পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণিনি { 89 & পক্ষে যখন এত বাধা আছে, তখন আমিও যে অভ্রান্ত নির্ণয় করিতে পারিব ইহাও প্রতিজ্ঞা করিতে পারি না ; তবে এই পৰ্য্যস্ত বলিতে পারি যে, যে পদ্ধতিতে অতীত বস্তুর নির্ণয় হওয়া সুসম্ভব, সেই পদ্ধতির অনুসরণ করিয়া, স্বেচ্ছাচারিত দোষ ত্যাগ করিয়া, নিমুল কল্পনা বর্জন করিয়া, অতি সাবধানে নির্ণয় করিব, ইহাতে যতটুকু সত্যেয় আকর্ষণ সম্ভব, পাঠকগণ তাহাই পাইবেন । ன் পুরাতত্ত্ব জানিবার দুইটি মাত্র উপায় আছে। যুক্তি ও ঐতিহ্য। অবিচ্ছেদে ও ধারাবাহিকরূপে সমাগত বিশ্বাসযোগ্য জনপ্রবাদ, তৎকালের কি তৎপরবর্তী কালের লিপি, ঘটনাবিশেষের লুপ্তাবশেষ, প্রাকৃতিক অবস্থার তারতম্য, এ সমস্তই উহার আলম্বন। এই সকল অবলম্বন করিয়াই যুক্তি ও ঐতিহের দ্বারা প্রাচীন বস্তু অনুসন্ধান করিতে হয়। যে যুক্তির কোন মুল নাই, যে যুক্তি পুৰ্ব্বাপর বিরুদ্ধ, একদিকে সংলগ্ন, অন্তদিকে অসংলগ্ন, এমন যুক্তি পরিত্যাজ্য। ঐতিহ পক্ষেও এই রীতি। এই রীতির অমুগত থাকিয়াই পাণিনিয় জীবনী নির্ণয় করিতে প্রবৃত্ত হওয়া গেল । আচাৰ্য্য হেমচন্দ্র স্বকৃত অভিধানচিন্তামণির মর্ত্যকাণ্ডে পাণিনির নামেল্লেখ করিয়াছেন। যথা— “অৰ্থ পাণিনে, শালাতুরীয়দাক্ষেয়ে ” শালাতুরীয় ও দ্বাক্ষেয় এই দুইটি শব্দ পাণিনি নামক মুনিবোধক। হেমচন্দ্রের এই লিপির দ্বারা ৭৫০ বৎসরের সংবাদ পাওয়া গেল । পাণিনি যে ৭৫ বৎসর পূর্কের লোক, তাহা এই প্রমাণে নির্ণীত হইল। কিন্তু কত পূর্বের ? তাহ জানিবার জন্য প্রমাণান্তর অনুদন্ধেয়। বেদান্ত শাস্ত্রের প্রচারক শঙ্করাচাৰ্য্যকেও পাণিনির নাষোল্লেখ কবিতে দেখা वृत्र १५--- rন চ পাণিনিস্মৃত্তিবিরোধঃ—” ( ১ম অং ) এই লিপি অনুসারে নির্ণয় হইতেছে যে, পাণিনি ১০৮৯ বৎসরেরও পূৰ্ব্ববৃত্তী, কেননা, শঙ্করাচার্য উক্ত পরিমিত কালের লোক। এতৎসম্বন্ধে “নিধিনাগেইভবনৃ হন্ধে" ইত্যাদি বহুতয় প্রমাণ আছে, তাহা এস্থলে উল্লেখ করা অনাবশুক ।