পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓ8 রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী না এবং পরধান অপহরণ করিবেক না, ইত্যাদি স্থলে শিরশচালনে নঞ এই কথা কহিয়া এই প্ৰকার অর্থ করে যে, সর্বদা পারদার গমন ও পরিধান হরণ করিবেক, সে পাষণ্ডেরাও এইক্ষণে ব্ৰহ্মপুরাণে ও কালিকাপুরাণে মদ্যের নিষেধ দর্শনে উশনার বচনেও (মদ্য অদেয় অপেয় ) ইত্যাদি স্থানে অশব্দ নিষেধাৰ্থ অবশ্যই কহিবেন।” অর্থাৎ শাস্ত্রের স্পষ্টাৰ্থ ত্যাগ করিয়া নঞের অর্থ শিরশচালন কহিয়া যে - অর্থান্তর করে তাহাকে এ স্থলে ধৰ্ম্মসংহারক পাষণ্ড কহিলেন। কিন্তু আপনিই পুনরায় ( পশুর্ন স্যাৎ ) ইত্যাদি স্থলে অন্য শাস্ত্রের পোষক বচন থাকিতেও ইহার স্পষ্টার্থ ত্যাগ করিয়া নঞের অর্থ শিরশচালন জানাইয়া অর্থান্তরের কল্পনা করিতেছেন ; কি আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্মসংহারক স্বমুখেই আপনি পাষণ্ডত্ব স্বীকার করিলেন, অধিকন্তু ধৰ্ম্মংহারকের দর্শিত এই শিরশচালন অর্থে নির্ভর করিয়া তাহার লিখিত ( ন মদ্যং প্ৰাপিবেদেবি )-(ন কলেী শোধনং মদ্যে ) ইত্যাদি বচনকে মদ্যপানবিধায়ক অন্য২ বচনের সহিত একবাক্যতা করিয়া নঞের অর্থ শিরশ্চিালন কহিতে তত্ত, ল্য ব্যক্তিরা কেন না। সমর্থ হয়েন ? এবং এইরূপ ব্যাখ্যা কেন না করেন যে (ন মদ্যং প্ৰপিবেদেবি) প্রকৃষ্টরূপে মদ্য কি পান করিবেক না, ফলত অবশ্যই পান করিবেক (ন কলেী শোধনং মদ্যো) কলিতে কি মদ্যের শোধন নাই, ফলত অবশ্যই শোধন আছে, সুতরাং ধৰ্ম্মসংহারক। এইরূপ ব্যাখ্যার পথ দৰ্শাইয়া স্বাভিলষিত ধৰ্ম্মনাশের উদ্দেশে তাবৎ শাস্ত্রকে উচ্ছন্ন করিতে বসিয়াছেন ৷ পরে ঐ পৃষ্ঠে ( অতএব দ্বিজাতীনাং ) ইত্যাদি একস্থানস্থ বচনকে অন্যস্থানীয় বচন ( দ্বেষ্টারঃ কুলধৰ্ম্মণাং ) ইত্যাদির সহিত অন্বয় করিয়া যে২ প্ৰলাপ ব্যাখ্যান করিয়াছেন তাহা পণ্ডিতেরা যেন অবলোকন করেন। ২০৯ পৃষ্ঠে ৫ পংক্তি অবধি লিখেন যে “যদ্যপি ভাক্ত বামাচারী মহাশয় কহেন যে (কলেী যুগে মহেশানি) ইত্যাদি মহানির্বাণের বচন শিববাক্য আর ( যানি শাস্ত্রাণি দৃশ্যন্তে ) ইত্যাদি কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচন বেদব্যাসবােক্য অতএব বেদব্যাসবাক্যের দ্বারা শিববাক্যের বাধ কি প্রকারে জন্মান যায়, তথাপি সেই কুৰ্ম্মপুরাণবাচনকে শিববাক্য বলিয়া তাহাতে র্তাহাদিগের শ্রদ্ধা করিতে হইবেক”। উত্তর, আমরা পূর্বেই পুনঃ২ কহিয়াছি যে কি শিববাক্য কি দেবীবাক্য কি ব্যাসাদি ঋষিবাক্য সকলই শাস্ত্ৰবোধে মান্য হয়েন, অতএব ধৰ্ম্মসংহারকের এরূপ লেখা যে “তথাপি সেই কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচনকে শিববাক্য বলিয়া তাহাতে র্তাহাদিগ্যে শ্ৰদ্ধা করিতে হইবেক” সৰ্ব্বথা অযোগ্য, বিশেষত ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত এ কুৰ্ম্মপুরাণীয় বচন শিবশাস্ত্রের কোনো মতে বাধক নহে যাহা আমরা এই দ্বিতীয় উত্তরে ২২৮ পৃষ্ঠের ১৩ পংক্তি অবধি ২৪৩ পৃষ্ঠের ৩ পংক্তি পৰ্য্যন্ত বিবরণপূর্বক লিখিয়াছি ; অধিকন্তু ভগবান