পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান ଦ୍ଧd: মুখের দ্বারা আহার করেন, সেই উত্তরের ? পুষ্ঠে দেখিবেন যে আমাদের এ সকল বচন লিখিবার উদ্দেশ্য এই ছিল যে কৰ্ম্মীদের প্রতি অবৈধ কৰ্ম্ম কারণে যে সকল দোষ শ্রবণ আছে তাহাকে ধৰ্ম্মসংহারক। ইহা কতিতে সমর্থ হইবেন যে এ সকল যথার্থী নহে কেবল নিন্দার্থবাদ। কিন্তু জ্ঞানীর প্রতি অবিহিতের অনুষ্ঠানে যে সকল দোষ শ্রবণ আছে সে সকল যথার্থ হয় আমাদের এই তাৎপৰ্য্যকে ধৰ্ম্মসংহারক আপনিই এই প্ৰত্যুত্তরে পুনঃ ১ দৃঢ় করিয়াছেন, বরঞ্চ এই পত্রের পরপৃষ্ঠে স্পষ্টই লিখিয়াছেন যে “অত্রিবচনে তাদৃশ অন্নের গোমাংস তুল্যত্ব ও তাদৃশ জলের সুরাতুল্যত্ব কীৰ্ত্তন যেমন তৰ্পণ স্থানে সুবর্ণ রাজতের তিলপ্রতিনিধিত্ব কথন দ্বারা তিলতুল্যত্ব কীৰ্ত্তন” এরূপ পক্ষপাতের বিবেচনা পণ্ডিতেরা করিবেন। SS) পৃষ্ঠে পুনরায় যাহা নিন্দছলে লিখেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে জ্ঞানানুষ্ঠানের কোন অংশ অস্মাদাদিতে পাওয়া যায় না। কিন্তু তাতাদের স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠানে যদি কোনো দোষ থাকে সে তিলপ্রমাণ মাত্র, ইহার উত্তর ৩ পৃষ্ঠাবধি ১১ পৃষ্ঠ পৰ্য্যন্ত লেখা গিয়াছে পণ্ডিতেরা তাতাতেই অবলোকন করিবেন পুনরুক্তির প্রয়োজন নাই। প্রশ্নচতুষ্টয়ের উত্তরে আমরা লিখিয়াছিলাম যে কোন-২ ব্যক্তিরা তিন পুরুষ মেচ্ছের দাসত্ব করেন তাহাতে ধৰ্ম্মসংহারক দাস শব্দের প্রয়োগ বিষয়ে তর্জন পূর্বক লিখিয়াছেন যে বেতন লইয়া কৰ্ম্ম যে করে তাহার প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ হইতে পারে না ইহার প্রমাণের নিমিত্ত মিতাক্ষরাধূত (শুশ্ৰষক; পঞ্চবিধ: ) ইত্যাদি নারদবচন উদাহরণ দিয়াছেন যাহার তাৎপৰ্য্য এই যে কৰ্ম্মকর চারি প্রকার, ও গৃহজাত প্রভৃতি পঞ্চদশ প্রকার দাস হয়, পরে ২৭ পৃষ্ঠে লিখিয়াছেন যে “এই সকল দেদীপ্যমান শাস্ত্ৰ সত্ত্বেও ইদানীন্তন রাজকীয় ব্যাপারে নিযুক্ত লোক সকলকে ভূতক ৰিকম্বা অধিকৰ্ম্মকৃৎ না কহিয়া মেচ্ছের দাস এই শব্দ প্ৰয়োগকৰ্ত্তাকে অপুর্ব পণ্ডিত কহা যায় কি না”। উত্তর।-গ্ৰন্থান্তরে দৃষ্টি করা ধৰ্ম্মসংহারককে ऐछे5िऊ छिब्ल ऊ८द অবশ্য জানিতেন যে দাস শব্দের প্রয়োগ সামান্যরূপে ভূতক ও আজ্ঞাবাহের প্রতিও হয়। কিন্তু মিতাক্ষরাতে যে স্থলে কৰ্ম্মকর শব্দের সমভিব্যাহারে দাস শব্দের প্রয়োগ আছে সে স্থলে কৰ্ম্মকর ভিন্ন যে গৃহজাতাদি পঞ্চদশ প্রকার দাস তাহাকেই বুঝায় যেমন “গোবলীবর্দ” ইহাতে যদ্যপি গোশব্দ সামান্যত গবী ও বলীবর্দ উভয়কেই কহে তথাপি বলীবর্দ শব্দের সাহচৰ্য্য প্রযুক্ত স্ত্রীগবীকেই এ স্থলে বুঝায়, বস্তুতঃ সামান্য ভূতক এবং আজ্ঞাবঙ্গেও দাস শব্দের প্ৰয়োগ শাস্ত্রে এবং মহাকবি প্রয়োগে প্ৰাপ্ত হইতেছে। সিদ্ধান্তকৌমুদীর উণাদি প্রকরণে পঞ্চম পালোঁ কে"। " দিতেছেন (দাসঃ সেবকশ্বন্দ্রয়ােঃ) সেবাকারী মাত্রকে এখানে দাস কহিয়াছেন