পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যজ্ঞ-কথা : পুরুষ-যজ্ঞ ఫెt দেবতার স্থূল বা স্বক্ষ ; কোন শরীর নাই কোন রূপ নাই। যে-কোন পদার্থের, যে কোন conceptএর বা ideaর একটা নাম দেওয়া যাইতে পারে, সেই পদার্থই CTRs 1 to fog object of thought, off cool I Co atto; সেই conceptąH Gfsoff Ti connotation ottesti TH, CHỆ qf-Frē–gris predicationই দেবতার মন্ত্র ; অতএব দেবতা মন্ত্রাত্মক। ইহা şVR, nominalism, জগতে যাহা কিছু *[R=U.Rf3J Ti object of thought STTLE Ti offFCS পারে, তাহাই দেবতা এবং যে দেবতাকে যে নাম দেওয়া যায়, সেই নামই সেই দেবতার শরীর। এই অর্থে দেবতা মাত্রই শব্দময়ী, বর্ণময়ী। যাহারা ভক্তিপথের পথিক, তাহারা দেবতার নামকেই দেবতার তুল্যমূল্য ধরিয়া লইয়াছেন। এমন কি, সত্যভামা ঠাকুরাণী তুলাদণ্ডে তাহার হরির মূল্য নিরূপণ করিতে গিয়া ফাপরে পড়িলে, রুক্মিণী তাহাকে দেখাইয়া দেন, হরির চেয়ে হরির নামের গুরুত্ব অধিক। বেদপন্থীর এই nominalism শ্রীচৈতন্যকৰ্ত্তক নামমাহাত্ম্য-প্রচারে চরম সার্থকতা পাইয়াছে। ওঁ এই একাক্ষর শব্দটির প্রাচীন অর্থ—ই ; আছে কি নাই, এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হইত—ওঁ অর্থাৎ হঁ। —আছে। ব্ৰহ্ম আছেন, এ বিষয়ে যাহাদের সন্দেহ ছিল নী, র্তাহারা এই ওঁ অক্ষরটিকেই ব্রহ্মের সব চেয়ে ব্যাপক ও প্রসিদ্ধ নাম বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। এই জন্য ওঙ্কারের মাহাত্ম্য সব্বের্ণপরি। তন্ত্রপন্থী দার্শনিক ও বেদপন্থীর এই nominalism গ্রহণ করিয়াছেন। ওঙ্কারের অমুকরণে তিনিও x,y,z, বা ক খ গ বা হিং টিং ছট, ইত্যাদি অর্থশূন্য সাঙ্কেতিক নাম বা বীজমন্ত্র দ্বারা দেবতার ভিন্ন ভিন্ন স্বরূপ প্রকাশ করিতে চাহেন। অর্থশূন্য সাঙ্কেতিক নামের স্ববিধা এই ষে, সাধক নিজের স্বভাব ও মেজাজ অনুসারে যে-কোন সঙ্কেতে যে-কোন সঙ্কীর্ণ তাৎপর্য্য আরোপ করিতে পারেন—আপনার মনের মত করিয়া আপনার দেবতা গড়িয়া লইতে পারেন । কিন্তু তাহাতেও তিনি তৃপ্ত হন না। তন্ত্রপন্থী একধারে দার্শনিক ও সাধক ; তিনি প্রত্যেক নামকে একটা রূপ দিয়া realise করিতে চাহেন, রূপের জগতে টানিয়া আনিয় দেবতার সহিত মেল-মেশা করিবার করিয়া রস সম্ভোগ করিতে চাহেন। তিনি এখানে আর্টিষ্ট । প্রত্যেক নামের, প্রত্যেক দেবতার তিনি একটা রূপ কল্পনা করিয়াছেন ; সেই নামের যে তাৎপৰ্য্য বা connotation তিনি দিতে চাহেন, তদনুযায়ী রূপ কল্পনা করিয়াছেন। সেই রূপ ধ্যান করিয়া তিনি তৃপ্তি পান। এ বিষয়ে তাহার সহিত ঝগড়ায় কোন লাভ নাই। তন্ত্রশাস্ত্র বেদপন্থীর বাগ দেবীকে শ্রেষ্ঠ দেবতারূপে গ্রহণ করিয়াছেন ; তন্ত্রে তাহার নাম মাতৃকা সরস্বতী । ইনি শব্যাত্মিক—অ হইতে ক্ষ পর্য্যন্ত পঞ্চাশটি বর্ণে ইহার দেহ নিৰ্ম্মিত ; প্রতি অঙ্গে কতকগুলি বর্ণ বা অক্ষর বসাইয়া ইহার শব্দময়—বর্ণময় দেহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ; অতএব ইনি পঞ্চাশল্লিপিভিবিভক্তমূখদো:পষ্মধ্যবক্ষঃস্থলা । ইনি ভাস্বন্মৌলিনিবদ্ধচন্দ্রশকলা-ইহার মস্তকে সোমকলা নিবদ্ধ হইয়া শোভা পাইতেছে। এ ম্বেই সোমকল, বাগ দেবী স্বয়ং যাহা আবিষ্কার করিয়া আনিয়াছেন। তাহার এক হাতে মুদ্রা, এক হাতে অক্ষমালা, এক হাতে বিদ্যা, চতুর্থ হাতে স্বধাঢ্য কলস,—অমৃতপূর্ণ কলস— ইহাও সেই সোমকলস, যাহা অমৃতরসে পূর্ণ। ইনি ত্রিনয়না—বিশদপ্রভা—