পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

43. ঐতিহাসিক রহস্য —প্রথম ভাগ । আচাৰ্য্য হেমচন্দ্রের উপদেশ মতে মন্দিরের সংস্কার কার্য্য শেষ পর্য্যন্ত হই বৎসর . আমিষ ভোজন ও স্ত্রীসংসর্গ ত্যাগ করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণগণ দেখিলেন রাজসভায় তাহীদের দিন দিন সন্মান খৰ্ব্ব হইতে লাগিল, সুতরাং তাহারা হেমচন্দ্র যাহাতে হতমান হন, তাহার ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণের উপর জৈনাচার্য্যের প্রভুত্ব অত্যন্ত অসহ্য হইয়া উঠিল। তাছারী রাজাকে মন্দিরপ্রতিষ্ঠার দিবস হেমচন্দ্রের সঙ্গে একত্র উপাসনা করিতে কহিলেন। হেমচন্দ্র জৈন, তিনি সোমপূজক ছিলেন না ; কিন্তু রাজার প্রস্তাবে অগত্য সন্মত হইতে হইল। তিনি গির্ণার এবং শত্রুঞ্জয় পৰ্ব্বতের জৈন তীর্থবিলোকনানত্তর দেবপত্তনে রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং তথা হইতে রাজ ও পারিষদবর্গের সহিত সোমেশ্বরে উপস্থিত হইলেন। মন্দিরের প্রধান পূজক ব্রাহ্মণ শ্ৰীবৃহস্পতি সমভিব্যাহারে রাজ ও হেমচন্দ্র দেবতাকে বন্দন এবং প্রদক্ষিণাদি করিলেন । রাজা ও পারিষদবর্গ হেমচন্দ্রকে *াতদিন জৈন জানিতেন, এক্ষণে র্তাহাকে পৌত্তলিকের দ্যায় উপাসনা করিতে দেখিয় তাহাদিগের ভ্রম দূর হইল। হেমচন্দ্র অতি চতুর, র্তাহার হিন্দুধৰ্ম্মে কিছুমাত্র আস্থা ছিল না। কেবল রাজপ্রসাদ লাভের জন্য র্তাহাকে নানা কৌশল করিতে হইল ; এ বিষয়ে তাহার চরিত্রে কলঙ্ক স্পর্শ করিল, বলিতে হইবেক । সোমেশ্বর হইতে তিনি রাজাকে লইয়া অনিছীলপুরে গমন করিলেন। তথায় তাহাকে জৈন ধৰ্ম্মের অনেক রহস্ত কহিলেন, এবং ক্রমে কুমারপালের হিন্দুধৰ্ম্মে বিশ্বাস হ্রাস পাইয়া আসিল। গুজরাটের মধ্যে তিনি পশুহিংসা নিবারণ করিলেন, এবং তাহার অমুজ্ঞায় ব্রাহ্মণগণ চতুর্দশ বর্ষ পর্য্যন্ত দেবদেবীর নিকট পশ্বাদি বলিদানের পরিবর্তে শস্তাদি উপহার দিতেন। কুমারপালের জৈন ধৰ্ম্মে বিশ্বাস ক্রমেই অটল হইয়া উঠিল। তিনি অনিহীলপুরে “কুমারবিহার” নামক পাশ্বনাথের মন্দির স্থাপন করিলেন এবং তৎকর্তৃক দেবপত্তনে একটা স্বস্তৃত জৈন মন্দির নিৰ্ম্মিত ছইল। কুমারপাল জৈন ধৰ্ম্মের চতুর্দশ আজ্ঞানুসারে দীক্ষিত হইয়া, প্রজাবর্গের মধ্যে স্বীয় অকৃত্রিম দয়া ও ধর্মের প্রোজ্জলদীধিতি বিকীর্ণ করিতে লাগিলেন, এবং সকলেই তাহাকে রঘু, নছষ ও ভরতের সমকক্ষ বলিতে লাগিল। *প্রবন্ধচিন্তামণি" মধ্যে কুমারপালের অনেক বিবরণ সঙ্কলিত হইয়াছে, কিন্তু সে