পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR রামমোহন—গ্রন্থাবলী অধ্যায়ের চতুর্থ পাদের ৩৬ সূত্র যাহার অর্থ ৯৬ পৃষ্ঠে লেখা গেল, এবং মনুবচন ( যথোক্তান্যপি কৰ্ম্মাণি পরিহায় দ্বিজোত্তম: ) তথা ( জ্ঞানেনৈব্যাপরে বিপ্ৰ যজন্ত্যেতৈৰ্ম্মখৈঃ সদা ) ইত্যাদি, ও গীতা বাক্য ( সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্ৰজ ) ইত্যাদি স্মৃতি ইহার প্রমাণ হয়েন ৷ ভাগবতশাস্ত্রেও এইরূপ নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মানুষ্ঠানের সীমা করিয়াছেন, শ্ৰীভাগবতে একাদশস্কন্ধে ১০ অধ্যায়ে ১০ শ্লোক ( তাবৎ কৰ্ম্মাণি কুৰ্ব্বত ন নির্বিবদ্যেত যাবত। মৎকথা শ্রবণাদেী বা শ্রদ্ধা যাবন্ন জায়তে ) অর্থাৎ আশ্ৰম কৰ্ম্ম তাবৎ করিবেক যে পৰ্য্যন্ত কৰ্ম্মে দুঃখবৃদ্ধি হইয়া তাতার ফলেতে বিরক্ত না হয়, অথবা যে পৰ্য্যন্ত আমার কথা শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদিতে আন্তঃকরণের অনুরাগ না জন্মে৷ এই শ্লোকের অবতরণিকাতে ভগবান শ্ৰীধর স্বামী লিখেন ( কাম্যকৰ্ম্মসু প্ৰবৰ্তমানস্য সর্বাত্মনা বিধিনিষেধাধিকার ইতু্যত্তরাধ্যায়ে বক্ষত্যি, নিষ্কাম কৰ্ম্মাধিকারিণস্ত যথাশক্তি, সচ জ্ঞানভক্তিযোগাধিকারাৎ প্ৰাগেব, তদধিকৃতয়োস্তু স্বল্পঃ, তাভ্যাং সিদ্ধানাঞ্চ ন কিঞ্চিৎ, সাবধি কৰ্ম্মযোগমাহ তাবদিতি ) অর্থাৎ কাম্যকৰ্ম্মে যে ব্যক্তি প্ৰবৃত্ত তাহার প্রতি সর্বপ্রকারে বিধিনিষেধের অধিকার হয় ইহা পরের অধ্যায়ে কহিবেন, কিন্তু নিষ্কাম কৰ্ম্মানুষ্ঠানে যে ব্যক্তি প্ৰবৃত্ত তাহার প্রতি সাধ্যানুসারে কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য হয়, ঐ সাধ্যানুসার কৰ্ম্মানুষ্ঠানের তাবৎ অধিকার যাবৎ জ্ঞান কিম্বা ভক্তি সাধনে প্ৰবৃত্ত না হয়, এ দুইয়ের একে প্ৰবৃত্ত হইলে আতিশয় অল্প কৰ্ত্তব্য হয়, এবং জ্ঞান কিম্বা ভক্তির দ্বারা সিদ্ধ ব্যক্তির কিঞ্চিৎও কৰ্ত্তব্য নহে, পরের শ্লোকে কৰ্ম্মানুষ্ঠানের সীমা লিখিলেন ( তাবৎ কৰ্ম্মাণি ) পুনরায় ওই অধ্যায়ের ১৯ শ্লোক ( যাদারম্ভেযু নির্বিবশ্লো বিরক্ত: সংযতেন্দ্ৰিয়ঃ। অভ্যাসেনাত্মনো যোগী ধারায়েদচলং মন: ) স্বামী, যখন আবশ্যক কৰ্ম্মানুষ্ঠানে দুঃখ বোধের দ্বারা উদ্বিগ্ন ও তাহার ফলেতে বিরক্ত হয়, তখন ইন্দ্ৰিয়াকে সংযত করিয়া জ্ঞানাভ্যাসের দ্বারা পরমাত্মাতে মনকে স্থির করিবেক । ২২ শ্লোক, ( এষ বৈ পরমে যোগো মনসঃ ংগ্ৰহঃ স্মৃত: ) হৃদয়জ্ঞাত্বমন্বিচ্ছন। দম্যাস্যেবার্বতো মুহু: ) স্বামী, ক্রমশ মনকে বিষয় হইতে নিবৃত্ত করিয়া আত্মাতে স্থির করা পরম যোগের উপায় হয় এ নিমিত্ত এই সাধনকে পরামযোগ কহিয়াছেন যেমন অদম্য অশ্বকে দমন করিবার সময় তাহার অভিপ্ৰায় মতে কিঞ্চিৎ যাইতে দিয়া পুনরায় তাহাকে অশ্ব গ্রাহ রাজুতে ধারণপূর্বক আপনি বাঞ্ছিত পথে লইয়া যায়। ১৩ শ্লোক ( সাংখ্যেন সৰ্ব্বভাবানাং প্ৰতিলোমানুলোমতঃ । ভবাপ্যয়াবনুধ্যায়েনমনো যাবৎ প্ৰসীদতি ) অর্থাৎ মন কিঞ্চিৎ বশীভুত হইলে তত্ত্ববিবেকের দ্বারা মহাদাদি পৃথিবী পৰ্য্যন্ত তাবৎ বস্তুর ক্ৰমে উৎপত্তি, ও বুঢ়ৎক্ৰমে নাশ চিন্তা করিবেক যে পৰ্য্যন্ত মনের নৈশ্চল্য না হয় ৷ ভাগবতশাস্ত্রে