পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান S8S করিয়া থাকেন। কিন্তু অদ্যাবধি কে কোথায় অলীক বক্তা ব্যলীকের সহিত রাগান্ধ হইয়া অলীক কথন করিয়াছে। ১৪৬ ও ১৪৭ পৃষ্ঠে যাতা লিখেন তাহাব তাৎপৰ্য্য এই যে এক ব্যক্তি পণ্ডিতসভাতে আপনাকে বৈদিক, স্মাৰ্ত্ত, তান্ত্রিকরূপে প্ৰকাশ করাতে র্তাহাদের বিচার দ্বারা আপনাকে পশ্চাৎ কৃষিকৰ্ম্মকারী স্বীকার করিলেন। উত্তর, পণ্ডিতসভাতে এরূপ অপণ্ডিতের পাণ্ডিত্য প্ৰকাশে তাহার কেবল লজ্জাকর হয়, সেইরূপও অপণ্ডিতমণ্ডলীতে যথার্থ কথনের দ্বারা পণ্ডিতও ङा°ाभान्मिएङ হইয়াছেন ইহাও শ্রুত আছে যেমন মূখদের সভাতে কোনাে এক পণ্ডিত শাক, শাল্মলি, বক, ইহা কহিয়া তিরস্কৃত হইয়াছিলেন যেহেতু তাহারা শাগি শিমুল বগ ইহাকেই শুদ্ধ জ্ঞান করিত। আমরা প্ৰথম উত্তরের ১৯ পুষ্ঠে লিখি যে “পরমেশ্বরকে জন্ম মরণ চৌৰ্য্য পারদাৰ্য্য ইত্যাদি দোষকে যথার্থ জানিয়া অপবাদ দিতে পারেন।” তাহার উত্তরে প্রথমত ১৪১ পৃষ্ঠে ৭ পংক্তিতে লিখেন যে “শ্ৰীভগবানের জন্ম,ও মরণ কি প্রকারে অযথার্থ কহা যায়” এবং জনন মরণের প্রমাণের উদ্দেশে গীতা, বিষ্ণুপুরাণ, অগস্ত্যসংহিতাদির বচন লিখিয়াছেন। পরে আপনি এই পূর্বোক্ত বাক্যের অন্যথা করিয়া সিদ্ধান্তে ১৪৩ পৃষ্ঠে ১৩ পংক্তিতে লিখেন “অতএব পরমেশ্বরের জন্ম মৃত্যু শব্দ প্রয়োগ লোকের ব্যবহারিক মাত্র কিন্তু বাস্তব নহে” অধিকন্তু .৪৫ পৃষ্ঠের ১ পংক্তিতে লিখেন যে “পরমাৰ্থ বিবেচনায় মানুষ্যেরও জন্ম মৃত্যু কহা যায় না”। উত্তর, এ প্রমাণ বটে যে কি জীবের কি ভগবান রামকৃষ্ণ প্ৰভৃতির “পরমার্থ বিবেচনায় জন্ম মৃত্যু কহা যায় না।” তবে কি প্রকারে ১১১ পৃষ্ঠে ৭ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখিলেন যে “ভগবানের জনন ও মরণ কি প্রকারে অযথার্থ কহা যায়” এখন বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন যে আমরা লিখিয়াছিলাম যে ধৰ্ম্মসংহারক পরমেশ্বরে জন্ম মরণাদি দোষকে যথার্থ বোধে দিতে পারেন তাহা তাহাদেরই প্ৰথম বাক্যানুসারে প্ৰমাণ হইল কি-না । ভগবদগীতাশ্লোকের অর্থকে যে অন্যথা কল্পনা করিয়াছেন তাহার যথার্থ বিবরণ লিখা আবশ্যক জানিয়া লিখিতেছি ( বহুনি মে ব্যতীতানি ) এই শ্লোকের ব্যাখ্যাতে ১৪১ পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তিতে লিখেন যে “আমি মায়ারহিত এ কারণ আমার সকল স্মরণ হয়” কিন্তু শ্ৰীধর স্বামী লিখেন যে ( অলুপ্তবিদ্যাশক্তিত্বাৎ ) অর্থাৎ আমার বিদ্যা মায়া, যাহার প্রকাশ স্বভাব হয়, সুতরাং আমার সকল স্মরণ হয়। এবং ইহার পরশ্লোকে স্পষ্টই কহিতেছেন। ( প্ৰকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মিমায়য়া) আমি শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপ আপন মায়াকে স্বীকার করিয়া শুদ্ধ ও তেজস্বী সত্ত্বাত্মক মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট হইয়া অবতীর্ণ হই। অতএব মূৰ্ত্তি যদ্যপিও বিশুদ্ধ, তেজস্বী, সত্ত্বগুণাত্মক হয়েন তথাপিও সে