পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პას রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী (তমধীষ্টো ভূতোভূত) ইত্যাদি পাণিনিসূত্রের ব্যাখ্যাতে ভূত শব্দের অর্থ স্মাৰ্ত্তভট্টাচাৰ্য্য লিখেন যে (ভূতো ভূতিগৃহীতো দাসঃ) অর্থাৎ বেতন গ্রহণপূর্বক যে কৰ্ম্ম করে তাহার প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ হয়, এবং মহাভারতে কৰ্ম্মকরের প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ দেখিতেছি, যুধিষ্ঠিরের প্রতি ভীষ্মবাক্য ( অর্থস্য পুরুষো দাসো দাসো হার্থে ন কস্যচিৎ । ইতি সত্যং মহারাজ বদ্ধোস্ম্য্যৰ্থেন কৌরবৈঃ ৷ ) পুরুষ অর্থের দাস কিন্তু অর্থ কাহার দাস নহে হে মহারাজ ইহা সত্য অতএব কৌরবেদের নিকট অর্থের দ্বারা বদ্ধ আছি। ইহাতে এই ব্যক্ত হইল যে বেতনের দ্বারা কি পালনের দ্বারা অর্থ গ্ৰহণ করিলে দাস হয় যেহেতু বেতন বিনা কুরু হইতে পাণ গ্ৰহণ ভীষ্মদেবের প্রতি কদাপি সম্ভব নহে ; বিরাট পর্বে ভীমের প্রতি দ্রৌপদীর বাক্য ( অত্বমেব ভীম জানীষে যন্মে পার্থ সুখং পুরা। সাহং দাসীত্বমাপন্ন ন শান্তিমবশী লভে ) হে ভীম তুমি আমার পূর্বসুখ জান এখন দাসীত্ব প্রাপ্ত হইয়া পরাধীনতাপ্ৰযুক্ত পূর্ববৎ সুখকে পাই না। দ্ৰৌপদী বিরাটের গৃহে সৈরন্ধীরূপে ছিলেন আর সৈরন্ধী সে স্ত্রীকে কহি যে পরের গৃহে স্ববশে থাকে শিল্পকৰ্ম্ম করে, অমর ( সৈরন্ধী পরিবেশস্থা স্ববশ শিল্পকারিক ) কিন্তু সৈরাস্ত্ৰী শব্দে গৃহজাতাদি পরবশ নীচকৰ্ম্মকারিণী স্ত্রীকে কহে না এবং ভারতের টীকাকারও সৈরন্ধী শব্দের ব্যাখ্যাতে পরিচারিকা ও দাসী দুই শব্দকে এক পৰ্য্যায় রূপে লিখিয়াছেন। পদ্মপুরাণে সত্যধৰ্ম্ম রাজার প্রতি ইন্দ্রের বাক্য ( নমস্তে পৃথিবীপাল ত্বং হি পুণ্যবতাং বরঃ । নিজদাসস্বরূপং মামাজ্ঞাপয় করোমি কিং) হে পৃথিবীপালক পুণ্যবানদের মধ্যে তুমি শ্রেষ্ঠ হও তোমাকে নমস্কার করি, তোমার যে দাসস্বরূপ আমি আমাকে আজ্ঞা কর আমি কি করি । এ স্থলে ইন্দ্রের আজ্ঞাবহত্ব ব্যতিরেক নীচকৰ্ম্মকারী দাসত্ব সম্ভাবে না । এবং মিতাক্ষরাতেও আচারাধ্যায়ে দাস শবদ ও কৰ্ম্মকর শব্দকে একপৰ্য্যায় লিখিয়াছেন। অতএব ধৰ্ম্মসংহারক বেতন গ্ৰহণপূর্বক মেচ্ছের কৰ্ম্মকরণ দ্বারা এবং মেচ্ছের আজ্ঞাবহন দ্বারা মেচ্ছদাস এই শব্দের প্রয়োগস্থল হয়েন কি নাপণ্ডিতেরা বিবেচনা করিবেন। আর ধৰ্ম্মসংহারক। ২৫ পৃষ্ঠে নারদ বচন লিখেন যে স্বধৰ্ম্মত্যক্ত ব্যক্তি নীচ লোকের দাসত্ব করিতে পারে। ইহার দ্বারা ধৰ্ম্মসংহারকের তাৎপৰ্য্য বুঝি ইহা হইতে পারে যে আপনার স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ অগ্ৰে প্ৰতিপন্ন করিয়া মেচ্ছদাসত্বে যে দোষ তাহা হইতে নির্দোষ হয়েন । ধৰ্ম্মসংহারক ৩২ পৃষ্ঠে লিখেন যে “বিষয় ব্যাপারের নিমিত্ত যাবনিকাদি বিদ্যাভ্যাস তত্তজাতি ব্যতিরেকে তাহা কি রূপে হইতে পারে।” উত্তর -ইহা শাস্ত্ৰে প্ৰাপ্ত হইয়াছে যে বৃদ্ধ পিতামাতা ও