পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૨ર ঐতিহাসিক-রহস্য ।--তৃতীয় ভাগ । -লঙঃ শাকটায়নস্ত’ ইত্যাদি অনেক আছে। ইহাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, পাণিনির পূর্বে ব্যাকরণের আচাৰ্য্য ছিলেন । ব্যাড়ি-কৃত লক্ষ-শ্লোকাষ্মক সংগ্রহ নামক ব্যাকরণ গ্রন্থ পাণিনির পরবত্তী, কারণ পাণিনি-ব্যাকরণেব বিরুদ্ধ মত ইহাতে দেখা যায়। যিনি যিনি ব্যাকরণ করিয়াছেন, সকলকেই পাণিনির নিয়মানুগত থাকিতে হইয়াছে ; কিন্তু ব্যাড়ি-কৃত ব্যাকরণ তদ্বিরুদ্ধ-মতাক্রান্ত এবং ভিন্ন পদ্ধতিতে গ্রথিত। পাণিনি ইহা জ্ঞাত থাকিলে অবশুই ইহার বিরুদ্ধবাদিতার বিষয় স্বগ্রন্থে উল্লেখ করিতেন। ই, উ, ঋ, ৯ বর্ণের পরে স্বরবর্ণ থাকিলে মধ্যে য, ব, র, ল ব্যবধান হওয়া কেবল ব্যাড়ি ও গলিব এই দুই ব্যক্তির মত । বথা—“ক্রিয়স্বকং সংযমিনং দদৰ্শ” কালিদাসঃ । ত্রি+অম্বক। এই বিষয়ে পদ্মনাভকৃত পঞ্চাধ্যায়ী ব্যাকরণে এক স্বত্র আছে, যথা—

  • ঘণ ব্যবধানং ব্যাড়ি-গালবয়োঃ ।” এতদ্ভিন্ন ভাগুরি-প্রোক্ত ব্যাকরণ ছিল । ইহঁার মতে অব ও অপি এই উপসর্গদ্বয়ের অকার লোপ হইয়া যায়, কিন্তু পাণিনির মতে তাহ হয় না ।

কথিত আছে, পাণিনি মহেশ্বরের নিকট বর্ণমাত্রের উপদেশ পাইয়া ব্যাকরণ রচনা করেন, যথা—

  • যেনাক্ষর-সমীমায়মধিগম্য মহেশ্বরাৎ } ; কৃৎস্নং ব্যাকরণং প্রোক্তং তস্মৈ পাণিনরে নমঃ ॥”

{ লিঙ্গানুশাসনের বৃত্তিকার প্রভৃতি ] এই মহেশ্বর মনুষ্য কি মহাদেব তাহ বলা যায় না। বৃহৎকথায় লিখিত আছে যে, মহাদেবের তপস্তায় সিদ্ধ হইয়া পাণিনি ব্যাকরণ রচনা করেন । বাহাই হউক, পাণিনি মুনি মহেশ্বরেয় নিকট যে বর্ণেপদেশ পাইয়াছিলেন, তাহা তিনি স্বয়ং লিখিয়াছেন, বথা অ ই উ ৭, । ঋ ৯ কৃ। এ ও ঙ। ঐ ঔ চ। ইত্যাদি ক্রমে বলিয়া পরিশেষে বলিয়াছেন, “ইতি মাহেশ্ববাণি স্বত্ৰাণি” অর্থাৎ এই সকল মহেশ্বরোপদেষ্ট স্বত্র। কেহ কেহ বলেন “ইতি মাহেশ্বরাণি স্বত্ৰাণি” এই বাক্য পাণিনিৱ মুখ-নির্গত বাক্য নহে। ইহা বাৰ্ত্তিক-কারের ৰাক্য,।