পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী سوائلا যে সকল শাস্ত্র দৃষ্ট হইতেছে তাহার যে নিষ্ঠা সে তামসী, ফলত শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধ শাস্ত্রে কেহ কদাচি শ্রদ্ধা করিবে না যেহেতু তদনুসারে শ্ৰদ্ধা করিলে তামসী গতি হয়, এবং করালভৈরব নামে ও যামল নামে যে তন্ত্র কৃত হইয়াছে এবং এইপ্ৰকার যে২ অন্য তন্ত্র আমার কথিত হয় তাহা লোকের মোহনার্থ এবং এইপ্ৰকার অন্য২ যে তন্ত্র আমি সৃষ্টি করিয়াছি তাহা এই ভবাৰ্ণবে তামসিক লোকের মোহ নিমিত্ত হয় । পরে ২০১ পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তি অবধি সিদ্ধান্ত করেন “অতএব কলিযুগে ব্ৰাহ্মণের মদ্যপান বিষয়ে ভাক্ত বামাচারীর লিখিত যে কুলাৰ্ণবের ও মহানির্বাণের বচন তাহারি অপ্রামাণ্য অবশ্যই কহিতে হইবেক যেহেতু সেই সকল তন্ত্র শ্রতিস্মৃতিবিরুদ্ধ ও নানা তন্ত্রবিরুদ্ধ এ কারণ কল্পিত আগম হয় তাহাকে অসদাগম কহা যায়।” তাহার পর ২০২ পৃষ্ঠের ৫ পংক্তি অবধি ধৰ্ম্মসংহারক পদ্মপুরাণীয় বচন যাহা প্ৰসিদ্ধ টীকাসম্মুত ও সংগ্ৰহকারকৃত নহে লিখেন, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে বিষ্ণুভক্ত অসুরদিগ্যে মোহ করিবার নিমিত্ত স্বয়ং বিষ্ণুর অনুমতিক্রমে মহাদেব বেদবিরুদ্ধ আগম রচনা ও নিজে ভস্মাস্থি ধারণা করিয়াছিলেন ৷ প্ৰথম উত্তর, এ সকল বচনে শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধ তন্ত্রকে মোহনাৰ্থ কহেন, কিন্তু উপাসনা ও সংস্কারবিশেষে তত্ত্ব গ্ৰহণ করিতে কুলার্ণব মহানির্বাণাদি নানা তন্ত্রে যে কহিয়াছেন তাহা শ্রতিস্মৃতিবিরুদ্ধ কদাপি নহে, যেহেতু সত্যাদি যুগে যে শ্রেণীত মদ্যসেবাবিধি প্ৰাপ্ত ছিল কলিতে তাহারি নিষেধ স্মৃতিতে করেন, কিন্তু মহাবিদ্যাদি দেবতাবিশেষের উদ্দেশে তন্ত্রোক্ত বিশেষ সংস্কারে মদ্যমাংসগ্রহণের নিষেধ কোনো শ্রীতি স্মৃতিতে নাই, যাহার দ্বারা ঐ সকল কুলাৰ্ণবাদি তন্ত্র শ্রুতিস্মৃতিবিরুদ্ধ হইতে পারে, বরঞ্চ কুলাৰ্ণবাদি তন্ত্রে কি প্ৰকার মদ্য শ্রুতিস্মৃতিনিষিদ্ধ হয় তাহার বিবরণ কহিয়া শ্রুতি স্মৃতির ন্যায় তাহার পুনঃ২ পান ও দানকে নিষেধ করিয়াছেন, যথা কুলাৰ্ণবে ( বৃথাপানন্ত দেবেশি সুরাপানং তদুচ্যতে। যন্মহাপাতকং জ্ঞেয়ং বেদাদিষু নিরূপিতং )। তথা ( তস্মাদ বিধিনী মদ্যং মাংসং সেবেত কোপি ন । বিধিবৎ সেবাতে দেবি তরস ত্বং প্ৰসীদসি ) অর্থাৎ ভোগার্থ যে অবিহিত মদ্যপান তাহার নাম সুরাপান জানিবে যাহাকে বেদাদি শাস্ত্রে মহাপাপীজনক কহিয়াছেন। অতএব আবিধানক্রমে কোনো ব্যক্তি অবিহিত মদ্যপান ও মাংস ভোজন করিবেক না, কিন্তু হে দেবি যথাবিধানক্রমে যে ব্যক্তি সেবন করে তাহাকে তুমি শীঘ্ৰ প্ৰসন্না হও৷ যেমন স্মৃতি সংহিতা ও পুরাণাদিতে কলিযুগে অল্পের জাতিভেদে বিশেষ নিয়ম করিয়াছেন, অধম জাতির পক অন্ন উত্তম জাতির ভোজ্য কলিতে নহে এইরূপ সামান্যত নিষেধ স্মৃতি পুরাণ প্ৰভৃতিতে করেন, কিন্তু, উৎকালখণ্ড গ্রন্থে জগন্নাথের নিবেদিত হইলে সৰ্ব্বজাতিকে একত্র হইয়া অল্প সেবন