পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাপতি বিহল৭ ৷ "లి4) “জথাবিরালীৎ স্বতটন্ত্রিলোকত্রাণপ্রবীণশ্চ যুকাৎ বিধাতু ” ক্ৰমে ইহার বংশ-পরম্পর পৃথিবীতে বুদ্ধি প্রাপ্ত হইল। এই বংশে হরীত প্রভৃতি মহাত্মা জন্মগ্রহণ করেন। তৎপরে মালব্য । ইনি অসাধারণ রাজা ছিলেন। র্তাহার নাগরখণ্ডে ( গুজরাট ) রাজধানী ছিল । যথা— “চক্রে পদং নাগরখগুচুম্বি পূৰ্গক্রমায়াং দিশি দক্ষিণতাৰু।” ক্রমে মালব্যের অধস্তন বংশে স্ত্রীতৈলপ জন্মগ্রহণ করেন। ইনিই চালুক্যচন্দ্র। এতৎপরে ইহঁর সর্ববিজয়-রাজসিংহাসনে জয়সিংহদেব উপবিষ্ট হইয়াছিলেন । ইহঁীর পুত্র আহবমল্লদেব, র্তাহার অপর নাম ত্ৰৈলোক্যমল্লদেৰ । কৰিয়া ইহঁাকে দ্বিতীয় “রাম” বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন। ইনি মহিষীর সহিত পুত্র-কামনায় তপস্তা করিয়াছিলেন। একদিন দৈব-বাণী হইল—“চেলুক্যরাজ ! আর শ্রম করিতে হইবে না, কর্কশ তপস্যা ত্যাগ কর, অচিরে পুত্রমুখ দেখিতে পাইবে।” তৎপরে তাহার পুত্র জন্মিল। ইহার নাম সোমদেব রাখিলেন। কিছুকাল পরে দ্বিতীয় পুত্র জন্মিলে, তাহার নাম বিক্রমদেব রাখিলেন। বালককালেই ইহঁীর শৌর্য্য সনদর্শনে, রাজা ও পুরোহিত তাহার বিক্ৰমাদিত্য বা বিক্রমাঙ্ক নাম প্রদান করিয়াছিলেন। ইহার বিষয়ই বিক্রমাঙ্কদেব চবিতে কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । এই মহাকাব্য অষ্টাদশ সর্গে সমাপ্ত। ইহার প্রথম সর্গে বিক্রমের বংশ—দ্বিতীয়ে জন্মাদি—তৃতীয়ে দিগ্বিজয় ও যৌবরাজ্য ইত্যাদি ক্রমে বর্ণিত হইয়াছে। এই কাব্যে নৈষধের ছায় পদবিভায় দৃষ্ট হয় এবং ইহার আদ্যোপাস্ত রচনায় গ্রন্থকার বিলক্ষণ কবিত্ব প্রকাশ করিয়াছেন। ইহা বৈার্তা রীতিতে রচিত । ۶ید “শাঙ্গ ধর-পদ্ধতি” মধ্যে বিক্রমাঙ্কদেবচরিত হইতে প্রমাণ উদ্ভূত হইয়াছে। অধ্যাপক আফুেষ্ট কহেন, শাঙ্গধর চতুর্দশ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ছিলেন। বিদ্যাপতি বিছলশের কালিদাসের ভায় সহৃদয়ত ছিল না ; তিনি আপনার কবিত্ব সম্বন্ধে অনেক গৰ্ব্বোক্তি করিয়াছেন। যথা— “সহস্রশঃ সন্তু বিশারদীনাং বৈদভ লীলানিধয়ঃ প্রবন্ধাঃ, তথাপি বৈচিত্রারহুস্তলুদ্ধাঃ শ্রদ্ধাং ৰিধাভক্তি সচঙেসোহস্ৰ” ॥