জগতের তত্ত্ব সাত প্রকার “জীব, অজীব, আম্রব, সংবর, নির্জর, মোক্ষ, বন্ধ।” এতন্মধ্যে আশ্রব, সংবর, মির্জর, এই তিন প্রকার পদার্থের লক্ষণ বলা যাইতেছে, অন্তগুলি স্পষ্টার্থ। আশ্রব--জঠরাগ্নি বা শারীবিক তাপবলে দেহের চলন হয় । তাঁহাতে আত্মাও সচল হয়। নিশ্চল নিক্রিয় আত্মার ঐরূপ চলন অর্থাৎ ক্রিয়াকারিত্ব ঘটনা হওয়ার নাম যোগ। এই যোগভাব প্রাপ্ত হইলেই আত্মা বন্ধ হয়, এই জন্ত ঐ যোগভাবের নাম আশ্রব । কেৰল ঐ যোগভাব হইতেই নানাবিধ কৰ্ম্ম প্রাবিত (আহত বা উৎপন্ন ) হয়। যেমন আদ্র বস্ত্রেই ধুলা জড়ায়, সেইমত আশ্রবাদ্র আত্মার নানাবিধ কৰ্ম্ম ( পাপ ) জড়ায়, সুতরাং আত্মা মলিন থাকে । 零