পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રુષ્ટિ ঐতিহাসিক-রহস্য --তৃতীয় ভাগ । কোন স্থান কুরুদেশ নামে খ্যাত ছিল । ইহা ঈরাগ হইলেও হইতে পারে। মহাভারতের একস্থানে “ঈরিণ” শব্দের উল্লেখ আছে। বালুকাময় প্রদেশের নাম ঈরিণ, ইহাই, তাছার অর্থ। যথা—“ঈরিণে নিজলে দেশে" (বনপৰ্ব্ব)। তদ্ভিন্ন ‘ ঈরামা’ নামক এক দেশের উল্লেখ আছে । ইহাতে প্রথমোক্ত ঈরিণ’ ঈরাণ বলিয়া বোধ হইতেছে। এই বালুকাময় ঈরিণ’ বা ঈরাণ হইতেই *াৰ্য্যগণ ভারতবর্ষে আগমন করেন, ইহা অসম্ভব অনুমান নহে । রাজতরঙ্গিণীলেখক কহুলণ পণ্ডিত বলেন, জলপ্লাবনের পর সৰ্ব্বাগ্রে কাশ্মীর দেশ প্রকাশ পাইয়াছিল—“নিৰ্ম্মমে তৎ সরে ভূমেী কাশ্মীরা ইতি মণ্ডলম্।” ইহাতে অনেকে অনুমান করেন যে, কাশ্মীরদেশ যদি প্রথমে উৎপন্ন হইয়াছিল, তবে কাশ্মীর প্রদেশ বা তাহার উত্তরাংশই মনুষ্যোৎপত্তির আদিভূমি ; সম্ভবতঃ হিন্দুদিগেরও আদিভূমি, পশ্চাৎ তথা হইতে দিগ দিগন্তে বাস হইয়াছে। কিন্তু একথা যুক্তিসঙ্গত নহে, কেননা কলেণমিশ্র পৌরাণিক জলপ্লাবনের বিষয় বিশ্বাস করিয়া কাশ্মীরের উৎপত্তি বর্ণন করিয়াছিলেন ; স্বতরাং তাছাতে প্রকৃত ঐতিছাসিক সত্যলাভের সম্ভাবনা নাই। আর্য্যগণ কৃষিকাৰ্য্যপ্রিয় ছিলেন । তাহার কৃষির উন্নতিমানসে মধ্য এসিয়ার বালুকাময় ভূমি পরিত্যাগ করেন। পুত্র কলত্র গো মহিষ ও মেষপাল সঙ্গে ভারতবর্ষের উর্বর ভূমিতে পদার্পণ করেন। র্তাহাদিগের চিরনীহারাবৃত হিমালয়ের শৃঙ্গদর্শনে হৃদয় উন্নত ও সরস্বতীর সলিল স্পর্শে শরীর পবিত্র হইয়াছিল। স্থতরাং ঙাহারাষ্ট পৃথিবীর আদি কৰি হইয় গম্ভীর স্বরে সোম, আদিত্য, উষ, পুৰ, অগ্নিপ্রভৃতির স্তুতিগান করিয়া অসভ্য বৰ্ব্বব জাতিকে স্পন্দরহিত করিয়াছিলেন । সে সময় আৰ্য্যগণ দেবতাপ্রিয় ও দস্থ্যগণের শাস্তিদাতা বলিয়া খ্যাত ছিলেন । সোমরসপায়ী আমাদিগের পূর্ব পিতামহগণের বেদধ্বনিতে ভারতভূমি পবিত্র হইয়া উঠিল এবং সভ্যতার বীজ অঙ্কুরিত হইলে ভারতবর্ষ ক্রমে রজতবিনিন্দী শুভ্রকাস্তি ধারণ করিল। এই সময়েই ভারতবর্ষের আদি সভ্যতার মূলভিত্তি গ্রেথিত হয় । জার্থীগণ ভারতবর্ষে আগমনের পূৰ্ব্বে অগ্নি-উপাসক ছিলেন এবং এখানে জাসিয়াও র্তাহাদিগের ভ্রাতা “অতিসূপরস্ত” (পার্সী)-গণের ছায় অগ্নি-উপাসনা করিতে বিস্তৃত হয়েন নাই, এজন্যই বেদে তাহারা অগ্নির এইরূপ উপাসনা