পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭০

Գo রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী । মন্তসেবা নিত্যা হি জন্তোর্নহি তত্ৰ চােদনা। ব্যবস্থিতিস্তেষু বিবাহষজ্ঞসুরাগ্রহৈস্তাস্ক নিবৃত্তিরিষ্টা । যাদঘাণভক্ষে বিহিত; সুরায়াস্তথা পশোরালভনং ন হিংসা। এবং ব্যবায়: প্ৰজয়া ন রত্যৈ ইমং বিশুদ্ধং ন বিদু: স্বধৰ্ম্মং । অর্থাৎ ইহলোকে মৈথুন, মাংসভোজন ও মদ্যপান, ইহাতে সকল জীবের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি श्छे८डtछ, [১৮৫] কিন্তু তাহাতে বিধি নাই, তবে যে ঋতুকালে ভাৰ্য্যাগমনে, যজ্ঞে পশুহননে ও সৌত্ৰিমণীযাগে সুরাসেবনে প্ৰাবাৰ্ত্তক শাস্ত্ৰ দেখিতেছি, সে কেবল রাগী ব্যক্তির প্রতি জানিবা, মুমুক্ষু লোক তাহাতে সৰ্ব্বথা বিরক্ত হইবেন, যেহেতু, সৌভ্রামণীষাগে সুরাপান অবিহিত, কিন্তু আভ্ৰাণমাত্র বিহিত, এবং অন্যান্য যজ্ঞে পশুর হিংসা অকৰ্ত্তব্য, কেবল তাহার আলােভন বিহিত হয়, অর্থাৎ যথেষ্টাচরণ করিবেক না, এবং স্ত্রীসঙ্গও সন্তানার্থ বিহিত হয়, সুখাৰ্থ নহে, মুর্থ লোকেরা এই বিশুদ্ধ স্বধৰ্ম্ম না জানিয়া নানা দুষ্কৰ্ম্ম করিতেছে। এবং সৌত্ৰিমণী যজ্ঞে সুরাস্থলে শ্রুতিতে সোমরসই শ্রত আছে। বস্তুতঃ কলিযুগে ব্ৰাহ্মণাদি চারি বর্ণের মদ্য আদেয়, অপেয় ও অগ্ৰাহ হয়, ইহা নানা পুরাণাদিতে ও নানা তন্ত্রে দৃষ্ট হইতেছে, অতএব মদ্যপানাদির যে সকল শাস্ত্র, তাহা সত্যাদি যুগেই ব্যবহাৰ্য্য, ইহা সুরাচাৰ্য্য মহাশয়ের অবশ্যই স্বীকা। ১৮৬]র করিতে হইবেক, যেহেতু কলিযুগ অধিকার করিয়া ব্ৰহ্মপুরাণ, কালিকাপুরাণ এবং উশনাঃ কহিতেছেন। ব্ৰহ্মপুরাণং। নরাশ্বমেধেী মদ্যঞ্চ কলৌ বর্জ্যং দ্বিজাতিভি: অর্থাৎ দ্বিজাদি সকল ফলতঃ ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় ও বৈশ্য এই তিন বর্ণ কলিযুগে নরমেধ ও অশ্বমেধ যাগ এবং মদ্য ইহার বর্জন করিবেন। কালিকাপুরাণং।। স্বগাত্ররুধিরং দত্বা হাত্মহত্যামবাপ্লায়াৎ । মন্তং দত্বা ব্ৰাহ্মণস্তু ব্ৰাহ্মণ্যদেব হীয়তে ৷ অৰ্থাৎ কি ব্ৰাহ্মণ, কি অন্য বৰ্ণ, স্বশরীরের রুধির দান করিলে আত্মহত্যার পাপে লিপ্ত হয়েন এবং ব্ৰাহ্মণ মদ্যপান করিলে ব্ৰাহ্মণ্য হইতে হীন হন। উশনাঃ ।।। মদ্যমাদেয়মপেয়মনিগ্ৰাহৎ । অর্থাৎ মদ্য অদেয়, অপেয় ও অগ্রাহ্যু হয়। উশনার বচনে মদ্যের অদেয়ত্ব অপেয়ত্ব ও অগ্রাহাত্ব শ্রবণপ্ৰিযুক্ত ব্ৰহ্মপুরাণের বচনে বৰ্জন শব্দের ঐ প্রকার অর্থ, এবং কালিকাপুরাণের বচনেও দানশব্দে পান ও গ্রহণ বক্তব্য হয়। এবং ব্ৰহ্মপুরাণের বচনে কলিযুগ শ্রবণপ্ৰিযুক্ত কালিকাপু[১৮৭]রাণে ও উশনার বচনেও কলিযুগের সম্বন্ধ করিতে হইবেক । এ স্থানে কলিযুগে মদ্যের নিষেধপ্রযুক্ত অনেক নব্য প্রাচীন সর্বজনমান্য গ্ৰন্থকারেরা মদ্যপানাদি স্থলে মদ্যপ্রতিনিধিদানাদিরো নিষেধ করিয়াছেন, তাহারদিগের অভিপ্ৰায় এই যে, যৎকৰ্ম্মে যদ্ৰব্য বিহিত ও অনিষিদ্ধ হয়, তৎকৰ্ম্মে তন্দ্রব্যের অভাবে তাহার প্রতিনিধিরূপে দ্রব্যান্তরের গ্ৰহণ যুক্তিসিদ্ধ হয়, যেমন শ্রাদ্ধে মধুর অভাবে তৎপ্রতিনিধিরূপে গুড়াদির গ্রহণ, কিন্তু প্রধানের নিষেধস্থলে তাহার প্রতিনিধিরূপে দ্রব্যান্তরের গ্ৰহণ অযুক্ত, অতএব মাংসাষ্টকা শ্ৰাদ্ধে কলিযুগে গোমাংসের নিষেধপ্রযুক্ত শাস্ত্রে তাহার প্রতিনিধি বিধান না করিয়া হরিবংশাদিতে বিহিত যে মৃগমাংসাদি, তাহার অভাবে তাহার প্রতিনিধিরূপে পায়সের বিধান করিয়াছেন। অতএব র্যাহারা শাস্ত্রীয় নিষেধ উল্লঙ্ঘন করিয়া কলিযুগে নিষিদ্ধ মদ্যাদির ব্যবহার করিতে পারেন, [[১৮৮] তোহারা বুঝি কলিযুগে নিষিদ্ধ অন্য মহামাংসও ব্যবহার করিয়া থাকেন এবং উশনার বচনে অদেয় ইত্যাদি শব্দ বিষ্ণুবাচক হয়, এই কথা কহিয়া পাষণ্ডের