পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGł\ রামমোহন-গ্ৰস্থাবলী এ আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্মসংহারক, আপন প্ৰত্যুত্তরের ১৫ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তিতে লিখিয়াছেন “উদিতে জগতনাথে ইত্যাদি বচনের এ তাৎপৰ্য্য নহে যে সুৰ্য্যোদয়ানন্তর দন্তধাবনকৰ্ত্তা বিষ্ণুপূজাদিরূপ কৰ্ম্মে অনধিকারী হয়, যেহেতু দন্তধাবন স্নান ও আচমন তাবৎ কৰ্ম্মের কতৃসংস্কাররূপ অঙ্গ, তাহার যথোক্ত কাল ও মন্ত্রাদির বৈগুণ্যে অনধিকারিকৃত কৰ্ম্মের ন্যায় যথোক্তকাল মন্ত্রান্দিরহিত দন্তধাবনাদিকৰ্ত্তার কৃত দৈব ও পৈত্র কৰ্ম্ম অসিদ্ধ হয় না এবং প্রতিদিনকৰ্ত্তব্য সন্ধ্যা বন্দনাদি বিষ্ণুপূজাদি কৰ্ম্ম যথাকথঞ্চিদ্ৰৰূপে কৃত হইলেও সিদ্ধ হয়।” এখন পণ্ডিতেরা বিবেচনা করিবেন যে ধৰ্ম্মসংহারক। আপনি সূৰ্য্যোদয়ের ভুরি কালানন্তর প্রত্যহ প্ৰায় গাত্ৰোখান করেন এ নিমিত্ত লিখেন যে “যথোক্ত কাল দস্তুধাবনাদিরহিত কৰ্ত্তার কৃত দৈব ও পৈত্র কৰ্ম্ম অসিদ্ধ হয় না এবং প্রতিদিনকৰ্ত্তব্য সন্ধ্যা বন্দনাদি বিষ্ণুপূজাদি কৰ্ম্ম যথাকথঞ্চিত্রুপে কৃত হইলেও সিদ্ধ হয়।” কিন্তু ধৰ্ম্মসংহারকের দ্বেষ্য ব্যক্তির প্রতি ব্যবস্থা দিতেছেন, "যে শিখাবন্ধনাভাবে প্ৰত্যহ বৈ গুণ্য জন্মিয় ঐ পাতক ক্ৰমে মহাপাতককেও লঙ্ঘন করে এবং ক্রমে ব্ৰাহ্মণ্যাদিরও হানি হইতে থাকে, অথচ সূৰ্য্যোদয়ের পূর্বে গাত্ৰোখিানের অভাবে প্ৰত্যহ ক্রিয়াবৈগুণ্য হইলেও সেই পাপ ক্রমে বৃদ্ধি হইয়া ধৰ্ম্মসংহারকের প্রতি মহাপাতক হয় না ; অতএব দ্বেষেতে যে মনুষ্য অন্ধ হইয়া পূর্বাপর এরূপ আনন্বিত কহেন তিনি শাস্ত্রীয় আলাপের যোগ্য কিরূপে হয়েন। ১৭২ পৃষ্ঠের ১৫ পংক্তিতে লিখেন যে “স্ত্রী পুত্ৰাদিকে অন্ন দান কে না করিয়া থাকে ? অতএব ঐ বচনে অন্নদান শব্দে অন্নদানব্ৰত কহিতে হইবেক”। আমরা প্ৰথম উত্তরে এরূপ লিখি নাই যে স্ত্রী পুত্রকে ও বেতন গ্ৰহীতা ভূত্যকে অন্নদান করিলে পাপক্ষয় হয়, অতএব কিরূপে এ আশঙ্কা করিতে ধৰ্ম্মসংহারিক সমর্থ হইলেন ? আর সামান্য অন্নদানাপেক্ষা অন্নদানব্ৰতে ফলাধিক্য বটে। কিন্তু ও বচনে যে অন্নদান পদের তাৎপৰ্য্য অন্নদানব্ৰতই হয় তাহার প্রমাণ লিখা ধৰ্ম্মসংহারকের উচিত ছিল, যেহেতু সামান্য অন্নদানে পরম ফল প্ৰাপ্ত হইয়াছে ইহা ক্রিয়াযোগসার প্রভৃতি পুরাণে ও ইতিহাসে দৃষ্ট হয়। কেশছেদন বিষয়ে ১৭৩ পৃষ্ঠে ? পংক্তিতে লিখেন যে “সুবর্ণাদি দানে সাধারণ পাপের ক্ষয় হয় ইহাও যথার্থ, যদ্যপি তাহারাও কদাচিৎ২ সুবর্ণদান করিয়া থাকেন তথাপি তাহাতে তৎপাপের ক্ষয় হয় না, যেহেতু তৎপাপে পুনঃপুনর্বার প্ৰবৃত্ত হইলে তাহার নিবৃত্তি কোনো প্রকারে হইতে পারে না” এবং ওই প্রকরণে এক বচন লিখিয়াছেন যে পুনঃ২ পাপ করিলে তাহাকে গঙ্গা পবিত্র করেন না ; এবং ১৭৪ পৃষ্ঠের শেষের পংক্তিতে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে “পুনঃপুনর্বার তাদৃশ পাপকারী লোকেরা পাপকৰ্ম্মে রত হয় তাহদের নিস্তার সর্বপাপনাশিনী পতিতোদ্ধারিণী