পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ ob" রামেন্দ্রম্বন্দর রচনাসমগ্র রাষ্ট্রনীতিমতে রাষ্ট্রের নিকটে মনুষ্য-জীবনের স্বতন্ত্র কোন মূল্য নাই। এই রাষ্ট্রনীতি পশ্চিম দেশে মানুষের সামাজিক ও গার্হস্থ্য জীবনকে পেষণযন্ত্রে নিপীড়িত করিয়া আসিতেছে ; ফলে বিদ্রোহী মানবপ্রকৃতি চীৎকার করিয়া সকল সামাজিক, এমন কি, সকল গার্হস্থ্য বন্ধন পৰ্য্যস্ত ছিড়িয়া ফেলা স্বাতন্ত্রা ও স্বাধীনতা লাভে উৎসুক হইয়া পড়িয়াছে। এ এক রকমের স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনতা বটে, কিন্তু বেদপন্থীর স্বাতন্ত্র্য বা Individualism সম্পূর্ণ অন্য রকমের । বস্তুতঃ আমার কাছে আমি যত বড়, অন্য কেহ তত বড় নহে—হইতে পারে না। বটেই ত, আমিই ত বিশ্বকৰ্ম্ম । তুলদাড়ির এক পাল্লায় আমাকে রাখিলে ও অন্য পাল্লায় ব্রহ্মাণ্ডকে রাখিলে আমারই গুরুত্ব অধিক হয় । বুহদারণ্যক স্পষ্টবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন, আমার কাছে আমার চেয়ে প্রিয় আর কেহ নাই—পুত্রাৎ প্রেয়, বিত্তাং প্রেয়ঃ, অন্যস্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ অস্তরতরং যদয়ম্ আত্মা—আমার অস্তরের ভিতরে এই যে আমি, সেই আমি পুত্র, বিত্ত আর সমস্ত হইতেই প্রিয়। পঞ্চদশী সংক্ষেপে বলিয়াছেন,— “অয়মাত্মা পরানন্দঃ পরপ্রেমাম্পদং যতঃ”—এই যে আমি, ইহার চেয়ে প্রেমাম্পদ আর কেহ নাই; অতএব ইনিই পরম আনন্দস্বরূপ । আপনাকে সকল বন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া স্বতন্ত্র না করিলে ইহার সোয়াস্তি হইতে পারে না। এইরূপ স্বাতন্ত্র্য লাভ করিতে হইলে বাহিরে যাহা কিছু আছে, তাহাকে আত্মসাৎ, আত্মগত, আত্মস্থ করিয়া ফেলিতে হইবে । কিন্তু তার জন্য দুইটা পথ আছে । একটা প্রকৃতিনিদিষ্ট নৈসর্গিক পথ—উহা বিরোধের পথ এবং বিরোধ দ্বারা ভোগের পথ । প্রাকৃতিক নিয়মে বাহিরে যে কেহ আছে, সকলেই আমার পর, আমার শক্ৰ । তাহাকে দমন করিয়া চিবাইয়া খাইয়া আত্মসাৎ করিতে হইবে। প্রত্যেক পশু তাহাই করিতেছে—বাহিরে যে জড জগৎ ভোগের জন্য বিস্তীর্ণ আছে, তাহাকে টানিয়া ছেচিয়া নিংড়াইয়া তাহার সমস্ত রস নিঃশেষে পান করিবার চেষ্টায় আছে । আচাৰ্য্য হক্সলী ইহাকে cosmic processএর কোঠায় ফেলিয়াছেন । ইহাতে মানুষের কোন বিশিষ্ট গৌরব নাই । জগৎকে নিংড়াইতে গেলে যে ছিবড়া অবশিষ্ট থাকে, তাহার আবর্জনার ক্লেদে জগৎট পূর্ণ হয়। এমন জগতে তিষ্ঠিয় কোন লাভ নাই । श्ञ्जली Troszo ethical process বলিয়াছেন, তাহার সহিত đề cosmic processa# =RR5R fRGIf# ! q# ?Raf## cosmic process...# পরাভূত করিয়া ethical processকে প্রতিষ্ঠিত করাই মানুষের বিশিষ্ট কৰ্ম্ম । ১৮৯৩ সালের শেলডোনিয়ান থিয়েটারে দাড়াইয়া হক্সলি স্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছিলেন, “The practice of that which is ethically best involves a course of conduct which, in all respects, is opposed to that which leads to success in the cosmic struggle for existence.” ‘’lot, moral precepts are directed to the end of curbing the cosmic process.” Mars, the ethical progress of society depends, not on imitating the cosmic process, but in combating it.” চারি বৎসর * for costa orgson & cosmic process was wit of