পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ര് 이 2FF Σ Σ (ζ বোধয়ন্তঃ পরস্পরং । কথয়ন্তশ্চ মাং নিত্যং তুষ্যন্তি চ রমন্তি চ)। অর্থাৎ যাহারা আমাতেই চিত্ত ও আমাতেই সর্বেন্দ্রিয় রাখে ও আমার গুণকে পরস্পর জানায় ও সর্বদা আমার কীৰ্ত্তন করে ইহার দ্বারা পরমহলাদ প্ৰাপ্ত হইয়া নিবৃত্তি হয়। অতএব বিজ্ঞ লোক সকল দেখিবেন যে পূর্বলিখিত বচনপ্রাপ্ত সাধনাবস্থার লক্ষণ সকল তঁহাতে আছে কি না। পরে ভক্তির সিদ্ধাবস্থার লক্ষণ ( তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং গ্ৰীতিপূর্বকং। দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযান্তি তে৷ তেষামোবানুকম্পার্থমহমজ্ঞানজং তম: | নাশয়াম্যাত্মিভাবস্থে জ্ঞানদীপেন ভাস্বত ) অর্থাৎ এইরূপ নিরন্তর উদযুক্ত হইয়া গ্ৰীতিপূর্বক ভজন সাহারা করেন। তঁহাদিগগে আমি সেই জ্ঞানরূপ উপায় প্ৰদান করি। যাহাতে তাতারা আমাকে প্ৰাপ্ত হয়েন। র্তাহীদের প্রতি অনু গ্ৰহ করিয়া তাহদের বুদ্ধিতে অবস্থানপূর্বক অজ্ঞানজন্য যে অন্ধকার তাহাকে দেদীপ্যমান জ্ঞানরূপ দীপের দ্বারা নষ্ট করি। অর্থাৎ র্তাহাদিগগে জ্ঞান প্ৰদান করিয়া মুক্তি দি ৷ এখন ওই বিজ্ঞ ব্যক্তিরাই দেখিবেন যে ভগবানের দত্ত তত্ত্বজ্ঞান যাহা ভক্তির সিদ্ধাবস্থায় প্ৰাপ্ত হয় তাহার দ্বারা ধৰ্ম্মসংহারকের সর্বত্র ভগবদ্যুষ্টি হইয়াছে কি না। সুতরাং ইহার কোনো এক অবস্থা স্বীকার করিলে তঁাহার মতেই তঁহার নিস্তার নাই, অর্থাৎ পূর্বোক্ত প্ৰমাণে না অধিকারাবস্থা না। সাধনাবস্থা না সিদ্ধাবস্থা ইহার এক অবস্থাও স্বীকার করিতে পরিবেন না। যদি এরূপ কহেন যে “পূৰ্ব্ব ২ বচনে বিষ্ণুভক্ত বিষয়ে যে সকল বিশেষণ অধিকারাবস্থার ও সাধনাবস্থার কহিয়াছেন সে উত্তম অধিকারী ও উত্তম সাধকের প্রতি হয়। কিন্তু ব্যক্তিভেদে সাধনাবস্থা উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ ইত্যাদি নানাপ্রকার হয়” তবে ধৰ্ম্মসংহারকই বিবেচনা করিবেন যে এরূপ কথন প্ৰতীক ও অপ্রতীক উভয় উপাসনাতে নির্বাহের কারণ হইবেক এবং শাস্ত্রেরও অপলাপ হইবেক না। যথা মাণ্ডুক্যভাষ্যধূত কারিকা ( আশ্রমাস্ত্রিবিধা হীনমধ্যমোৎকৃষ্টাদৃষ্টয়ঃ) অর্থাৎ আশ্রমীরা তিন প্রকার হয়েন, হীনদৃষ্টি, মধ্যমদৃষ্টি, উত্তম দৃষ্টি ৷ আমরা পূর্ব উত্তরে লিখিয়াছিলাম যে কোন এক বৈষ্ণব যে আপন ধৰ্ম্মের লক্ষাংশের একাংশও অনুষ্ঠান করেন না ও বিপরীত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকেন। তিনি যদি কোন ব্ৰহ্মনিষ্ঠের ত্রুটি দেখিয়া তাহাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও নিন্দিত কহেন তবে তীহাকে নিন্দকের মধ্যে অতিশয় নিন্দিত করিয়া পণ্ডিতেরা জানিবেন কি না। ইহাতে ধৰ্ম্মসংহারকা ৬৮। পুষ্ঠের ২ পংক্তিতে লিখেন যে “পূর্বোক্ত লিখনানুসারে ভাক্ত বৈষ্ণব ও ভাক্ত শাক্ত খপুষ্পের ন্যায় অলীক” উত্তর, জ্ঞাননিষ্ঠদের যথোক্ত অনুষ্ঠানের ক্ৰটি হইলে ধৰ্ম্মসংহারক তাহাকে ভাক্ততত্ত্বজ্ঞানী উৎসাহিপূর্বক কাহেন