পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(రిచిe ঐতিহাসিক-রহস্য —তৃতীয় ভাগ । সাঙ্খায়ন, আশ্বলায়ন, মাওক ও বাস্কল, ইছারাই ঋখেদীদিগের আচাৰ্য্য এবং কথিত পাঁচজনই একবেদী । ( একমাত্র ঋগ্বেদই ইহঁদের প্রধান অভ্যসনীয় )। শৌনকের মতে ইছারা ঋষি, কিন্তু আশ্বলায়নগৃহের মতে ইহঁর আচাৰ্য্য, ঋষি নহেন । অশ্বিলায়ন যেখানে দেবতা, ঋষি ও আচাৰ্য্যদিগকে তর্পণ করিতে হইবে বলিয়া স্বত্র দ্বারা রীতিবদ্ধ করিয়াছেন, সে স্থলে ইহঁাদিগকে ঋষিমধ্যে গণনা না করিয়া আচাৰ্য্য বলিয়াই গণনা করিয়াছেন । উল্লিখিত ৫ পাঁচ শাখা প্রধান। তদ্ভিন্ন ঐতয়ের, কৌষীতকি, শৈশরী, পৈঙ্গী ইত্যাদি আরও কয়েকটা শাখা দৃষ্ট হয়, তাহ প্রধান শাখা না হইয়া প্রাতিশাখ্যমতে উপশাখ বলিয়া পরিগণিত। বিষ্ণুপুরাণেও এইরূপ আভাস পাওয়া যায়, যথা— “মুদগলো গোকুলো বাৎস্তঃ শৈশিরঃ শিশিরস্তথা ৮ : পঞ্চৈতে শাকলাঃ শিয্যাঃ শাখাভেদ-প্রবর্তকাঃ ॥” মুদগল, গোকুল, বাৎস্ত, শৈশির, ( শিশির ) ইহঁরা শকলের শিষ্য এবং শাখাবিশেষের প্রবর্তক। অতএব সৰ্ব্বসমেত ঋগ্বেদ ২১ শাখায় বিস্তৃত। ভাগবত ও মহাভাষ্যে ২১ শাখার কথাই লিখিত আছে । যথা মহাভাষ্য— “একবিংশতিধা বহচাঃ” এইরূপে অধ্যয়ন ও সম্প্রদায়ের প্রবর্তক শকিলপ্রভৃতি আচাৰ্য্যদিগের ভিন্ন ভাবের প্রবচন অনুসারে একমাত্র ঋগ্বেদ অনেক শাখায় বিভক্ত হইয়াছে । সমুদয় শাখা একত্র করিলে অত্যন্ন মাত্র তারতম্য দেখা যায়। প্রবচন শব্দে বেদার্থবোধক গ্রন্থ বুঝায়। যথা— “অগ্রাঃ সৰ্ব্বেষু বেদেষু সৰ্ব্বপ্রবচনেষু চ ।” ( মন্ত্র ৩ অং) এই শ্লোকে প্রবচন শব্দের অর্থে কুল্লুকভট্ট ব্যাখ্যা করিয়াছেন— “প্রকর্ষেণৈবোচ্যতে বেদার্থ এভিরিতি প্রবচনান্তঙ্গানি শিক্ষাদীনি” যদ্বারা উত্তমরূপে বেদার্থ সকল ব্যাখ্যাত হয় তাহাই প্রবচন গ্রন্থ, অর্থাৎ শিক্ষাদি । ঋগ্বেদের স্বত্ত এক সহস্র ১৭২ সহস্ৰ ৬ বর্গ ৬৪ অধ্যায়। ১০ মণ্ডল । ৮ অষ্টক ।