馨 পাণিনি- 8.శి) করিয়াছেন —তৈত্তিীয় প্রতিশীথ্য * ও বাজসনেয়ী বা কাত্যায়নপ্রাতিশীথ্য + নামক যজুৰ্ব্বেদের প্রাভিশাখা ও অথৰ্ব্ববেদের প্রতিশীখ্য আছে। মাগোজী ভট্ট সামবেদের প্রাতিশাথ্যের উল্লেখ করিয়াছেন। বথা “সামলক্ষণম্ প্রাতিশাখ্যমূ” ; কিন্তু এক্ষণে উহা এক প্রকার লোপ হইয়াছে বলিতে হুইবেক । অধ্যাপক হৌগ সাহেব কহেন, সামবেদের কোনপ্রকার প্রাতিশাখ্য এখনও বর্তমান থাকিতে পারে। : প্রাতিশীথ্য এক প্রকার ব্যাকরণ। ব্যাকরণের সমস্ত লক্ষণই ইহাতে আছে। কেবল লৌকিক শব্দের জন্ম-বিবরণ নাই। ফল, বেদব্যাখ্যার জন্তই ইহার নিৰ্ম্মাণ। প্রাতিশাখ্যে সংজ্ঞা, সন্ধি, কারক, তদ্ধিত, সমাস, সকলই আছে । কিন্তু তাহ কেবল বৈদিক পদসাধনের উপযোগী । তৈত্তিরীয় প্রাতিশীথ্যের প্রথম স্বত্র এই—“অৰ্থ বর্ণ-সমামায়ঃ” এই স্বত্র দ্বারা বর্ণ উচ্চারণ, অধ্যয়ন এবং প্রযত্নাদি ভেদের প্রতিজ্ঞ করা হইয়াছে। তৎপরে ক্রমে জন্তান্ত স্বত্রে অন্তান্ত প্রকার সাধনের উপায় প্রদর্শিত হইয়াছে। যথা—“অথ নবাদিতঃ সমানলক্ষণানি” (২) “দ্বেন্ধে সবর্ণে হ্রস্বদীৰ্থে” (৩) “ন তপূৰ্ব্বম" ( s ) “ষোড়শাদিতঃ স্বরাঃ” ( 4 ) “শেষ ব্যঞ্জনানি” (৬) ইত্যাদি । পাণিনির পূৰ্ব্বে যে ব্যাকরণ ছিল, তাহার আর সন্দেহ নাই। কারণ পাণিনি স্বয়ং ৫ম অধ্যায়ে বলিয়াছেন,—“খাৰ্য্যাঃ প্রাচাম” অর্থাৎ খারী-শাস্ত দ্বিগু ও অৰ্দ্ধ পদের উত্তর টছ প্রত্যয় হওয়া পুৰ্ব্বাচাৰ্য্যদিগের মত। এইরূপ—
- তৈত্তিরীয় প্রাতিশাথ্যের অনেক ভাষ্য ছিল, তন্মধ্যে এক্ষণে ত্রিভাষ্যরত্ন নামক ভাষ্যই প্রচলিত। এতৎ-পূৰ্ব্বে ইহার, বররুচির আত্ৰেয় ও মাহেৰী ভাষ্য ছিল।
+ উয়ট ভট্ট ইহার টীকাকার। ইহা ভিন্ন রামচন্দ্র-কৃত প্রাতিশাথোর-জ্যোৎস্না নামক এক খনি আধুনিক টীকা আছে। . “ Ich Zweifle nicht, dass noch weitere Pratica-khyas aufgefunden werdon; so vermisse ich bis jetztdas Zuder Maitrayan Samlita, die so verles Eigenthumliche hat, und gewiss ein beson-deres Pratica-khya, besitzt.” এই প্রস্তাব লেখার পর অবগত হওয়া গেল যে, পণ্ডিতবর বর্ণেল সাহেৰ মাত্রাঙ্গ প্রদেশে সামবেদের প্রাতিশাখ্য প্রাপ্ত হইয়াছেন ।