পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* বিদ্যাপতি কিছলণ । ve8a বিদ্যাশিকাব পর নানা রাজ্য ও অনেক রাজ-সভায় গমন করিয়াছিলেন । বিহলণ সেইরূপ আপনার হৃদয়কে উন্নত করিবার মানসে ੋੜ পরিত্যাগ করিয়া প্রথমে মথুরা, কান্তকুজ, প্রয়াগ ও বারাণসী গমন করেন। এই সময়ে তাহার কর্ণরাজের সহিত সাক্ষাৎ হয়, এবং তাঁহার রাজ-সভার কিছুকাল অবস্থিতি করিয়া সভাপণ্ডিত গঙ্গাধরকে বিচারে পরাস্ত করিয়াছিলেন । কর্ণরাজের আশ্রয়ে থাকিয়াই তিনি ‘রামস্তুতি’ গ্রন্থ রচনা করেন এবং এই খানিই তাহার প্রথম রচনা-কুমুম। বিহলশ কর্ণরাজের নিকট হইতে বিদায় লইয়া ধারাধিপ ভোজরাজের সহিত সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলেন ; কিন্তু কোন দৈব ছুর্বিপাক-ৰশতঃ তাহার মানস সফল হয় নাই। এই ভোজ সরস্বতী-কণ্ঠভরণ-প্রণেতা তোজরাজ নহেন, তিনি বিহলণের অনেক পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিলেন। বিহলশ অনিহীলবারাপত্তনে গমন করিয়া তথাকার লোকদিগের আচার ব্যবহার ও ভাষার বিশেষ নিন্দা করিয়াছেন । তিনি সোমনাথপছনে গমন করিয়া, ভক্তিসহকারে মহাদেবের মূৰ্ত্তি উপাসনা করিয়াছিলেন, এবং তথা হইতে কতিপয় নিকটবর্তী গ্রাম সন্দর্শন করিয়া সেতুবন্ধ রামেশ্বৰ তীর্থে গমন করেন। এইরূপে ভারতবর্ষের অনেক প্রসিদ্ধ স্থানে ভ্রমণ করিয়া অৰশেষে বিক্রমের রাজধানী কল্যাণ নগরে আগমন করিয়াছিলেন, এবং এইখানে থাকিয়াই তাছার বিদ্যার গরিমা উত্তরোভর বৃদ্ধি পাইয়াছিল। কল্যাণ-রাজধানীতে ত্রিভুবনমল্প বিক্রমাদিত্যের আশ্রয়ে তাহার জীবনের শেষ কাল অতিবাহিত হয় । চেলুকারাজ ত্রিভুবনমল্লদেব, বিক্রমাদিত্য তাহাকে “বিদ্যাপতি’ খ্যাতি প্রদান করিয়াছিলেন । ষখা— “চেলুক্যেঞ্জাদলভত কৃতী ঘোছত্র বিদ্যাপতিত্বমূ।” এই নৃপতিই পুনরায় ‘পার্মাড়ি’ নামে রাজতরঙ্গিণীতে উল্লিখিত হইয়াছেন। রাজতরঙ্গিণীতে ৰিছলণ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে। যথা— "কাশ্মীরেভো বিনির্য্যাস্তং রাজ্যে কলশভূপতেঃ। বিদ্যাপতিং বং কর্ণাটশ্চক্রে পাশ্মীড়ি-ভূপতি ীি প্রসঙ্গঙঃ করটিভিঃ কর্ণাটকটকাস্তরম। রাঞ্জোইগ্রে দদৃশে তুঙ্গং যশ্লৈবাত্পলারণম্ ॥