পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান S(kዓ ত্ৰিভুবনতারিণী গঙ্গাও করেন না”। উত্তর, কৰ্ম্মনিষ্ঠের প্রতি ব্ৰাহ্ম মুহূৰ্ত্তে উথান প্রভৃতি যাহা ২ বিহিত তাহাকে ধৰ্ম্মসংহারক পুনঃ১ ত্যাগ ও যবনস্পর্শদি যাহা৷২ সৰ্ব্বথা নিষিদ্ধ তাহার প্রত্যহ অনুষ্ঠান করিয়াও, গঙ্গাস্নান দ্বারা না হউক। কিন্তু গৌরাঙ্গকৃপাতে হরিনামবলে সেই সকল হইতে মুক্ত হইয়া কৃতাৰ্থ হয়েন, কিন্তু অন্যে একজাতীয় পাপ পুনঃ ১ করিলে তাহার গঙ্গাস্নানাদিতেও নিষ্কৃতি নাই এই ব্যবস্থা দেন ; অতএব এ ধৰ্ম্মসংহারকের চরিত্র পণ্ডিতেরা বিবেচনা করুন, বিশেষত ওই প্ৰত্যুত্তরের ১০৪ পৃষ্ঠে ১৩ পংক্তিতে লিখেন যে “ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানীর শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য বিনা আর গত্যন্তর নাই” পরে ১০৫ পৃষ্ঠের ( পংক্তি অবধি লিখেন যে ( যাদ্যেতে পাপিনো বিপ্ৰ মহাপাতকিনোপি বা । জীবহত্যারতা ব্রাত্যাঃ নিন্দকাশচা জিতেন্দ্ৰিয়াঃ । পশ্চাৎ জ্ঞানসমূৎপন্ন গুরোঃ কৃষ্ণপ্ৰসাদতঃ।। ততস্তু যাবজীবন্তি হরিনামপরায়ণা: | শুদ্ধাস্তেহখিলপাপেভ্য: পূৰ্ব্বজেভ্যোপি নারদ ) এ স্থলে যাবজ্জীবনের পাপ ও জীবহত্যা পুনঃ২ করিয়াও হরিনামবলে ধৰ্ম্মসংহারকেরা মুক্ত হইবেন কিন্তু অন্যে “যদি কেশচ্ছেদন মাত্র বারম্বার করেন তাহার নিষ্কৃতি সুবর্ণদানে ও গঙ্গাস্নানেও হয় না এরূপ ধৰ্ম্মসংহারক প্ৰায় দৃশ্য নহে। ১৭৫ পৃষ্ঠে ১০ পংক্তিতে লিখেন যে “ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী মহাশয় অন্য এক বচন লিখেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে আমি ব্ৰহ্ম এই প্রকার চিন্তা ক্ষণমাত্র কাল করিলেই সকল পাপ নষ্ট হয়। কিন্তু তাহাকেই এই জিজ্ঞাসা করি যে এই প্ৰায়শ্চিত্তের উপদেশ কাহার প্রতি করেন, যথার্থ তত্ত্বজ্ঞানীদিগের পাপাভােব প্রযুক্ত তাতাদের প্ৰতি অসম্ভব”। উত্তর, সৰ্ব্বজনপ্রসিদ্ধ সর্বশাস্ত্রসম্মত ইহা হয় যে জ্ঞানীর সিদ্ধাবস্থায় পাপ পুণ্যের সম্বন্ধ তাহার সহিত থাকে না, অতএব তঁাহারা ঐ কুলার্ণববচনের বিষয় কদাপি নহেন ; বেদান্তের ৪ অধ্যায় ७° १७ शूद्ध ( उक्षिগমে উত্তরপূর্বােঘয়োরশ্লেষবিনাশে৷ তদ্ব্যাপদেশাৎ ) ব্ৰহ্মজ্ঞান উৎপন্ন হইলে পূর্বপাপের বিনাশ ও পরপাপের স্পর্শাভাব ব্যক্তিতে হয়, যেহেতু বেন্দেতে এইরূপ উপদেশ আছে৷ কিন্তু জ্ঞানসাধনাবস্থায় পাপের সম্ভাবনা আছে। সুতরাং জ্ঞানানুষ্ঠায়ীরা এ বচনের বিষয় হয়েন, যে ক্ষণমাত্রও আত্মচিন্তা করিলে পাপ হইতে মুক্ত হইবেন ইহার বিশেষ বিবরণ এই দ্বিতীয় উত্তরের ২৫ পৃষ্ঠে ও ৮৫ পৃষ্ঠে লেখা গিয়াছে তাহার অবলোকন করিবেন ৷ 最 ধৰ্ম্মসংহারক। ১৭৭ পৃষ্ঠে ২ পংক্তিতে লিখেন যে এই প্ৰায়শ্চিত্তের উপদেশ, “যদি ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানীদের প্রতি কহেন তবে তাহাও অসম্ভব যেহেতু ব্ৰহ্মপুরাণবচনানুসারে তাদৃশ দুষ্ট পাপিষ্ঠদিগের প্ৰায়শ্চিত্তের দ্বারা শোধন হয় না” এবং ব্ৰহ্মপুরাণীয় বচন