পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাগ-নির্ণয় । gరిణి

  • যোহয়ং ধ্বনিবিশেষত্ত স্বরবর্ণবিভূষিত । রঞ্জকে জনচিত্তানাং স রাগঃ কথিতো বুধৈঃ ॥"

এই রাগের অঙ্গ অর্থাৎ কতকগুলি প্রতিপোষক ক্রিয় ও বস্তু আছে, তাহা রাগাঙ্গ নামে বিখ্যাত । রাগাঙ্গের স্তায় ভাষাঙ্গ, ক্রিয়tঙ্গ ও উপাঙ্গ নামে আরও কতকগুলি বিষয় আছে, তাহার লক্ষণ এই-- “রাগচ্ছায়ানুকারিত্বদ্রোগাঙ্গমিতি কথ্যতে।” যাহা রাগের ছায়ানুযায়ী, তাছাকে রাগাঙ্গ বলে । “ভাষাচ্ছায়াশ্রিতা যেন ভাষাঙ্গস্তেন কথাতে ।” যেহেতু ভাষার ছায়াব আশ্ৰিত, সেই হেতু তাহা ভাষাঙ্গ নামে কথিত হয়। “করুণোৎসাহসংযুক্তং ক্রিয়াঙ্গং তেন হেতুনা ।” করুণ ও উৎসাহাদি রসগুলি যে ক্রিয়াতে সংযুক্ত থাকে তাছাই ক্রিয়াঙ্গ । “কিঞ্চিচ্ছায়ানুকারিত্বাছপাঙ্গমিতি কথ্যতে ।” কিঞ্চিৎ অর্থাৎ কোন অংশে ছায়া লাগিলে ভাহা উপাঙ্গ । এতদ্ভিন্ন কাণ্ডারণানামক আর একটি গীতাঙ্গ আছে, তাহার লক্ষণ যথা— “কাণ্ডারণা তু কথিত। তারস্থানেষু শীঘ্ৰতা । গমকৈৰ্বিবিধৈযুক্ত কৌশলেন বিভূষিতা।” তারস্থানেতে শীঘ্রতা, নানাবিধ গমকযুক্ততা, সুকৌশলে স্থাপিত হইলে তাহাকে কাণ্ডারণা বলা যায়। রাগ ৩ প্রকার। শুদ্ধ, ছায়ালগ বা সালগ এবং সঙ্কীর্ণ। ধথা— “শুদ্ধাশায়ালগা: প্রোক্তাঃ সঙ্কীর্ণাশ্চ তথৈবচ।” কল্লিনাথ ইহার ব্যাখ্যা করিয়াছেন যে, শাস্ত্রোক্ত নিয়মে উচ্চারিত স্বর রক্তিজনক হয়, এজষ্ঠ তাহ শুদ্ধ রাগ । অন্সের ছায়াগামী হইয়াও রক্তি জন্মায় সুতরাং তাহ ছায়ালগ রাগ । উভয়ের প্রাধান্তেও আমুরক্তি জন্মায়, সুতরাং তাহ সঙ্কীর্ণ রাগ ৷ যথা— “তত্র শুদ্ধরাগত্বং নাম শাস্ত্রোক্তনিয়মাৎ রঞ্জকং ভবতি । ছায়ালগত্বং নাম অন্তছায়ালগত্বেন রক্তিহেতুত্বং ভবতি । সঙ্কীর্ণরাগত্বং নাম শুদ্ধচ্ছায়া লগমুখ্যত্বেন রক্তিহেতুত্বং ভবতি ॥” @@