পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

థి a রামেন্দ্রম্বন্দর রচনাসমগ্র বলিল, মাছে মাছ খায়, তুমি আমাকে রক্ষা কর, অসময়ে আমি তোমাকে রক্ষা করিব। মহ মাছটিকে তুলিয়া জলের জালায় রাখিলেন। মাছ ক্রমে বড় হইল । জালায় যখন কুলায় না, তখন একটা খালে ফেলিলেন । খালে যখন কুলায় না, তখন সমুদ্রে ফেলিলেন । কিছু কাল পরে পৃথিবীতে জলপ্লাবন ঘটিল। মাছের উপদেশে মনু নৌকার আশ্রয় লইলেন। মাছ নৌকার নিকট ভাসিতেছিল ; তাহার শিঙে তিনি নৌকা বাধিলেন। মাছ নৌক টানিয়া উত্তরগিরিতে উপস্থিত হইল । বলা বাহুল্য, এই মাছই পুরাণের মৎস্তাবতার। জলপ্রবাহে সমস্ত প্রজা নষ্ট হইল ; মন্থ একা বাচিলেন । কালে জল নামিয়া গেলে মনু জলের উপরেই যজ্ঞ করিলেন । যজ্ঞে যাহা আহুতি দিলেন, তাহা হই৩েই বৎসরের মধ্যে একটি কন্যা জন্মিল । এই কন্যার নামই ইড়া । মন্ত্রকন্যা বলিয়া ইহার নাম মল্লম্বতী বা মানবী। ইড়া মঙ্গকে বলিলেন, আমি তোমারই কন্যা, তোমার যজ্ঞেই আমি জন্মিয়াছি । অতঃপর তুমি আমাকেই যজ্ঞে আহুতি দিবে। সেই যজ্ঞ হইতে নূতন প্রজা জন্মিবে। মন্থ তাহাকে যজ্ঞে প্রয়োগ করিলেন। তাহা হইতে নূতন প্রজা জন্মিল ; মহুর বংশ রক্ষা হইল। এই বংশই মানব বংশ । তদবধি যজ্ঞে ইড়ার ব্যবহার হইয়া আসিতেছে । যজ্ঞে যে পুরোডাশ আহুতি দেওয়া হয়, সেই পুরোডাশের অংশই ইড়া । তাহাতে ইড়াদেবী বৰ্ত্তমান থাকেন ; মানবেরা তাহা ভক্ষণ করে । মতুকন্যা ইড়ার গর্ভে পুন্ধরবার জন্ম হয়। বেদে তাহার নাম ঐড় পুরূরবী । পুরাণের মতে পুরূরবার পিত বুধ ; বুধের পিতা সোম। এই সোম সেই রাজা সোম, যিনি দেবগণের অমৃত । অতএব এই ইড়াদেবী হইতেই সোমবংশের বা চন্দ্রবংশের উৎপত্তি, যে বংশে দুষ্মন্তপুত্র ভরত জান্ময়াছিলেন ভরতবংশের প্রতিষ্ঠাত্রী ইড়াদেবী যে সেই বংশের কুলদেবতা ভারতীর সহিত মিলিয়া যাইবেন, তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? ইড়াদেবীর কয়েকটি নাম পাইলেন। ইড়া আহবানের মন্ত্রে পাইয়াছেন অদিতি এবং সরস্বতী। আগ্রীমন্ত্রে পাহলেন ভারতী ও সরস্বতী। বেদপন্থী র্তাহার দেবতাকে শত নামে, সহস্ৰ নামে ডাকিয়াও তৃপ্ত হন না। ইড়াদেবীর আর নাম আছে কি ? যাস্কের নিরুক্ত’ খুজিয়া দেখুন। এই নিরুক্তখানি বৈদিক ভাষার dictionary ৷ ইহার আরস্তে নিঘণ্ট মধ্যে অনেকগুলি বৈদিক শব্দের প্রতিশব্দ বা synonym দেওয়া আছে। ‘বাক’ শব্দে আসিয়া দেখুন ; সাতাশ্নটি প্রতিশব্দ দেখিবেন। সাতাল্পটি লইয়া আমাদের প্রয়োজন নাই। গোটাকতক বাছিয়া লইব । বাক’ বা বাক্যের প্রতিশব্দ—শব্দ, স্বর, ঘোষ, বাণী ইত্যাদি । তাহার পরে দেখুন -ইড়া, ভারতী ও সরস্বতী। আপ্রীমন্ত্রে এই তিন নাম একযোগে পাইয়াছেন । তাহার পরে দেখুন -—স্বপণী ; এই স্বপণী গায়ী বা বাগ দেবীরূপে সোম আনিয়াছিলেন। অতঃপর ইড়। যে বাগ দেবী, তাহাতে আপনাদের সন্দেহ থাকিল না। তাহার পর কয়েকটি নাম দেখিয়া বিস্মিত হইবেন। একটি নাম অদিতি। ইড়ার এই নাম আগেই ইড়ার আহবানমস্ত্ৰে পাইয়াছেন, অথচ এই অদিতি এখন দেবগণের মাতা। তাহার পর শচী—ইনি এখন ইক্সপত্নী, বেদে ইনি যজ্ঞক্রতুরূপিণী। তাহার পর স্বাহা—ইনি অগ্নির পত্নী। তাহার পরে দেখুন গৌরী—ইনি এখন মহেশ্বরপত্নী। কেনোপনিষদে